Surah Al Baqarah Tafseer
Tafseer of Al-Baqarah : 106
Saheeh International
We do not abrogate a verse or cause it to be forgotten except that We bring forth [one] better than it or similar to it. Do you not know that Allah is over all things competent?
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১০৬ ও ১০৭ আয়াতের তাফসীর:
النسخ এর শাব্দিক অর্থ: দূরিভূত করা, শরীয়তের পরিভাষায়: চলমান কোন শরঈ বিধানকে পরবর্তী বিধান দ্বারা রহিত করাকে النسخ বলা হয়। কুরআনের এক আয়াত বা অংশ দ্বারা অন্য আয়াত বা অংশকে রহিত করার ব্যাপারে সকল আলেম একমত। তবে সুন্নাত দ্বারা কুরআনের কোন আয়াত বা অংশকে রহিত করার ব্যাপারে দু’টি মত রয়েছে:
১. কুরআন, মুতাওয়াতির হাদীস দ্বারা মানসূখ হতে পারে। এ বিষয়ে তিন ইমাম (ইমাম মালেক, আবূ হানিফা ও আহমাদ) একমত। কেননা উভয়টাই ওয়াহী।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوٰي إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُّوْحٰي)
“এবং তিনি প্রবৃত্তি হতেও কথা বলেন না। এটা তো এক ওয়াহী, যা তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়।”(সূরা নাজম ৫৩:৩-৪)
২. মুতাওয়াতির নয় এমন হাদীস (খবরে আহাদ) দ্বারা কুরআনকে মানসূখ করার ব্যাপারে অধিকাংশ আলেম না-যায়েজ বলেছেন। কেননা কুরআন দ্বারা ইয়াকিন বা দৃঢ় বিশ্বাস অর্জিত হয় কিন্তু হাদীস দ্বারা তা হয় না।
কুরআনে নাসখ বা রহিতকরণ তিন প্রকার রয়েছে:
(ক) কোন আয়াত বিধানসহ রহিত করে তার স্থলে অন্য নতুন আয়াত ও বিধান অবতীর্ণ করা হয়েছে।
(খ) তেলাওয়াত বহাল রেখে আয়াতের বিধান রহিত করা হয়েছে।
(গ) কেবল তেলাওয়াত রহিত করা হয়েছে বিধান বহাল আছে। যেমন:
(والشيخ و الشيخة اذا زنيا فارجموهما البنة)
“বৃদ্ধ (বিবাহিত) পুরুষ ও বৃদ্ধা (বিবাহিতা) নারী যদি ব্যভিচার করে তাহলে তাদেরকে অবশ্যই পাথর মেরে হত্যা কর।”(মুআত্তা ইমাম মালেক)
ইয়াহূদীগণ আয়াত রহিতকরণ হওয়াকে অস্বীকার করে। তাদের দাবি যদি কোন আয়াত রহিত করে নতুন আয়াত দেয়া হয় তাহলে এটা বুঝা যায় যে, আল্লাহ তা‘আলা পূর্বে জানতেন না এ আয়াত বান্দাদের জন্য উপযোগী নয়। তাই পরিবর্তন করে নতুন আয়াত প্রদান করা প্রয়োজন দেখা দেয়। অতএব আয়াত রহিতকরণ বলতে কিছু নেই। ইয়াহূদীদের এ সব কথা ভ্রান্ত, কেননা আল্লাহ তা‘আলা, কোন বিধান রহিত করেন কয়েকটি কারণে:
১. বান্দাদের পরীক্ষা করার জন্য যে, কে তাদের মধ্য হতে ঈমানের ওপর বহাল থাকে আর কে থাকে না।
২. বান্দাদের জন্য সহজ করার জন্য, অর্থাৎ পূর্বের বিধানের চেয়ে পরবর্তী বিধান সহজ। কেননা তিনিই বলছেন- আয়াতকে রহিত করে উত্তম কিছু নিয়ে আসেন।
৩. সর্বোপরি আল্লাহ তা‘আলা সবকিছুর মালিক, তাঁর মালিকত্বে সবকিছু করার অধিকার রয়েছে, এর জন্য তাঁকে প্রশ্ন করা যাবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَا يُسْأَلُ عَمَّا يَفْعَلُ وَهُمْ يُسْأَلُونَ)
“তিনি যা করেন সে বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা যাবে না; বরং তাদেরকেই প্রশ্ন করা হবে।”(সূরা আম্বিয়াহ ২১:২৩)
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমার (রাঃ) বললেন: উবাই বিন কা‘ব (রাঃ) আমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম কারী, আর আলী (রাঃ) আমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম বিচারক। কিন্তু আমরা উবাই বিন কা‘ব (রাঃ)-এর কিছু কথা বাদ দেই। কারণ উবাই বিন কা‘ব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে যা শুনেছি তার কিছুই ছাড়ব না। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আমি যে আয়াত রহিত করি অথবা ভুলিয়ে দেই। (সহীহ বুখারী হা: ৪৪৮১) অর্থাৎ কুরআনের অনেক মানসূখ বিধান রয়েছে যার প্রতি আমল করা রহিত করা হয়েছে। তাই উবাই (রাঃ) এর কথা এ ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য নয়।
তারপর আল্লাহ তা‘আলা জানিয়ে দিচ্ছেন, আকাশ ও জমিনের রাজত্বের একচ্ছত্র মালিকানা তাঁর। সুতরাং তিনি যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারেন। তিনি কোন আয়াতকে রহিতও করতে পারেন। অতএব আমাদের ঈমান রাখতে হবে, কুরআনে নাসেখ মানসূখ উভয়ই রয়েছে, এসব আল্লাহ তা‘আলার হিকমতের অন্তর্ভুক্ত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. শরীয়তের পূর্ববর্তী বিধানকে পরবর্তী বিধান রহিত করতে পারে। তবে কিয়াস ও ইজমা শরীয়তের কোন বিধানকে রহিত করতে পারে না।
২. কোন বিধানকে রহিত করা মু’মিনদের ওপর আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহ ও তাঁর সার্বভৌমত্বের বহিঃপ্রকাশ।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings