Surah Al Ankabut Tafseer
Tafseer of Al-'Ankabut : 55
Saheeh International
On the Day the punishment will cover them from above them and from below their feet and it is said, "Taste [the result of] what you used to do."
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
৫৩-৫৫ নং আয়াতের তাফসীর
মুশরিকরা যে অজ্ঞতার কারণে আল্লাহর আযাব চাচ্ছিল তারই বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, এই মুশরিকরা নবী (সঃ)-কে আল্লাহর শাস্তি আনয়নের কথা বলেছিল এবং স্বয়ং আল্লাহর নিকটও প্রার্থনা করেছিল। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবি)
অর্থাৎ “(স্মরণ কর) যখন তারা বলেছিল- হে আল্লাহ! এটা যদি তোমার নিকট হতে সত্য হয় তবে আকাশ হতে আমাদের উপর প্রস্তর বর্ষণ কর অথবা আমাদের কাছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি আনয়ন কর।” (৮:৩২)
এখানে তাদেরকে জবাব দেয়া হচ্ছে- যদি বিশ্বপ্রতিপালকের পক্ষ হতে এটা নির্ধারিত না থাকতো যে, এই কাফিরদেরকে কিয়ামতের দিন শাস্তি দেয়া হবে তবে তাদের শাস্তি চাওয়া মাত্রই তাদের উপর অবশ্যই শাস্তি নেমে আসতো। এখন তাদের এর প্রতিও বিশ্বাস রাখা উচিত যে, তাদের অজ্ঞাতসারে তাদের উপর শাস্তি আকস্মিকভাবে এসে পড়বে। তারা শাস্তি ত্বরান্বিত করতে বলছে, তাদের জেনে রাখা উচিত যে, জাহান্নাম তো তাদেরকে পরিবেষ্টন করবেই। অর্থাৎ এটা নিশ্চিত কথা যে, শাস্তি তাদের উপর আসবেই।
হযরত শা'বী (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ “এই বাহূরে আখ্যরই (সবুজ সাগর) সবুজ সাগর বলতে আরবগণ আরব উপকূল হতে ভারতের মধ্যবর্তী জলরাশিকে বুঝে। হবে ঐ জাহান্নাম যাতে তারকারাজি ঝরে পড়বে এবং সূর্য ও চন্দ্র আলোশূন্য হয়ে এতে নিক্ষিপ্ত হবে। এটা জ্বলে উঠবে এবং জাহান্নামে পরিণত হবে।” (এটা ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
সাফওয়ান ইবনে ইয়া’লা (রাঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “সমুদ্রই জাহান্নাম। তখন হাদীসের বর্ণনাকারী হযরত ইয়ালা (রাঃ)-কে জনগণ জিজ্ঞেস করে- আপনারা দেখেন না যে, আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (আরবি)
অর্থাৎ “অগ্নি, যার বেষ্টনী তাদেরকে পরিবেষ্টন করে থাকবে।” (১৮:২৯) উত্তরে ইয়া’লা (রাঃ) বলেনঃ “যার হাতে ইয়া’লার প্রাণ রয়েছে তার শপথ! আমি তাতে কখনো প্রবেশ করবো না যে পর্যন্ত না আমাকে আল্লাহর সামনে পেশ করা। হবে এবং এর এক ফোটাও আমার কাছে পৌঁছবে না যে পর্যন্ত না আমাকে আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হাযির করা হবে।” এটা মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে। এ তাফসীরও খুবই গরীব এবং এ হাদীসও অত্যন্ত গারীব বা দুর্বল। এসব ব্যাপারে আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।
মহান আল্লাহ বলেনঃ সেই দিন শাস্তি তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে ঊর্ধ্ব ও অধঃদেশ হতে। যেমন তিনি অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ তাদের জন্যে জাহান্নামের (অগ্নির) বিছানা হবে এবং তাদের উপরে (আগুনেরই) ওড়না হবে।” (৭:৪১ আর একটি আয়াতে আছেঃ(আরবি)
অর্থাৎ “তাদের উপরে হবে আগুনের সামিয়ানা এবং নীচে হবে আগুনেরই বিছানা।” (৩৯:১৬) অন্য এক আয়াতে রয়েছেঃ অর্থাৎ “যদি কাফিররা ঐ সময়ের কথা জানতো যখন তারা তাদের সামনে হতে ও পিছন হতে আগুন সরাতে পারবে না।” (২১:৩৯) এসব আয়াত দ্বারা জানা যাচ্ছে যে, এই কাফিরদেরকে চতুর্দিক হতে আগুন পরিবেষ্টন করবে। তাদের সামনে হতে, পিছন হতে, উপর হতে, নীচ হতে, ডান দিক হতে এবং বাম দিক হতে আগুন তাদেরকে ঘিরে ফেলবে। একদিক হতে তো তাদের উপর মহাপ্রতাপান্বিত আল্লাহর শাসন, গর্জন ও ধমক আসতে থাকবে, অপরদিক হতে সদা তাদেরকে বলা হবেঃ তোমরা যা করতে তার স্বাদ গ্রহণ কর। সুতরাং এক তো এই বাহ্যিক ও দৈহিক শাস্তি, দ্বিতীয়তঃ এই মানসিক শাস্তি। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (আরবি)
অর্থাৎ “যেদিন তাদেরকে উপুড় করে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের দিকে, সেই দিন বলা হবে- জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন কর। আমি প্রত্যেক কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে।” (৫৪:৪৮-৪৯) অন্য এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি)
অর্থাৎ “যেদিন তাদেরকে ধাক্কা মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের অগ্নির দিকে, (বলা হবে) এই সেই আগুন যাকে তোমরা মিথ্যা মনে করতে। এটা কি যাদু? না কি তোমরা দেখছো না? তোমরা এতে প্রবেশ কর, অতঃপর তোমরা ধৈর্যধারণ কর অথবা না কর উভয়ই তোমাদের জন্যে সমান। তোমরা যা করতে তোমাদেরকে তারই প্রতিফল দেয়া হচ্ছে।” (৫২:১৩-১৬)
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings