Surah Al Qasas Tafseer
Tafseer of Al-Qasas : 59
Saheeh International
And never would your Lord have destroyed the cities until He had sent to their mother a messenger reciting to them Our verses. And We would not destroy the cities except while their people were wrongdoers.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
৫৮-৫৯ নং আয়াতের তাফসীর
মক্কাবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে যে, যারা আল্লাহ তা'আলার বহু নিয়ামত লাভ করে ভোগ সম্পদের দম্ভ করতো এবং হঠকারিতা ও ঔদ্ধত্যপনা প্রকাশ করতো, আল্লাহ ও তাঁর নবীদেরকে (আঃ) অমান্য ও অস্বীকার করতো এবং আল্লাহর রিযক ভক্ষণ করে নিমকহারামী করতো, তাদেরকে আল্লাহ তা'আলা এমনভাবে ধ্বংস করে দিয়েছেন যে, আজ তাদের নাম নেয়ারও কেউ নেই। যেমন অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (আরবি) হতে (আরবি) পর্যন্ত। অর্থাৎ “আল্লাহ একটি গ্রামের (লোকদের) উপমা বর্ণনা করেছেন যারা (পার্থিব বিপদ-আপদ হতে) নিরাপদে ছিল এবং তাদের মধ্যে শান্তি বিরাজ করছিল, সব জায়গা থেকে তাদের নিকট পর্যাপ্ত পরিমাণে রিক আসততা ......... অতঃপর তাদের যুলুম করা অবস্থায় শাস্তি তাদেরকে পেয়ে বসে।" (১৬:১১২-১১৩) এখানে মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ কত জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ সম্পদের গর্ব করতো! এইতো তাদের ঘরবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে; তাদের পর এগুলোতে লোকজন খুব কমই বসবাস করেছে। আমিই তো চূড়ান্ত মালিকানার অধিকারী।
হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত কা'ব (রাঃ) হযরত উমার (রাঃ)-কে হযরত সুলাইমান (আঃ) পেঁচাকে বলেনঃ “তুমি ক্ষেতের ফসল খাও না কেন? সে উত্তরে বলেঃ “এই কারণেই তো হযরত আদম (আঃ)-কে জান্নাত হতে বের করে দেয়া হয়েছিল। এজন্যেই আমি তা খাই না।” আবার তিনি প্রশ্ন করেনঃ “তুমি পানি পান কর না কেন?" জবাবে সে বলেঃ “কারণ এই যে, হযরত নূহ (আঃ)-এর কওমকে এই পানিতেই ডুবিয়ে দেয়া হয়।” পুনরায় তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ “তুমি তাঁবুতে বাস কর কেন?” সে উত্তর দেয়ঃ “কেননা, ওটা আল্লাহর মীরাস।” অতঃপর হযরত কা'ব (রাঃ) (আরবি) আয়াতটি পাঠ করেন।
এরপর মহান আল্লাহ স্বীয় আদল ও ইনসাফের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তিনি কাউকেও যুলুম করে ধ্বংস করেন না। প্রথমে তিনি তাদের সামনে তার হুজ্জত ও দলীল প্রমাণ পেশ করেন এবং তাদের ওযর উঠিয়ে দেন। রাসূলদেরকে প্রেরণ করে তিনি তাদের কাছে নিজের বাণী পৌঁছিয়ে দেন।
এই আয়াত দ্বারা এটাও জানা যাচ্ছে যে, হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-এর নবুওয়াত ছিল সাধারণ। তিনি উম্মুল কুরা বা জনপদের কেন্দ্রে প্রেরিত হয়েছিলেন। তাঁকে সারা আরব-আজমের নিকট রাসূলরূপে প্রেরণ করা হয়েছিল। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “যেন তুমি মক্কাবাসীকে এবং ওর চতুষ্পর্শ্বের লোকদেরকে ভয় প্রদর্শন। কর।” (৪২ ৪৭) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি)
অর্থাৎ “হে লোক সকল! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের সবারই নিকট রাসূলরূপে প্রেরিত হয়েছি।” (৭:১৫৮) অন্য একটি আয়াতে রয়েছেঃ (আরবি)
অর্থাৎ “যাতে আমি এই কুরআন দ্বারা তোমাদেরকে ভয়-প্রদর্শন করি এবং তাদেরকেও যাদের কাছে এটা পৌঁছে যাবে।" (৬:১৯) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “দুনিয়াবাসীদের মধ্যে যে কেউ এই কুরআনকে অস্বীকার করবে তার ওয়াদার স্থান হচ্ছে জাহান্নাম।” (১১:১৭) অন্য এক আয়াতে রয়েছেঃ (আরবি)
অর্থাৎ “সমস্ত জনপদকে আমি কিয়ামতের পূর্বে ধ্বংসকারী অথবা কঠিন শাস্তি প্রদানকারী।” (১৭:৫৮) সুতরাং আল্লাহ তা'আলা খবর দিলেন যে, কিয়ামতের পূর্বে তিনি সত্বরই প্রত্যেক জনপদকে ধ্বংস করবেন। আর এক জায়গায় মহাপ্রতাপান্বিত আল্লাহ বলেনঃ (আরবি)
অর্থাৎ “আমি শাস্তি প্রদানকারী নই যে পর্যন্ত না আমি রাসূল প্রেরণ করি।” (১৭:১৫) সুতরাং আল্লাহ তা'আলা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর রিসালাত বা প্রেরিতত্বকে সাধারণ করেছেন এবং সারা দুনিয়ার কেন্দ্রস্থল মক্কাভূমিতে তাঁকে প্রেরণ করে বিশ্বজাহানের উপর স্বীয় হুজ্জত খতম করে দেন।
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমি প্রত্যেক লাল-কালোর নিকট রাসূলরূপে প্রেরিত হয়েছি। এ জন্যেই তাঁর উপরই নবুওয়াতকে শেষ করে দেয়া হয়েছে। তার পরে কিয়ামত পর্যন্ত আর কোন নবী বা রাসূল আসবেন না। বলা হয়েছে যে, (আরবি) দ্বারা আসল এবং বড় গ্রাম বা শহর উদ্দেশ্য।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings