Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 132
Saheeh International
And Abraham instructed his sons [to do the same] and [so did] Jacob, [saying], "O my sons, indeed Allah has chosen for you this religion, so do not die except while you are Muslims."
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
নির্বোধরাই ইব্রাহীম (আঃ) এর সরল পথ থেকে বিচ্যুত
কাফিররা যা কিছু নতুন আবিস্কার করে দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং মহান আল্লাহ্র সাথে অংশীদার স্থাপন করে যে বিপর্যয় ঘটিয়েছে অত্র আয়াতসমূহের মাধ্যমে মহান আল্লাহ ঐ সব মুশরিকদের দাবী খণ্ডন করে তাদেরকে নির্বোধ ও বোকা বলে আখ্যায়িত করেছেন। তারা নিজেদেরকে ইব্রাহীম (আঃ)-এর ধর্মের অনুসারী বলে দাবী করতো, অথচ তারা পূর্ণ মুশরিক ছিলো। আর ইবরাহীম (আঃ) তো একাত্মবাদীদের ইমাম ছিলেন। তিনি তাওহীদকে র্শিক হতে পৃথককারী ছিলেন। সারা জীবন চোখের পলক পরিমাণও মহান আল্লাহ্র সাথে কাউকে শরীক করেন নি। বরং তিনি প্রত্যেক অংশীবাদীকে, প্রত্যেক প্রকারের র্শিককে এবং কৃত্রিম মা‘বূদকে অন্তরের সাথে ঘৃণা করতেন এবং তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। এ কারণেই তিনি স্বীয় সম্প্রদায় হতে পৃথক হয়ে যান, স্বদেশ ত্যাগ করেন, এমন কি পিতার বিরুদ্ধাচরণ করতেও দ্বিধাবোধ করেন নি। তিনি পরিস্কারভাবে বলে দেনঃ
﴿یٰقَوْمِ اِنِّیْ بَرِیْٓءٌ مِّمَّا تُشْرِكُوْنَ۷۸ اِنِّیْ وَجَّهْتُ وَجْهِیَ لِلَّذِیْ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ حَنِیْفًا وَّمَاۤ اَنَا مِنَ الْمُشْرِكِیْنَ﴾
‘হে আমার সম্প্রদায়! আমি মুক্ত, তোমাদের শিরকের সাথে আমার আদৌ কোন সম্পর্ক নেই। আমার মুখমণ্ডলকে আমি একনিষ্ঠভাবে সেই মহান সত্ত্বার দিকে ফিরাচ্ছি যিনি নভোমণ্ডল ও ভূ-মণ্ডল সৃষ্টি করেছেন, আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। (৬ নং সূরা আন‘আম, আয়াত নং ৭৮-৭৯)
অন্যত্র ইবরাহীম (আঃ) স্পষ্ট ভাষায় তাঁর সম্প্রদায়কে বলেছিলেনঃ
﴿وَ اِذْ قَالَ اِبْرٰهِیْمُ لِاَبِیْهِ وَ قَوْمِهٖۤ اِنَّنِیْ بَرَآءٌ مِّمَّا تَعْبُدُوْنَۙ۲۶ اِلَّا الَّذِیْ فَطَرَنِیْ فَاِنَّهٗ سَیَهْدِیْنِ﴾
‘স্মরণ করো সে সময়ের কথা, যখন ইব্রাহীম (আঃ)-স্বীয় পিতা এবং সম্প্রদায়কে বলেছিলোঃ তোমরা যাদের পূজা করো তাদের সাথে আমার সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক আছে শুধু তাঁরই সাথে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই আমাকে সৎ পথে পরিচালিত করবেন। (৪৩ নং সূরা যুখরুফ, আয়াত নং ২৬-২৭) অন্য স্থানে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেনঃ
﴿وَ مَا كَانَ اسْتِغْفَارُ اِبْرٰهِیْمَ لِاَبِیْهِ اِلَّا عَنْ مَّوْعِدَةٍ وَّعَدَهَاۤ اِیَّاهُ١ۚ فَلَمَّا تَبَیَّنَ لَهٗۤ اَنَّهٗ عَدُوٌّ لِّلّٰهِ تَبَرَّاَ مِنْهُ١ؕ اِنَّ اِبْرٰهِیْمَ لَاَوَّاهٌ حَلِیْمٌ﴾
আর ইবরাহীমের নিজ পিতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা তো শুধু সেই ওয়া‘দার কারণে ছিলো, যে ওয়া‘দা সে তার সাথে করেছিলো। অতঃপর যখন তার নিকট এ বিষয় প্রকাশ পেলো যে, সে (পিতা) মহান আল্লাহ্র দুশমন, তখন সে তা হতে সম্পূর্ণ রূপে নিলিপ্ত হয়ে গেলো। বাস্তবিকই ইবরাহীম ছিলো অতিশয় কোমল হৃদয়, সহনশীল। (৯ নং সূরা তাওবাহ, আয়াত নং ১১৪)
অন্যত্র মহান আল্লাহ রয়েছেঃ
﴿اِنَّ اِبْرٰهِیْمَ كَانَ اُمَّةً قَانِتًا لِّلّٰهِ حَنِیْفًا١ؕ وَ لَمْ یَكُ مِنَ الْمُشْرِكِیْنَۙ۱۲۰ شَاكِرًا لِّاَنْعُمِهٖ١ؕ اِجْتَبٰىهُ وَهَدٰىهُ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ۱۲۱ وَاٰتَیْنٰهُ فِی الدُّنْیَا حَسَنَةً١ؕ وَاِنَّهٗ فِی الْاٰخِرَةِ لَمِنَ الصّٰلِحِیْنَ﴾
নিশ্চয়ই ইবরাহীম ছিলো এক উম্মাত মহান আল্লাহ্র অনুগত, একনিষ্ঠ এবং সে ছিলো না মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত। সে ছিলো মহান আল্লাহ্র অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞ; মহান আল্লাহ তাকে মনোনীত করেছিলেন এবং তাকে পরিচালিত করেছিলেন সরল পথে। আমি তাকে দুনিয়ায় দিয়েছিলাম মঙ্গল এবং আখিরাতেও নিশ্চয়ই সে সৎকর্মপরায়ণদের অন্যতম। (১৬ নং সূরা নাহল, আয়াত নং ১২০-১২২)
এই আয়াতসমূহের ন্যায় এখানেও মহান আল্লাহ বলেন যে, নিজেদের জীবনের ওপর অত্যাচারকারী ও পথভ্রষ্ট ব্যক্তিরাই শুধু ইব্রাহীম (আঃ) এর ধর্মকে ত্যাগ করে থাকে। কেননা ইবরাহীম (আঃ) কে মহান আল্লাহ হিদায়াতের জন্য মনোনীত করেছিলেন। আর বাল্যকাল হতেই তাঁকে সত্য অনুধাবনের তাওফীক দান করেছিলেন। ‘খালীল’ এর ন্যায় সম্মানিত উপাধি একমাত্র তাঁকেই দান করেছিলেন। আখিরাতেও তিনি ভাগ্যবান লোকদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। তাঁর পথ ও ধর্মকে ছেড়ে যারা ভ্রান্ত পথ ধারণ করে, তাদের মতো নির্বোধ ও অত্যাচারী আর কে হতে পারে? মহান আল্লাহ বলেনঃ
﴿اِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِیْمٌ﴾ ‘নিশ্চয়ই র্শিক চরম যুল্ম।’ (৩১ নং সূরা লুকমান, আয়াত নং ১৩)
আবুল ‘আলিয়া (রহঃ)এবং কাতাদাহ (রহঃ) বলেন যে, এই আয়াতে ইয়াহুদীদের দাবীকেও খণ্ডন করা হয়েছে যারা দ্বীনের মধ্যে বিদ‘আত সৃষ্টি করেছে এবং মিল্লাতে ইবরাহীম থেকে দূরে সরে গেছে। (তাফসীর ইবনে আবি হাতিম ১/৩৯২) যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ
﴿مَا كَانَ اِبْرٰهِیْمُ یَهُوْدِیًّا وَّ لَا نَصْرَانِیًّا وَّ لٰكِنْ كَانَ حَنِیْفًا مُّسْلِمًا١ؕ وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِیْنَ۶۷ اِنَّ اَوْلَى النَّاسِ بِاِبْرٰهِیْمَ لَلَّذِیْنَ اتَّبَعُوْهُ وَ هٰذَا النَّبِیُّ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا١ؕ وَ اللّٰهُ وَلِیُّ الْمُؤْمِنِیْنَ﴾
‘ইবরাহীম ইয়াহুদী ছিলো না এবং খ্রিষ্টানও ছিলো না, বরং সে সুদৃঢ় মুসলিম ছিলো এবং সে মুশরিকদের অর্থাৎ অংশীবাদীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলো না। নিঃসন্দেহে ঐ সব লোক ইবরাহীমের নিকটতম যারা তার অনুসরণ করেছে এবং এই নবী এবং তাঁর সাথের মু’মিনগণ: আর মহান আল্লাহ বিশ্বাসীগণের অভিভাবক।’ (৩ নং সূরা আল ‘ইমরান, আয়াত নং ৬৭-৬৮)
অতঃপর মহান আল্লাহ্র বাণীঃ
﴿اِذْ قَالَ لَهٗ رَبُّهٗۤ اَسْلِمْ١ۙ قَالَ اَسْلَمْتُ لِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ﴾ ‘তার প্রতিপালক যখন তাকে বলেছিলেন, ‘তুমি আত্মসমর্পণ করো’, উত্তরে সে বললো, ‘আমি সারা জগতের প্রতিপালকের কাছে আত্মসমর্পণ করলাম’। এই একাত্মবাদের মিল্লাতের উপদেশই ইবরাহীম (আঃ) ইয়া‘কূব (আঃ) তাদের সন্তানগণকে দিয়েছিলো। অতঃপর মহান আল্লাহ্র বাণী ووصى بها ابراهيم وبنيه এর মধ্যস্থিত ها সর্বনামটির প্রত্যাবর্তনস্থল হয়তো বা ملت হবে অথবা كلمة হবে। ملت এর ভাবার্থ হচ্ছে ইসলাম। আর كلمة এর ভাবার্থ হচ্ছে اسلمتلربالعالمين। ইসলামের প্রতি তাঁদের প্রেম ও ভালোবাসা কতো বেশি যে, তাঁরা নিজেরা সারা জীবন তার ওপর অটল ছিলেন এবং তাদের সন্তানদেরকেও তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার উপদেশ দিয়েছেন। অন্য জায়গায় রয়েছেঃ ﴿وَ جَعَلَهَا كَلِمَةًۢ بَاقِیَةً فِیْ عَقِبِهٖ﴾
এই ঘোষণাকে সে স্থায়ী বাণীরূপে রেখে গেছে তার পরবর্তীদের জন্য। (৪৩ নং সূরা যুখরুফ, আয়াত নং ২৮)
কোন কোন মনীষী (وَيَعْقُوْبُ) এ রকমও পড়েছেন। তখন এটার সংযোগ হবে بَنِيْهِ এর সাথে। বলা হয়ঃ ‘ইবরাহীম (আঃ) তার সন্তানদেরকে এবং সন্তানদের সন্তান ইয়া‘কূব (আঃ) কে ইসলামের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার উপদেশ দিয়েছিলেন।’ কুশাইরী (রহঃ) বলেন যে, ইয়া‘কূব (আঃ) ইব্রাহীম (আঃ)-এর মৃত্যুর পর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর এ দাবী ভিত্তিহীন, এর ওপর কোন বিশুদ্ধ দালীল নেই। বরং স্পষ্টত জানা যাচ্ছে যে, ইব্রাহীম (আঃ)-এর জীবদ্দশায়ই ইয়া‘কূব (আঃ) ইসহাক (আঃ)-এর ঔরসে জন্মগ্রহণ করেন। কেননা কুর’আনুল হাকীমের আয়াতে রয়েছেঃ
﴿قَآىِٕمَةٌ فَضَحِكَتْ فَبَشَّرْنٰهَا بِاِسْحٰقَ١ۙ وَ مِنْ وَّرَآءِ اِسْحٰقَ یَعْقُوْبَ﴾ ‘তখন আমি তাকে (ইবরাহীমের স্ত্রীকে) সুসংবাদ দিলাম ইসহাকের এবং ইসহাকের পর ইয়া‘কূব এর।’ (১১ নং সূরা হুদ, আয়াত নং ৭১)
তাহলে যদি ইয়া‘কূব (আঃ) ইব্রাহীম (আঃ) এর জীবদ্দশায় বিদ্যমান না থাকতেন তাহলে তাঁর নাম নেয়ার কোন প্রয়োজন থাকতো না। সূরা ‘আনকাবূতেও রয়েছেঃ
﴿وَ وَهَبْنَا لَهٗۤ اِسْحٰقَ وَ یَعْقُوْبَ وَ جَعَلْنَا فِیْ ذُرِّیَّتِهِ النُّبُوَّةَ وَ الْكِتٰبَ﴾
‘আমি ইবরাহীমকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়া‘কূব এবং তার বংশধরদের জন্য স্থির করলাম নবুওয়াত ও কিতাব।’ (২৯ নং সূরা ‘আনকাবূত, আয়াত নং ২৭) অন্য জায়গায় রয়েছেঃ
﴿وَوَهَبْنَالَهٗۤاِسْحٰقَ١ؕوَیَعْقُوْبَنَافِلَةً﴾
‘আর আমি ইবরাহীমকে দান করেছিলাম ইসহাক এবং পুরস্কার স্বরূপ ইয়া‘কূব।’ (২১ নং সূরা আম্বিয়া, আয়াত নং ৭২)
এই সব আয়াত দ্বারা জানা যাচ্ছে যে, ইয়া‘কূব (আঃ) ইব্রাহীম (আঃ) এর জীবদ্দশায় বিদ্যমান ছিলেন।
সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে আবূ যার (রাঃ) থেকে একটি হাদীস বর্ণিত আছে। তিনি বলেনঃ
قلت: يا رسول الله، أي مسجد وضع أول؟ قال: "المسجد الحرام"، قلت: ثم أي؟ قال: "بيت المقدس". قلت: كم بينهما؟ قال: "أربعون سنة"
‘আমি বলি, হে মহান আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! কোন মাসজিদটি সর্বপ্রথম নির্মিত হয়?’ তিনি বলেনঃ ‘মাসজিদুল হারাম।’ আমি বলি, ‘তার পরে কোনটি?’ তিনি বলেনঃ ‘বায়তুল মুকাদ্দাস।’ আমি বলি, ‘এ দু’টির মধ্যে সময়ের ব্যবধান কতো?’ তিনি বলেনঃ ‘চল্লিশ বছর।’ (হাদীসটি সহীহ। সহীহুল বুখারী-৬/৩৩৬৬, সহীহ মুসলিম ১/১/৩৭০, মুসনাদে আহমাদ ৫/১৫০, ১৫৬, ১৫৭, ১৬০, ১৬৬, ১৬৭, ফাতহুল বারী ৬/৪৬৯) বর্ণিত আছে যে, সুলাইমান (আঃ) ছিলেন বায়তুল মুকাদ্দাসের মেরামতকারী, তিনি এর নির্মাতা ছিলেন না। এ রকমই ইয়া‘কূব (আঃ) উপদেশ দিয়েছিলেন, যেমন অতি সত্বরই আলোচনা আসছে।
আমৃত্যু তাওহীদের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে হবে
এরপর বলা হয়েছেঃ
﴿یٰبَنِیَّ اِنَّ اللّٰهَ اصْطَفٰى لَكُمُ الدِّیْنَ فَلَا تَمُوْتُنَّ اِلَّا وَ اَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ﴾ নবীগণেরও (আঃ) ওয়াসীয়াতের ভাবার্থ হচ্ছে এইঃ ‘তোমরা তোমাদের জীবদ্দশায় সৎ কর্মশীল হও এবং তার ওপরে প্রতিষ্ঠিত থাকো, যেন মৃত্যুও তার ওপরেই হয়।’ সাধারণ সেই ইহলৌকিক জীবনের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকে এবং তার মৃত্যুও এর ওপরেই হয়ে থাকে, এবং যার ওপরেই মৃত্যু বরণ করে তার ওপরেই কিয়ামতের দিন তার উত্থান হবে। মহান আল্লাহ্র বিধান এই যে, যে ব্যক্তি ভালো কাজের ইচ্ছা পোষণ করে, তিনি তাকে সেই কাজে তাওফীক প্রদান করেন এবং ঐ কাজ করার জন্য সহজ করে দেন ও তাকে তারই ওপর অটল রাখেন। এই কথাগুলো নিম্নোক্ত সহীহ হাদীসের বিপরীত নয়। হাদীসটি হলোঃ
"إن الرجل ليعمل بعمل أهل الجنة حتى ما يكون بينه وبينها إلا بَاعٌ أو ذراع، فيسبق عليه الكتاب، فيعمل بعمل أهل النار فيدخلها . وإن الرجل ليعمل بعمل أهل النار حتى ما يكون بينه وبينها إلا باع أو ذراع، فيسبق عليه الكتاب، فيعمل بعمل أهل الجنة فيدخلها"
কোন ব্যক্তি জান্নাতের অধিবাসীদের ন্যায় ‘আমল করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে এমন হয় যে, যেন জান্নাতে প্রবেশ করতে তার ও জান্নাতের মাঝে এক বাহু পরিমাণ ব্যবধান রয়েছে। এমতাবস্থায় কিতাবের লেখাটিই তার ওপর অগ্রগামী হয়ে যায় ফলে সে জাহান্নীদের ন্যায় ‘আমল করে এবং এক পর্যায়ে সে জাহান্নামেই প্রবেশ করে। আবার কেউ কেউ জাহান্নামের কাজ করতে করতে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, তার এবং জাহান্নামের মাঝে এক হাত কিংবা তার চেয়েও কম দূরত্ব থাকে। অতঃপর তার ভাগ্য তার ওপর বিজয় লাভ করে। ফলে সে জান্নাতের কাজ করতে থাকে এবং অবশেষে তা জান্নাতে প্রবেশ করে। (হাদীসটি সহীহ। সহীহুল বুখারী ৬/৩২০৮, ৩৩৩৬, সহীহ মুসলিম ৪/১/২০৩৬, সুনান আবূ দাউদ-৪/২২৮/৪৭০৮, জামি‘ তিরমিযী ৪/২১৩৭, সুনান ইবনে মাজাহ ১/৭৬/২৯, মুসনাদে আহমাদ ১/৩৮২/৪১৪, ফাতহুল বারী ৬/১০৫) কেননা এই হাদীসটি কোন বর্ণনায় সবাব বা কারণ বলা হয়েছে যেঃ
"فيعمل بعمل أهل الجنة فيما يبدو للناس، ويعمل بعمل أهل النار فيما يبدو للناس.
অতঃপর সে জান্নাতীদের ন্যায় ‘আমল করে যা মানুষদের কাছে আবার প্রকাশও করে এবং সে জাহান্নামীদের ন্যায় ‘আমল করে আবার তা জনগণের নিকট প্রকাশ করে।
তাছাড়া মহান আল্লাহ তো বলেছেনইঃ
﴿فَاَمَّا مَنْ اَعْطٰى وَ اتَّقٰىۙ۵ وَ صَدَّقَ بِالْحُسْنٰىۙ۶فَسَنُیَسِّرُهٗ لِلْیُسْرٰىؕ۷ وَ اَمَّا مَنْۢ بَخِلَ وَاسْتَغْنٰىۙ۸ وَ كَذَّبَ بِالْحُسْنٰىۙ۹ فَسَنُیَسِّرُهٗ لِلْعُسْرٰى﴾
‘সুতরাং কেউ দান করলে, সংযত হলে এবং ভালো বিষয়কে সত্যজ্ঞান করলে অচিরেই আমি তার জন্য সুগম করে দিবো সহজ পথ। পক্ষান্তরে কেউ কার্পন্য করলে ও নিজেকে স্বয়ং সম্পূর্ণ মনে করলে, আর যা উত্তম তা অস্বীকার করলে অচিরেই তার জন্য আমি সুগম করে দিবো কঠোর পরিণামের পথ। (৯২ নং সূরা লাইল, আয়াত নং ৫-১০)
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings