Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 136
Saheeh International
Say, [O believers], "We have believed in Allah and what has been revealed to us and what has been revealed to Abraham and Ishmael and Isaac and Jacob and the Descendants and what was given to Moses and Jesus and what was given to the prophets from their Lord. We make no distinction between any of them, and we are Muslims [in submission] to Him."
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
মহান আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা এবং সমস্ত নবীগণকে মুসলিমরা স্বীকার করে
মহান আল্লাহ তার মু’মিন বান্দাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, যা কিছু মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে তার ওপর যেন তারা একনিষ্ঠভাবে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং যা তাঁর পূর্ববর্তী নবীগণের ওপর অবতীর্ণ হয়েছিলো ঐগুলোর ওপরেও যেন সংক্ষিপ্তভাবে ঈমান আনে। ঐ পূর্ববর্তী নবীগণের মধ্যে কারো কারো নামও নেয়া হয়েছে এবং অন্যান্য নবীগণের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছেন। সাথে সাথে মহান আল্লাহ এ কথাও বলেছেন যে, তারা যেন নবীগণের মধ্যে প্রভেদ সৃষ্টি না করে। যে বা যারা তাদের কোন একজনকে অবিশ্বাস করে ঐসব লোক নিশ্চিত রূপেই কাফের। এদের সম্পর্কেই মহান আল্লাহ বলেনঃ
﴿اِنَّ الَّذِیْنَ یَكْفُرُوْنَ بِاللّٰهِ وَ رُسُلِه وَ یُرِیْدُوْنَ اَنْ یُّفَرِّقُوْا بَیْنَ اللّٰهِ وَ رُسُلِه وَ یَقُوْلُوْنَ نُؤْمِنُ بِبَعْضٍ وَّ نَكْفُرُ بِبَعْضٍۙ وَّ یُرِیْدُوْنَ اَنْ یَّتَّخِذُوْا بَیْنَ ذٰلِكَ سَبِیْلًا اُولٰٓىِٕكَ هُمُ الْكٰفِرُوْنَ حَقًّا﴾
‘নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি অবিশ্বাস করে এবং মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের মধ্যে পার্থক্য করতে ইচ্ছা করে এবং বলে, আমরা কতিপয়কে বিশ্বাস করি ও কতিপয়কে অবিশ্বাস করি এবং তারা এর মধ্যবর্তী পথ অবলম্বন করতে ইচ্ছা করে তারাই প্রকৃত অবিশ্বাসী। (৪ নং সূরা নিসা, আয়াত নং ১৫০-১৫১) আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, কিতাবীরা তাওরাতকে ইবরানী ভাষায় পাঠ করতো এবং ‘আরবী ভাষায় এর তাফসীর করে মুসলিমদেরকে শোনাতো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
"لا تصدقوا أهل الكتاب ولا تُكَذبوهم، وقولوا: آمنا بالله وما أنزل إلينا ‘তোমরা আহলে কিতাবীদেরকে বিশ্বাস করো না এবং অবিশ্বাসও করো না, বরং বলো যে, আমরা মহান আল্লাহ্র ওপর এবং তাঁর অবতারিত কিতাবসমূহের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করছি।’ (সহীহুল বুখারী-৮/৪৪৮৫, ফাতহুল বারী ৮/২০) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের দু’ রাক‘আত সুন্নাত সালাতের প্রথম রাক‘আতে ﴿اٰمَنَّا بِاللّٰهِ وَ مَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْنَا﴾ ‘আমরা মহান আল্লাহ্র প্রতি এবং নিকট যা কিছু অবতীর্ণ করা হয়েছে তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করছি। (২ নং সূরা বাকারাহ, আয়াত নং ১৩৬) এই আয়াতটি সম্পূর্ণ পড়তেন এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে ﴿اٰمَنَّا بِاللّٰهِ١ۚ وَ اشْهَدْ بِاَنَّا مُسْلِمُوْنَ﴾ ‘আমরা মহান আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করছি। অতএব তোমরা সাক্ষী থাকো যে, নিশ্চয় আমরা মুসলিম। (৩ নং সূরা আল ‘ইমরান, আয়াত ৫২) এই আয়াতটি পড়তেন। (হাদীস সহীহ। সহীহ মুসলিম ১/৯৯/৫০২, সুনান আবূ দাঊদ-২/২০/১২৫৯, সুনান নাসাঈ-২/৪৯৩/৯৪৩)
اَسْبَاطٌ ইয়া‘কূব (আঃ)-এর পুত্রগণকে বলা হতো। (তাফসীর ইবনে আবি হাতিম ১/৩৯৯) তাঁরা ছিলেন বারোজন। প্রত্যেকের বংশে বহু লোকের জন্ম হয়। বানী ইসরাঈলকে قَبَائل বলা হতো এবং বানী ইসরাঈলকে اَسْبَاطٌ বলা হতো। ইমাম যামাখশারী (রহঃ) ‘তাফসীরে কাশ্শাফে’ লিখেছেন যে, এরা ছিলো ইয়া‘কূব (আঃ)-এর পৌত্র, যারা তাঁর বারোটি পুত্রের সন্তানাদি ছিলো। সহীহুল বুখারীতে রয়েছে যে, قَبَائل এর ভাবার্থ হচ্ছে ‘বানী ইসরাঈল।’ তাদের মধ্যেও নবী হয়েছিলেন, যাদের ওপর ওয়াহী অবতীর্ণ হয়েছিলো। মহান আল্লাহ মূসা (আঃ) এর উক্তি নকল করেন যা তিনি বানী ইসরাঈলকে সম্বোধন করে বলেছিলেনঃ ﴿اذْكُرُوْا نِعْمَةَ اللّٰهِ عَلَیْكُمْ اِذْ جَعَلَ فِیْكُمْ اَنْۢبِیَآءَ وَ جَعَلَكُمْ مُّلُوْكًا﴾
‘স্মরণ করো, যখন মূসা তার সম্প্রদায়কে বলেছিলো, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের প্রতি মহান আল্লাহ্র নি‘য়ামত স্মরণ করো যে, তিনি তোমাদের মধ্যে নবী করেছেন এবং তোমাদের বাদশাহ করেছেন।’ (৫ নং সূরা মায়িদাহ, আয়াত নং ২০) অন্য জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ
﴿وَ قَطَّعْنٰهُمُ اثْنَتَیْ عَشْرَةَ اَسْبَاطًا﴾ ‘আমি বানী ইসরাঈলকে বারোটি গোত্রে বিভক্ত করেছি।’ (৭ নং সূরা, আ‘রাফ, আয়াত নং ১৬০) ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন যে, الأسباط এর মূল অক্ষর হচ্ছে سبْط যার অর্থ পর্যায়ক্রমে দলভূক্ত হওয়া। কেউ কেউ বলেছেন سبَط এর ب বর্ণে যবর দিয়ে যার অর্থ অধিক বৃক্ষ। الأسباط এর একবচন হলো سبطة। ইবনে ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, দশজন নবী ছাড়া সমস্ত নবীই বানী ইসরাঈলের মধ্য হতে হয়েছেন। ঐ দশজন নবী হচ্ছেনঃ (১) নূহ (আঃ) (২) হুদ (আঃ) (৩) সালিহ্ (আঃ) (৪) শু‘আইব (আঃ) (৫) ইবরাহীম (আঃ) (৬) ইসহাক (আঃ) (৭) ইয়া‘কূব (আঃ) (৮) ইসমা‘ঈল (আঃ) এবং শেষ নবী (৯) মুহাম্মাদ মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। (সিয়ারু আ‘লামুন নুবালা ১৬/৬৩, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১১/২৭০)
ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন যে, ‘সিবত’ হলো একদল লোক অথবা গোত্র যারা একই বংশ থেকে উদ্ভুত। (তাফসীরে কুরতুবী, হাদীস নং ২/১৪১) কাতাদাহ (রহঃ) বলেনঃ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা মু’মিনদেরকে আদেশ করেছেন যে, তারা যেন তাঁর ওপর ঈমান অটুট রাখে এবং তিনি যে কিতাব নাযিল করেছেন ও রাসূল প্রেরণ করেছেন তাদের ওপরও ঈমান আনে। (তাফসীর ইবনে আবি হাতিম ১/৪০০) সুলাইমান ইবনে হাবীব (রাঃ) বলেনঃ আমাদেরকে আদেশ করা হয়েছে যে, আমরা যেন মূল তাওরাত ও ইঞ্জিলকে বিশ্বাস করি, কিন্তু তা যেন অনুসরণ না করি বরং কুর’আনই যেন যথেষ্ট মনে করি। (হাদীসটি য‘ঈফ। তাফসীর ইবনে আবি হাতিম ১/৪০০)
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings