Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 112
Saheeh International
Yes [on the contrary], whoever submits his face in Islam to Allah while being a doer of good will have his reward with his Lord. And no fear will there be concerning them, nor will they grieve.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১১১ ও ১১২ নং আয়াতের তাফসীর:
এখানে ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের অহংকার ও আত্মম্ভরিতার কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। আর তা হলো তাদের প্রমাণবিহীন দাবি যে, কেবল তারাই জান্নাতে যাবে। কারণ তাদের কথা হল:
(نَحْنُ أَبْنَا۬ءُ اللّٰهِ وَأَحِبَّا۬ؤُه۫)
‘আমরা আল্লাহর পুত্র ও তার প্রিয়পাত্র।’(সূরা মায়িদাহ ৫:১৮)
তারা আরো বলে-
(نَحْنُ أَوْلِيَا۬ءُ اللّٰهِ)
আমরা আল্লাহ তা‘আলার বন্ধু। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে তোমাদের প্রমাণ উপস্থিত কর” অর্থাৎ এটা কেবল তাদের মুখের দাবি, কোন প্রমাণ নেই। যদি তাই হত তাহলে কেন কিয়ামতের দিন তাদের অপরাধের জন্য শাস্তি দেবেন।
তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, কোন দাবি-দাওয়া নয়, যে ব্যক্তি দু’টি শর্তে আমল করবে তার কোন চিন্তা নেই এবং কোন ভয়ও নেই।
১. (مَنْ أَسْلَمَ وَجْهَه۫ لِلّٰهِ)
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য নিজেকে সম্পূর্ণরূপে সমর্পণ করেছে’যে ব্যক্তি তার দীন ও আমলকে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য স্বচ্ছ করল তাঁর সাথে কাউকে অংশী স্থাপন করল না।
২. (وَهُوَ مُحْسِنٌ)
‘সৎকর্মশীল হয়েছে’অর্থাৎ যে ব্যক্তি রাসূলের সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করে তার জন্য এ সুসংবাদ।
একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য আমল করল কিন্তু রাসূলের সুন্নাত মোতাবেক করল না অথবা সুন্নাহ মোতাবেক করল কিন্তু আল্লাহ তা‘আলার জন্য খালেসভাবে করল না, তার আমলও প্রত্যাখ্যাত।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَقَدِمْنَآ إِلٰي مَا عَمِلُوا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنَاه۫ هَبَا۬ءً مَّنثُورًا)
“আমি তাদের কৃতকর্মের প্রতি লক্ষ করব, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করব।”(সূরা ফুরকান ২৫:২৩)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَمَنْ کَانَ یَرْجُوْا لِقَا۬ئَ رَبِّھ۪ فَلْیَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَّلَا یُشْرِکْ بِعِبَادَةِ رَبِّھ۪ٓ اَحَدًا)
“সুতরাং যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সৎ কর্ম করে ও তার প্রতিপালকের ‘ইবাদাতে কাউকেও শরীক না করে।”(সূরা কাহ্ফ ১৮:১১০)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
أَنَا أَغْنَي الشُّرَكَاءِ عَنِ الشِّرْكِ، مَنْ عَمِلَ عَمَلًا أَشْرَكَ فِيهِ مَعِي غَيْرِي، تَرَكْتُهُ وَشِرْكَهُ
আমি শির্ককারীদের শির্ক থেকে অমুখাপেক্ষী, যে ব্যক্তি কোন আমলে আমার সাথে অন্য কাউকে শরীক করল আমি তাকে ও তার শির্ককে বর্জন করব। (সহীহ মুসলিম হা: ২৯৮৫)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
منْ عَمِلَ عَمَلاً لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا ، فَهُوَ رَدٌّ
যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করল যা আমাদের নির্দেশ বহির্ভূত তা প্রত্যাখ্যাত। (সহীহ বুখারী হা: ৬৯১৭, সহীহ মুসলিম হা: ১৭১৮)
সুতরাং কোন ভ্রান্ত দাবি নয় বরং এক আল্লাহ তা‘আলা প্রতি ঈমান ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী আমলের মাধ্যমেই জান্নাত লাভ করা সম্ভব।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কোন প্রকার ভ্রান্ত দাবি আল্লাহ তা‘আলার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, বরং তাওহীদভিত্তিক ঈমান ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দেয়া তরীকানুযায়ী আমলের মাধ্যমে জান্নাতের আশা করা উচিত।
২. কাউকে আমল পিছনে ফেলে দিলে বংশ মর্যাদা সামনে নিয়ে যেতে পারে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings