Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 117
Saheeh International
Originator of the heavens and the earth. When He decrees a matter, He only says to it, "Be," and it is.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১১৬ ও ১১৭ নং আয়াতের তাসফীর:
এ আয়াত দ্বারা ইয়াহূদী, খ্রিস্টান ও মুশরিকদের কথার প্রতিবাদ করা হয়েছে। তাদের কথা আল্লাহ তা‘আলার সন্তান আছে। যেমন অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা তাদের কথা তুলে ধরেছেন-
(وَقَالَتِ الْیَھُوْدُ عُزَیْرُ اۨبْنُ اللہِ وَقَالَتِ النَّصٰرَی الْمَسِیْحُ ابْنُ اللہِﺚ ذٰلِکَ قَوْلُھُمْ بِاَفْوَاھِھِمْﺆ یُضَاھِئُوْنَ قَوْلَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا مِنْ قَبْلُﺚ قٰتَلَھُمُ اللہُﺇ اَنّٰی یُؤْفَکُوْنَ)
“ইয়াহূদীগণ বলে, ‘উযায়ের আল্লাহর পুত্র’, এবং খ্রিস্টানগণ বলে, ‘মাসীহ আল্লাহর পুত্র।’সেটা তাদের মুখের কথা। পূর্বে যারা কুফরী করেছিল তারা তাদের মতো কথা বলে। আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন। আর কোন্ দিকে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে!” (সূরা তাওবাহ ৯:৩০)
তিনি আরো বলেন:
(وَيَجْعَلُونَ لِلّٰهِ الْبَنَاتِ)
“তারা নির্ধারণ করে আল্লাহর জন্য কন্যা সন্তান।” (সূরা নাহ্ল ১৬:৫৭)
আল্লাহ তা‘আলা সবকিছুর একচ্ছত্র মালিক। তিনি সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, সবকিছুর নিয়ন্ত্রণকারী ইত্যাদি। সবকিছু তাঁরই মুখাপেক্ষী। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। আল্লাহ তা‘আলার সমতুল্য কেউ নেই, কোন দৃষ্টান্ত নেই। তাই কিভাবে তাঁর সন্তান বা স্ত্রী থাকতে পারে?
এদের প্রতিবাদে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(بَلْ لَّه۫ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ)
“বরং আসমান ও জমিনে যা আছে সবই তাঁর জন্য।” (সূরা বাকারাহ ২:১১৬)
তিনি আরো বলেন:
(وَمَا یَنْۭبَغِیْ لِلرَّحْمٰنِ اَنْ یَّتَّخِذَ وَلَدًاﮫﺚاِنْ کُلُّ مَنْ فِی السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ اِلَّآ اٰتِی الرَّحْمٰنِ عَبْدًا)
“আর সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্য শোভন নয়! আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে এমন কেউ নেই, যে দয়াময়ের নিকট বান্দারূপে উপস্থিত হবে না।”(সূরা মারইয়াম ১৯:৯২-৯৩)
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আদম সন্তান আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। অথচ এটা তার উচিত নয়। আদম সন্তান আমাকে গালি দেয়, অথচ তা উচিত নয়। আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হল- তাদের বিশ্বাস তারা যেমন ছিল সেরূপ ফিরিয়ে আনতে আমি সক্ষম নই, আর আমাকে গালি দেয়া হল- তারা বলে আমার সন্তান আছে। আমি পবিত্র কোন স্ত্রী বা সন্তান গ্রহণ করা থেকে। (সহীহ বুখারী হা: ৪৪৮২)
তাই কেউ আল্লাহ তা‘আলার সন্তান নয়, স্ত্রী নয় বরং সবাই তাঁর বান্দা, সবাই তাঁর কাছে আনুগত্যশীল, বিনয়ী-নম্র। আল্লাহ তা‘আলা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা। যখন তিনি কোন কিছু করার ইচ্ছা পোষণ করেন তখন শুধু বলেন: “হয়ে যাও”সাথে সাথে তা হয়ে যায়।
অনুরূপ সূরা ইয়াসীনের ৮২ নং আয়াত, সূরা আল-ইমরানের ৫৯ নং আয়াতেও বলা হয়েছে। ==
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলা স্ত্রী-সন্তান গ্রহণ করা থেকে পুত-পবিত্র। তিনি একক, তাঁর কোন দ্বিতীয় নেই।
২. আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া যা কিছু আছে সবই তাঁর বান্দা ও মাখলুক।
৩. আল্লাহ তা‘আলার সাথে শরীক নির্ধারণ করা তাঁকে কষ্ট দেয়ার শামিল।
৪. আল্লাহ তা‘আলা ত‘আলার মহত্ব ও বড়ত্ব জানলাম। তিনি কোন ফায়সালা করার ইচ্ছা করলে শুধু ‘হও’বললেই তা হয়ে যায়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings