Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 129
Saheeh International
Our Lord, and send among them a messenger from themselves who will recite to them Your verses and teach them the Book and wisdom and purify them. Indeed, You are the Exalted in Might, the Wise."
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
সর্বশেষ নবীর ব্যাপারে ইব্রাহীম (আঃ)-এর প্রার্থনা
‘হারাম’ এলাকাবাসীদের জন্য এটা আরো একটি দু‘আ যে তাঁর সন্তানদের মধ্য হতেই যেন একজন নবী তাদের মধ্যে আগমন করেন। এ প্রার্থনাও গৃহীত হয়। মুসনাদ আহমাদে রয়েছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
"إني عند الله لخاتم النبيين، وإن آدم لمنجدل في طينته، وسأنبئكم بأول ذلك، دعوة أبي إبراهيم، وبشارة عيسى بي، ورؤيا أمي التي رأت، وكذلك أمهات النبيين يَرَيْنَ".
‘আমি তখন থেকেই শেষ নবী যখন আদম (আঃ) মাটির আকারে ছিলেন। আমি তোমাদেরকে আমার প্রাথমিক কথার সংবাদ দিচ্ছি। আমি আমার পিতা ইব্রাহীম (আঃ)-এর প্রার্থনা, ঈসার (আঃ) সুসংবাদ এবং আমার মায়ের স্বপ্ন।’ নবীগণের মায়েরা এরকমই স্বপ্ন দেখে থাকেন। (হাদীসটি সহীহ। মুসনাদে আহমাদ ৪/১২৭, আল মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ ৮/২২৩)
আবূ উমামা (রাঃ) একবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করেনঃ ‘হে মহান আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনার নবুওয়াতের সূচনা কিরূপে হয়?’ তিনি বললেনঃ
"دعوة أبي إبراهيم، وبشرى عيسى بي، ورأت أمي أنه خرج منها نور أضاءت له قصور الشام"
‘আমার পিতা ইব্রাহীম (আঃ) এর প্রার্থনা, আমার সম্বন্ধে ‘ঈসা (আঃ) এর সুসংবাদ দান। তিনি আরো বলেছেনঃ আমার মা স্বপ্নে দেখেন যে, তার মধ্য হতে যেন একটি আলো বেরিয়ে সিরিয়ার প্রাসাদগুলোকে আলোকিত করে দিলো এবং তা দৃষ্টিগোচর হতে থাকলো।’ (হাদীসটি সহীহ। সিলসিলাতুস সহীহা-১৫৪৫, মুসনাদে আহমাদ ৫/২৬২, আল মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ ৮/২২২) তাঁর মায়ের স্বপ্নের কথা পূর্ব হতেই ‘আরবে ছড়িয়ে ছিলো। তারা বলতো যে, আমিনার গর্ভে কোন একজন মহান ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করবেন। বানী ইসরাঈলের শেষ নবী ‘ঈসা রুহুল্লাহ (আঃ) বানী ইসরাঈলের মধ্যে খুতবা দেয়ার সময় পরিস্কারভাবে তাঁর নামও বলে দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেনঃ
﴿اِنِّیْ رَسُوْلُ اللّٰهِ اِلَیْكُمْ مُّصَدِّقًا لِّمَا بَیْنَ یَدَیَّ مِنَ التَّوْرٰىةِ وَ مُبَشِّرًۢا بِرَسُوْلٍ یَّاْتِیْ مِنْۢ بَعْدِی اسْمُهۤ اَحْمَدُ﴾
‘আমি তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ্র রাসূল এবং আমার পূর্ব হতে তোমাদের নিকট যে তাওরাত রয়েছে আমি এর সমর্থক এবং আমার পর আহমাদ নামে যে রাসূল আসবেন আমি তাঁর সুসংবাদ দাতা। (৬১ নং সূরা সাফফ, আয়াত নং ৬) আর এজন্যই মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘আমার পিতা ইব্রাহীম (আঃ) এর প্রার্থনা, আমার সম্বন্ধে ‘ঈসা ইবনে মারইয়াম (আঃ) এর সুসংবাদ দান।’
বলা হয়ে থাকে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গর্ভে থাকাবস্থায় স্বীয় মাতা আমিনা স্বপ্নটি দেখেছিলেন এবং তাদের মাঝে তা ছড়িয়ে পড়ে ও প্রসিদ্ধতা লাভ করেছিলো। স্বপ্নের মধ্যে নূর দ্বারা সিরিয়ার প্রাসাদগুলো আলোকোজ্জ্বল হওয়া ঐ কথার দিকে ইঙ্গিত করছে যে, সেখানে দীন ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে। বরং বিভিন্ন বর্ণনা দ্বারাও সাব্যস্ত হয়েছে যে, শেষ যামানায় সিরিয়া ইসলাম ও মুসলিমদের কেন্দ্রভূমিতে পরিণত হবে। সিরিয়ার প্রসিদ্ধ শহর দামেশকেই ‘ঈসা (আঃ) ‘মিনারের’ ওপর অবতীর্ণ হবেন। সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিম কিতাবদ্বয়ে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
"لا تزال طائفة من أمتي ظاهرين على الحق لا يضرهم من خذلهم ولا من خالفهم حتى يأتي أمر الله وهم كذلك". وفي صحيح البخاري: "وهم بالشام".
‘আমার উম্মাতের একটি দল সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। তাদের বিরুদ্ধবাদীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। অবশেষে মহান আল্লাহ্র হুকুম এসে যাবে। সহীহুল বুখারীতে ‘এটা সিরিয়ায় হবে’ এতোটুকু বেশি আছে। (হাদীসটি সহীহ। সহীহুল বুখারী ৭৪৬০, ১/৭১, ৬/৩১১৬, ৬/৩৬৪১, ফাতহুল বারী ৬/৭৩১, সহীহ মুসলিম ২/১৫২৪, ৩/১৭৪/১৫২৪, মুসনাদ আহমাদে ৪/১০১, সুনান আবূ দাউদ ৪/৪২৫২, সুনান ইবনে মাজাহ ২/৩৯৫২)
‘কিতাব ওয়াল হিকমাহ’ এর অর্থ
আবূ জা‘ফর আর রাযী, তিনি রাবী‘ ইবনে আনাস থেকে, তিনি আবুল ‘আলীয়া (রহঃ) থেকে ربنا وابعث فيهم رسولا منهم ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের মাঝে একজন রাসূল তাদের মধ্য থেকেই প্রেরণ করুন’ আয়াতাংশের মধ্যেস্থিত ‘তাদের মাঝে’ দ্বারা উম্মাতে মুহাম্মাদী উদ্দেশ্য। অতঃপর তাকে যেন বলা হলো তোমার দু‘আ কবূল করা হলো এবং তা শেষ যামানায় বাস্তবায়িত হবে। সুদ্দী (রহঃ) এবং কাতাদাহ (রহঃ) ও এরূপই বলেছেন। অতঃপর মহান আল্লাহ বলেন, ويعلمهم الكتاب والحكمة ‘আর সে তাদেরকে কিতাব শিক্ষা দিবে’ অত্র আয়াতাংশের মধ্যে ‘কিতাব’ এর অর্থ হচ্ছে ‘কুর’আন’ এবং ‘হিকমাত’ এর ভাবার্থ হচ্ছে ‘সুন্নাহ।’ হাসান বাসরী (রহঃ), কাতাদাহ (রহঃ), মুকাতিল ইবনে হিব্বান (রহঃ) এবং আবূ মালিক (রহঃ)প্রমুখও এ কথাই বলেছেন। (তাফসীর ইবনে আবি হাতিম ১/৩৯০) আবার কেউ কেউ ‘হিকমাত’ দ্বারা দ্বীনের সঠিক বুঝও উদ্দেশ্য নিয়েছেন। ويزكيهم‘ ‘আর তাদেরকে পবিত্র করবে’ অর্থাৎ আনুগত্য ও আন্তরিকতা শিক্ষা দিবে, ভালো কাজ করবে, মন্দ কাজ হতে বিরত রাখবে, মহান আল্লাহ্র আনুগত্য স্বীকার করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করবে, অবাধ্যতা হতে বিরত রেখে তাঁর অসন্তুষ্টি হতে বেঁচে থাকা। মহান আল্লাহ ‘আযীয’ অর্থাৎ যাঁকে কোন জিনিস অসামর্থ্য করতে পারে না, যিনি প্রত্যেক জিনিসের ওপর বিজয়ী। তিনি ‘হাকিম’ অর্থাৎ তাঁর কোন কথা ও কাজ বিজ্ঞান এবং নৈপুণ্য হতে শূন্য নয়। তিনি প্রত্যেক জিনিসকেই তার আপন স্থানে জ্ঞান, ইনসাফ ও ‘ইল্মের সাথে রেখেছেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings