Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 121
Saheeh International
Those to whom We have given the Book recite it with its true recital. They [are the ones who] believe in it. And whoever disbelieves in it - it is they who are the losers.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১২০-১২১ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আল্লাহ তা‘আলা জানিয়ে দিচ্ছেন যে, ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা যত ছলনা, প্রশ্ন ইত্যাদি করছে সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য হল- তারা তো তোমার ধর্মের অনুসারী হবেই না বরং তুমি যাতে তাদের ধর্মের অনুসারী হয়ে যাও এটাই তারা চায়। যদি তাদের ধর্মাবলম্বী হয়ে যাও তাহলে তোমার প্রতি তাদের কোন অভিযোগ থাকবে না এবং তারা তোমার প্রতি খুব খুশি হবে।
আল্লাহ তা‘আলা তাদের জবাব রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে শিখিয়ে দিচ্ছেন- বল, আমি যে দীন ইসলামের ওপর আছি তা-ই সঠিক।
তারপর আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ধমক দিয়ে বলছেন, যদি তোমার কাছে ওয়াহী আসার পরও তাদের কুপ্রবৃত্তির অনুসারী হও তাহলে তোমার প্রতি আল্লাহ তা‘আলার কোন অভিভাবকত্ব থাকবে না।
আজও ইয়াহূদী-খ্রিস্টানরা মুসলিমদেরকে সঠিক ধর্ম থেকে বিচ্যুত করার জন্য নানা পাঁয়তারা ও কৌশল অবলম্বন করছে। মনে রাখতে হবে মুসলিমদের প্রধান শত্র“ ইয়াহূদীরা ইসলামের সূচনালগ্ন থেকেই মুসলিমদের ক্ষতি করার জন্য পেছনে লেগে আছে, কয়েকবার নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে হত্যা করার অপচেষ্টাও চালিয়েছিল, তাদের কোন থাকার জায়গা ছিলনা, মুসলিমরাই তাদেরকে থাকার একটু জায়গা দিয়েছে, এখন তারা মুসলিমদেরকে চ্যালেঞ্জ করছে। সুতরাং সাবধান! তারা আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আদর্শ থেকে দূরে সরানোর জন্য সংস্কৃতির নামে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান, লেবাস-পোষাক ও উৎসব নিয়ে আসবে, আমরা যেন কোনক্রমেই তাদের ধোঁকায় না পড়ি।
(اَلَّذِيْنَ اٰتَيْنٰهُمُ الْكِتٰبَ يَتْلُوْنَه۫)
‘আমি যাদেরকে কিতাব দান করেছি’অর্থাৎ আহলে কিতাবদের মধ্যে যেমন খারাপ চরিত্রের লোক ছিল তেমনি ভাল লোকও ছিল, যারা ধর্মগ্রন্থ তেলাওয়াত করত। যেমন আব্দুল্লাহ বিন সালাম, ওহাব বিন মুনাব্বাহসহ আরো অনেক ইয়াহূদী যারা ইসলাম গ্রহণ করার তাওফীক পেয়েছিলেন।
(حَقَّ تِلَاوَتِه۪) –
‘সত্যভাবে বুঝার মত পাঠ করে’অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা যেভাবে নাযিল করেছেন সেভাবে তেলাওয়াত করে। যখন জান্নাতের সুখ-শাস্তি সম্বলিত আয়াত তেলাওয়াত করে তখন জান্নাত চায়। আর যখন জাহান্নামের শাস্তি সম্বলিত আয়াত তেলাওয়াত করে তখন তা থেকে মুক্তি চায়। যথাযথ জানা ও মানার চেষ্টা করে। যথা-
মুহকাম আয়াতের ওপর আমল করে এবং মুতাশাবাহ আয়াতের ওপর বিশ্বাস রাখে। যা সমস্যা মনে হয় তা আলেমদের কাছে সোপর্দ করে। (তাফসীর ইবনে কাসীর ১ম খণ্ড, ৩৫৫)
এরাই হল সৌভাগ্যবান যারা আল্লাহ তা‘আলার নেয়ামতকে চিনতে পেরেছে এবং তাঁর শুকরিয়া আদায় করেছে, সকল নাবীর প্রতি ঈমান এনেছে, ঈমান আনার ক্ষেত্রে তাদের মাঝে কোন পার্থক্য করেনি; এরাই প্রকৃত মু’মিন। এদেরই উল্লেখ করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(اَلَّذِیْنَ اٰتَیْنٰھُمُ الْکِتٰبَ مِنْ قَبْلِھ۪ ھُمْ بِھ۪ یُؤْمِنُوْنَﮃوَاِذَا یُتْلٰی عَلَیْھِمْ قَالُوْٓا اٰمَنَّا بِھ۪ٓ اِنَّھُ الْحَقُّ مِنْ رَّبِّنَآ اِنَّا کُنَّا مِنْ قَبْلِھ۪ مُسْلِمِیْنَﮄاُولٰ۬ئِکَ یُؤْتَوْنَ اَجْرَھُمْ مَّرَّتَیْنِ بِمَا صَبَرُوْا وَیَدْرَءُوْنَ بِالْحَسَنَةِ السَّیِّئَةَ وَمِمَّا رَزَقْنٰھُمْ یُنْفِقُوْنَ)
“তার পূর্বে আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছিলাম, তারা তাতে বিশ্বাস করে। যখন তাদের নিকট তা আবৃত্তি করা হয় তখন তারা বলে, ‘আমরা এতে ঈমান আনি, এটা আমাদের প্রতিপালক হতে আগত সত্য। আমরা তো পূর্বেও আত্মসমর্পণকারী ছিলাম; তাদেরকে দু‘বার প্রতিদান প্রদান করা হবে, যেহেতু তারা ধৈর্যশীল এবং তারা ভাল দ্বারা মন্দের মোকাবেলা করে ও আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা হতে তারা ব্যয় করে।”(সূরা কাসাস ২৮:৫২-৫৪)
পক্ষান্তরে আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ঈমান আনবে না তারা কাফির, তাদের ঠিকানা জাহান্নাম। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَن يَّكْفُرْ بِه۪ مِنَ الأَحْزَابِ فَالنَّارُ مَوْعِدُه۫)
“যারা একে অস্বীকার করে, জাহান্নামই তাদের প্রতিশ্র“ত স্থান।”(সূরা হুদ ১১:১৭)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ يَسْمَعُ بِي أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الأُمَّةِ ولايَهُودِي وَلاَ نَصْرَانِيٌّ ثُم لَا يُؤْمِنُ بِي إِلاَّ دَخَلَ النَّارِ
(রাঃ) সেই সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ! এ উম্মাতের মধ্যে যে কেউ ইয়াহূদী হোক বা খ্রিস্টান হোক আমার নির্দেশ শোনার পর আমার প্রতি ঈমান আনল না সে জাহান্নামে যাবে। (সহীহ মুসলিম হা: ২৪০)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুসলিমদের প্রধান শত্র“ ইয়াহূদী, তারা চায় মুসলিমরা সঠিক ধর্ম থেকে পথভ্রষ্ট হয়ে যাক।
২. যারা ইসলাম ধর্মের অনুশাসন যথাযথ মেনে চলে তাদের জন্য সুসংবাদ।
৩. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আগমনের পর যারা তাঁর প্রতি ঈমান আনবে না তারা কাফির ও জাহান্নামের অধিবাসী।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings