Surah Al Qasas Tafseer
Tafseer of Al-Qasas : 67
Saheeh International
But as for one who had repented, believed, and done righteousness, it is promised by Allah that he will be among the successful.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৬২-৬৭ নং আয়াতের তাফসীর:
আয়াতগুলোতে মূলত কাফির-মুশরিকরা আল্লাহ তা‘আলাকে ব্যতীত তাঁর সাথে অন্যান্য যেসকল উপাস্যদেরকে আহ্বান করত, আর এ কারণে কাল কিয়ামতের মাঠে তারা কি পরিমাণ লাঞ্ছিত ও হেয় প্রতিপন্ন হবে সে কথাই বলা হচ্ছে। আল্লাহ তা‘আলা ঐ সমস্ত লোকদেরকে তিরস্কারের সাথে জিজ্ঞাসা করবেন, তোমাদের ঐ সকল মা‘বূদ কোথায়? যাদেরকে তোমরা আমার পরিবর্তে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছিলে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا نَرٰي مَعَكُمْ شُفَعَا۬ءَكُمُ الَّذِيْنَ زَعَمْتُمْ أَنَّهُمْ فِيْكُمْ شُرَكٰٓؤُا ط لَقَدْ تَّقَطَّعَ بَيْنَكُمْ وَضَلَّ عَنْكُمْ مَّا كُنْتُمْ تَزْعُمُوْنَ)
“তোমরা যাদেরকে তোমাদের ব্যাপারে শরীক মনে করতে তোমাদের সেই সুপারিশকারিগণকেও তোমাদের সাথে দেখছি না; তোমাদের মাঝে সম্পর্ক অবশ্যই ছিন্ন হয়েছে এবং তোমরা যা ধারণা করেছিলে তাও নিষ্ফল হয়েছে।” (সূরা আন‘আম ৬:৯৪)
এমনকি তাদেরকে বলা হবে, তারা যেন তাদের ঐ সকল ভ্রান্ত মা‘বূদদেরকে ডেকে নিয়ে আসে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَيَوْمَ يَقُوْلُ نَادُوْا شُرَكَا۬ئِيَ الَّذِيْنَ زَعَمْتُمْ فَدَعَوْهُمْ فَلَمْ يَسْتَجِيْبُوْا لَهُمْ وَجَعَلْنَا بَيْنَهُمْ مَّوْبِقًا - وَرَأَي الْمُجْرِمُوْنَ النَّارَ فَظَنُّوْآ أَنَّهُمْ مُّوَاقِعُوْهَا وَلَمْ يَجِدُوْا عَنْهَا مَصْرِفًا)
“এবং সেদিনের কথা স্মরণ কর, যেদিন তিনি বলবেন, ‘তোমরা যাদেরকে আমার শরীক মনে করতে তাদেরকে আহ্বান কর।’ তারা তখন তাদেরকে আহ্বান করবে কিন্তু তারা তাদের আহ্বানে সাড়া দিবে না এবং তাদের উভয়ের মধ্যস্থলে রেখে দিব এক ধ্বংস-গহ্বর। অপরাধীরা আগুন দেখে বুঝবে যে, তারা তথায় পতিত হবে এবং তারা সেখান হতে কোন পরিত্রাণস্থল পাবে না।” (সূরা কাহ্ফ ১৮:৫২-৫৩)
কিন্তু ঐ সকল বাতিল মা‘বূদগুলো তাদের ভক্তদের কথা কিয়ামতের মাঠে অস্বীকার করবে। এমনকি তারা একে অপরের শত্র“তে পরিণত হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَاتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اٰلِهَةً لِّيَكُوْنُوْا لَهُمْ عِزًّا لا- كَلَّا ط سَيَكْفُرُوْنَ بِعِبَادَتِهِمْ وَيَكُوْنُوْنَ عَلَيْهِمْ ضِدًّا)
“তারা আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য অনেক ইলাহ্ গ্রহণ করেছে এজন্য যাতে তারা তাদের সহায় হয়; কখনই নয়; তারা অচিরেই তাদের ইবাদত অস্বীকার করবে এবং তাদের বিরোধী হয়ে যাবে।” (সূরা মারইয়াম ১৯:৮১-৮২)
অতএব দুনিয়াতে আল্লাহ তা‘আলাকে ছেড়ে যাদেরই ইবাদত করা হোক না কেন তারা আখিরাতে কারো কোন উপকার করতে পারবে না। বরং একে অপরের শত্র“তে পরিণত হবে।
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর একত্বের কথা বর্ণনা করার পর রাসূলের নবুওয়াতের কথা বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন, তোমরা আমার রাসূলগণের ডাকে কি সাড়া দিয়েছিলে? তাঁকে সত্য বলে মেনে নিয়েছিলে, না মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিলে? তখন তারা কোন উত্তরই দিতে পারবে না। তবে যারা ঈমান আনবে তাদের কথা ভিন্ন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলার সাথে কাউকে শরীক করা যাবে না।
২. যারা আল্লাহ তা‘আলাকে ছাড়া অন্যদের ইবাদত করত তারা কোন উপকার করতে পারবে না।
৩. যাদের ইবাদত করা হত এবং যারা ইবাদত করত তারা পরস্পরে শত্র“তে পরিণত হবে।
৪. মু’মিনগণ আখিরাতে সফলকাম হবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings