Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 123
Saheeh International
And fear a Day when no soul will suffice for another soul at all, and no compensation will be accepted from it, nor will any intercession benefit it, nor will they be aided.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১২২-১২৪ নং আয়াতের তাফসীর:
১২২ ও ১২৩ নং আয়াতের তাফসীর ৪৯ নং আয়াতে করা হয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর খলিল ইবরাহীম (রাঃ) সম্পর্কে সংবাদ দিচ্ছেন যে, তিনি ইবরাহীমকে কিছু “কালিমা” দ্বারা পরীক্ষা করেছেন। এ আয়াত “كلمات” বা বাক্য দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে সে সম্পর্কে মুফাসসিরদের কয়েকটি মত পাওয়া যায়। যেমন:
১. ইবনু আব্বাস (রাঃ)-সহ কয়েকজন সাহাবী বলেন: বাক্যগুলো হল- “الطهارة” বা পবিত্রতা। ৫টি শরীরের সাথে সম্পৃক্ত আর ৫টি মাথার সাথে সম্পৃক্ত।
মাথার সাথে সম্পৃক্তগুলো হচ্ছে: ১. গোঁফ খাট করা, ২. কুলি করা, ৩. নাক পরিস্কার করা ৪. মিসওয়াক করা এবং ৫. মাথা সিঁথি করা।
শরীরের সাথে সম্পৃক্তগুলো হচ্ছে: ১. নখ কাটা, ২. নাভীর নিচের লোম পরিস্কার করা, ৩. খাৎনা করা, ৪. বগলের পশম তোলা এবং ৫. শৌচকার্য করা।
এ কথা সহীহ মুসলিমের হাদীসের সাথে সামঞ্জস্যশীল। (সহীহ মুসলিম হা: ২৬১)
হাসান বসরী বলেন: তাঁকে পরীক্ষা করেছেন কতগুলো নির্দেশ দ্বারা; তিনি তাতে ধৈর্য ধারণ করেছেন। যেমন, নক্ষত্র, সূর্য, চন্দ্র ইত্যাদি। (তাফসীর ইবনে কাসীর, ১ম খণ্ড, ৩৬০)
কেউ বলেছেন, বাক্যগুলো হল কতগুলো আদেশ ও নিষেধ। (তাফসীরে সা‘দী, পৃঃ ৪৫, তাফসীরে মুয়াসসমার: ১৯)
সঠিক কথা হল- বাক্যসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, শরীয়তের বিধি-বিধান। যেমন হজ্জ ও হিজরতের বিধান এবং নমরুদের আগুনে নিক্ষেপ ইত্যাদি।
তবে হাফিয ইবনু কাসীর (রহঃ) বলেন: আমার কাছে গ্রহণযোগ্য কথা হল আল্লাহ তা‘আলা যেসকল বাক্য দ্বারা ইবরাহীমকে পরীক্ষা করেছেন তা পরেই উল্লেখ করে দিয়েছেন অর্থাৎ ইবরাহীমকে আল্লাহ তা‘আলা বললেন- “আমি তোমাকে সমগ্র মানব জাতির জন্য ইমাম বা নেতা বানাবো।
ইবরাহীম (আঃ) নিজ বংশধরের জন্য দু‘আ করলেন। আল্লাহ তা‘আলা জবাবে বললেন, কোন যালিমকে আমি ‘মিল্লাতে ইবরাহীমের ইমামতের দায়িত্বে নিয়োগ করব না।”
“আমার অঙ্গীকার অত্যাচারীদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না” অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা ইবরাহীম (আঃ)-এর দু‘আ কবূল করে তাঁর বংশে নবুওয়াত ও কিতাব দান করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَجَعَلْنَا فِيْ ذُرِّيَّتِهِ النُّبُوَّةَ وَالْكِتٰبَ)
“তার বংশধরদের দিলাম নবূওয়াত ও কিতাব।”(সূরা আনকাবুত ২৯:২৭)
তাই আল্লাহ তা‘আলা ইবরাহীম (আঃ)-এর পরবর্তীতে যত নাবী ও কিতাব প্রেরণ করেছেন সবই তাঁর বংশধরের মাঝেই প্রেরণ করেছেন। কিন্তু ইবরাহীম (আঃ) আল্লাহ তা‘আলার কাছে এত মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও তাঁর বংশে যারা জালিম ও মুশরিক হবে তাদের কেউ আল্লাহ তা‘আলার এ প্রতিশ্র“তি পাবে না। যদি ঈমান ও সৎ আমল না থাকে তাহলে বাপ-দাদা যত বড় নাবী বা ওলী হোক আল্লাহ তা‘আলার নিকট তার কোন মূল্য নেই। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যার আমল তাকে পিছিয়ে দিয়েছে তার বংশ মর্যাদা তাকে এগিয়ে দিতে পারবে না। (সহীহ মুসলিম হা: ২৬৯৯)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ঈমানের দিক দিয়ে মানুষ যত বড় তার পরীক্ষাও তত বড় হয়ে থাকে।
২. কোন যালিম ও মুশরিক ইসলামী খেলাফতের উপযুক্ত নয়।
৩. যারা ঈমান, আমল, ইলম ও ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত তাদের নিকট থেকে খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের প্রতিশ্র“তি নেয়া যাবে।
৪. নিজের ঈমান ও আমল না থাকলে বংশ মর্যাদা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings