29:32

قَالَ إِنَّ فِيهَا لُوطًا‌ۚ قَالُواۡ نَحۡنُ أَعۡلَمُ بِمَن فِيهَا‌ۖ لَنُنَجِّيَنَّهُۥ وَأَهۡلَهُۥٓ إِلَّا ٱمۡرَأَتَهُۥ كَانَتۡ مِنَ ٱلۡغَٰبِرِينَ٣٢

Saheeh International

[Abraham] said, "Indeed, within it is Lot." They said, "We are more knowing of who is within it. We will surely save him and his family, except his wife. She is to be of those who remain behind."

Tafsir "Ibn Kathir Full" (Bengali)

৩১-৩৫ নং আয়াতের তাফসীরহযরত লূত (আঃ)-এর কওম যখন তার কথা মানলো না তখন তিনি আল্লাহ তাআলার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করলেন। ফলে মহান আল্লাহ ফেরেশতাদেরকে প্রেরণ করলেন। মানুষের রূপ ধরে ফেরেশতারা প্রথমে হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর বাড়ীতে মেহমান হিসেবে আগমন করলেন। হযরত ইবরাহীম (আঃ) তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করে ফেললেন এবং তাদের সামনে তা হাযির করলেন। কিন্তু যখন তিনি দেখলেন যে, তারা খাদ্যের প্রতি মোটেই আগ্রহ প্রকাশ করছেন না তখন তিনি মনে মনে ভয় পেয়ে গেলেন। ফেরেশতারা তখন তার মনতুষ্টি করতে গিয়ে বললেন যে, তাঁদের একটি সুসন্তান জন্মগ্রহণ করবে। তাঁর স্ত্রী হযরত সারা (রাঃ), যিনি তথায় উপস্থিত ছিলেন, এ খবর শুনে অত্যন্ত বিস্ময় প্রকাশ করলেন। সূরায়ে হৃদে ও সূরায়ে হিজরে এর বিস্তারিত তাফসীর বর্ণিত হয়েছে। অতঃপর ফেরেশতারা তাদের আগমনের প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যক্ত করলেন। হযরত ইবরাহীম (আঃ) তাঁদের উদ্দেশ্য অবগত হয়ে ধারণা করলেন যে, যদি হযরত লুত (আঃ)-এর কওমকে আরো কিছুদিন অবকাশ দেয়া হয় তবে হয়তো তারা সুপথে ফিরে আসবে। তাই তিনি ফেরেশতাদেরকে বললেনঃ “সেখানে তো হযরত লুত (আঃ) রয়েছেন!” উত্তরে ফেরেশতারা বললেনঃ “তাঁর ব্যাপারে আমরা উদাসীন বা অমনোযোগী নই। তাকে ও তার পরিবারবর্গকে রক্ষা করতে আমরা আদিষ্ট হয়েছি। তবে তার স্ত্রী অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাবে। কেননা, সে তার কওমের সাথে সহযোগিতা করে থাকে। এখান হতে বিদায় গ্রহণ করে তাঁরা হযরত লূত (আঃ)-এর নিকট পৌঁছলেন। তাঁদেরকে দেখেই হযরত লূত (আঃ)-এর অন্তরাত্মা কেঁপে উঠলো। তাঁর কেঁপে ওঠার কারণ এই যে, যদি তাঁর কওম তাঁর মেহমানদের আগমন সংবাদ শুনতে পায় তবে দৌড়িয়ে তার বাড়ীতে আসবে এবং তাঁকে অপ্রস্তুত ও ব্যতিব্যস্ত করে ফেলবে। যদি তিনি তাঁর এই মেহমানদেরকে তার বাড়ীতে রাখেন তবে তারা এদের হাতে পড়ে যাবেন। তিনি তো তাঁর কওমের বদভ্যাস সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। এ জন্যেই তিনি অত্যন্ত চিন্তিত ও লজ্জিত হয়ে পড়লেন। কিন্তু ফেরেশতারা তার মনোভাব বুঝতে পেরে তাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে বলেনঃ “আপনি ভয় করবেন না, দুঃখও করবেন না। আমরা তো আল্লাহর প্রেরিত ফেরেশতা। আপনার কওমকে ধ্বংস করার জন্যে আমাদেরকে প্রেরণ করা হয়েছে। আপনাকে ও আপনার পরিবারর্গকে আমরা রক্ষা করবো। তবে আপনার স্ত্রীকে ধ্বংস করে দেয়া হবে। কেননা, সেও আপনার কওমের সাথে সহযোগিতা করেছে। তাদের উপর আসমানী গযব নাযিল করা হবে এবং তাদের দুষ্কর্মের ফল দেখিয়ে দেয়া হবে।” অতঃপর হযরত জিবরাঈল (আঃ) তাদের জনপদকে যমীন হতে উঠিয়ে আসমান পর্যন্ত নিয়ে যান এবং সেখান হতে উল্টিয়ে ফেলে দেন। তারপর তাদের নাম অংকিত পাথর তাদের উপর বর্ষিত হয় এবং যে শাস্তিকে তারা বহু দূরের মনে করছিল তা খুবই নিকটে হয়ে গেল। তাদের বসতি স্থলে একটি তিক্ত ও দুর্গন্ধময় পানির বিল বা জলাশয় রয়ে গেল। এটা লোকদের জন্যে শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণের মাধ্যম হয়ে গেল। জ্ঞানী লোকেরা তাদের দূরবস্থা ও ধ্বংসলীলার কথা স্মরণ করে যেন আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণের আস্পর্ধা না দেখায়। আরববাসীদের ভ্রমণের পথে রাত-দিন এই দৃশ্য চোখের সামনে পড়তো।

Arabic Font Size

30

Translation Font Size

17

Arabic Font Face

Help spread the knowledge of Islam

Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.

Support Us