Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 134
Saheeh International
That was a nation which has passed on. It will have [the consequence of] what it earned, and you will have what you have earned. And you will not be asked about what they used to do.
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
ইয়া‘কূব (আঃ)-এর মৃত্যুর সময়ে নাসীহত
‘আরবের মুশরিকরা ছিলো ইসমা‘ঈল (আঃ)-এর বংশধর এবং বানী ইসরাঈলেরা কাফির ছিলো এবং তারা ছিলো ইয়া‘কূব (আঃ)-এর বংশধর। তাদের ওপর প্রমাণ উপস্থিত করে মহান আল্লাহ বলেন যে, ইয়া‘কূব (আঃ) অন্তিমকালে স্বীয় সন্তানগণকে বলেছিলেনঃ
﴿مَا تَعْبُدُوْنَ مِنْۢ بَعْدِیْ قَالُوْا نَعْبُدُ اِلٰهَكَ وَ اِلٰهَ اٰبَآىِٕكَ اِبْرٰهمَ وَ اِسْمٰعِیْلَ وَ اِسْحٰقَ﴾
আমার পরে তোমরা কার ‘ইবাদত করবে?’ তারা সবাই উত্তরে বলেছিলোঃ ‘আপনার ও আপনার মুরব্বীগণের যিনি সত্য উপাসক অর্থাৎ মহান আল্লাহ, আমরা তাঁরই ‘ইবাদত করবো।’ ইয়া‘কূব (আঃ) ছিলেন ইসহাক (আঃ) এর পুত্র এবং ইসহাক (আঃ) ছিলেন ইব্রাহীম (আঃ)-এর পুত্র। ইসমা‘ঈল (আঃ)-এর নাম বাপ-দাদার আলোচনায় বহুল প্রচলন হিসেবে এসে গেছে। তিনি হচ্ছেন ইয়া‘কূব (আঃ) এর চাচা। ‘আরবে এটা প্রচলিত আছে যে, তাঁরা চাচাকে বাপ বলে থাকে। (তাফসীর কুরতুবী ২/১৪৩) এই আয়াতটিকে প্রমাণরূপে দাড় করে দাদাকেও পিতার হুকুমে রেখে দাদার বিদ্যমানতায় মৃত ব্যক্তির ভ্রাতা ও ভগ্নিকে উত্তরাধিকার হতে বঞ্চিত করা হয়েছে। আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) এর ফায়সালা এটাই। যেমন সহীহুল বুখারীতে বিদ্যমান রয়েছে এবং হাদীসটি বর্ণনা করার পর ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন যে, এর ওপর কোন দ্বিমত নেই। (ফাতহুল বারী ১২/১৯, ২০, সুনান দারিমী ২/৪৫০/৪৫১) উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) এর মতামত এটাই। হাসান বাসরী (রহঃ), তাঊস (রহঃ) এবং ‘আতাও (রহঃ) এটাই বলেন। ‘উমার (রাঃ), ‘উসমান (রাঃ), ‘আলী (রাঃ), ইবনে মাস‘ঊদ (রাঃ) যায়দ ইবনে সাবিত (রাঃ) এবং পূর্ববর্তী ও পরবর্তী একটি দলেরও একই অভিমত।
এ জিজ্ঞাস্য বিষয়কে পরিস্কার করার জায়গা এটা নয় এবং তাফসীরের এটা আলোচ্য বিষয়ও নয়। যা হোক ইয়া‘কূব (আঃ)-এর ছেলেরা স্বীকার করে যে তারা একই উপাস্যের উপাসনা করবে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ্র সাথে অন্য কাউকেও শরীক করবে না এবং তাঁর আনুগত্যে, তাঁর আদেশ পালনে এবং বিনয় ও নম্রতায় সদা নিমগ্ন থাকবে। যেমন অন্য স্থানে রয়েছেঃ
﴿وَ لَهۤ اَسْلَمَ مَنْ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ طَوْعًا وَّ كَرْهًا وَّ اِلَیْهِ یُرْجَعُوْنَ﴾ ‘অথচ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, ইচ্ছা ও অনিচ্ছাক্রমে সবাই তাঁর উদ্দেশ্যে আত্মসমর্র্পণ করছে এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে। (৩ নং সূরা আল ‘ইমরান, আয়াত নং ৮৩) আহকামের ব্যাপারে পার্থক্য থাকলেও সমস্ত নবীর ধর্ম এই ইসলামই ছিলো। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ
﴿وَمَاۤاَرْسَلْنَامِنْقَبْلِكَمِنْرَّسُوْلٍاِلَّانُوْحِیْۤاِلَیْهِاَنَّهلَاۤاِلٰهَاِلَّاۤاَنَافَاعْبُدُوْنِ﴾
‘আমি তোমার পূর্বে এমন কোন রাসূল প্রেরণ করিনি তার প্রতি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ এই ওয়াহী ব্যতীত; সুতরাং তোমরা আমারই ‘ইবাদত করো। (২১ নং সূরা আম্বিয়া, আয়াত নং ২৫) এ বিষয়ে আরো বহু আয়াত রয়েছে এবং বহু হাদীসও এসেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
"نحن مَعْشَرَ الأنبياء أولاد عَلات ديننا واحد". ‘আমরা বৈমাত্রেয় ভাই, আমাদের একই ধর্ম।’ (সহীহুল বুখারী ৬/৩৪৪৩, সহীহ মুসলিম ২/১৪৫/১৮৩৭, সুনান আবূ দাউদ ৪/৪৬৭৫, মুসনাদে আহমাদ ২/৩১৯, ৪০৬, ৪৩৭, ৪৮২)
অতঃপর মহান আল্লাহ বলেন ﴿تِلْكَ اُمَّةٌ قَدْ خَلَتْ﴾ ‘এটা একটা দল ছিলো যা অতীত হয়ে গেছে, তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে তোমাদের কোন উপকার হবে না। তাদের কৃতকর্ম তাদের জন্য এবং তোমাদের কৃতকর্ম তোমাদের জন্য। তাদের কার্যাবলী সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না।’ এ জন্যই হাদীসে এসেছেঃ من أبطأ به عمله لم يسرع به نسبه
‘যার কাজ বিলম্বিত হবে তার বংশ তাকে ত্বরান্বিত করবে না।’ (হাদীসটি সহীহ। সহীহ মুসলিম- ৪/৩৮/২০৭৪, সুনান আবূ দাউদ-৩/৩১৭/৩৬৪৩, জামি‘ তিরমিযী ৫/১৭৯/২৯৪৫, সুনান ইবনে মাজাহ ১/২২৫/৮২, মুসনাদে আহমাদ ২/২৫২/৭৪২১) অর্থাৎ সে সৎ কাজে বিলম্ব করবে তার বংশ মর্যাদা তার কোন উপকারে আসবেনা।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings