Surah Al Qasas Tafseer
Tafseer of Al-Qasas : 52
Saheeh International
Those to whom We gave the Scripture before it - they are believers in it.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৫২-৫৫ নং আয়াতের তাফসীর:
উক্ত আয়াতগুলোতে আহলে কিতাবদের ঐ সমস্ত ইয়াহূদ ও খ্রিস্টানদের কথা বলা হয়েছে যারা তাদের নিকট আগত নাবী ও অবতীর্ণ কিতাবের ওপর ঈমান এনেছিল, তারা তাদের ধর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। তাওরাত ও ইনজিলের সুসংবাদ অনুপাতে তাদের বিশ্বাস ছিল মুহাম্মাদ নামে একজন সর্বশেষ নাবী আগমন করবেন । তাই যখন নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগমন করলেন তখন বিলম্ব না করে পূর্ব জ্ঞান ও সুসংবাদ অনুপাতে তারা তাঁর প্রতি ঈমান আনল, কুরআনের প্রতি ঈমান আনল এবং মুসিলমদের কাতারে শামিল হল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
( وَإِنَّ مِنْ أَهْلِ الْكِتٰبِ لَمَنْ يُّؤْمِنُ بِاللّٰهِ وَمَآ أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ وَمَآ أُنْزِلَ إِلَيْهِمْ خَاشِعِيْنَ لِلّٰهِ)
“আর নিশ্চয়ই আহলে কিতাবের মধ্যে এরূপ লোকও রয়েছে যারা আল্লাহ তা‘আলার প্রতি এবং তোমাদের প্রতি ও তাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছিল, সে বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলার ভয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে।” (সূরা আলি ইমরান ৩:১৯৯)
(وَإِذَا يُتْلٰي عَلَيْهِمْ)
অর্থাৎ যখন তাদের সামনে কুরআন তেলাওয়াত করা হয় তখন তারা বলে, আমরা এর প্রতি ঈমান আনলাম এবং বিশ্বাস করলাম যে, এটা আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ কিতাব। এ কিতাব নাযিল হওয়ার পূর্ব থেকেই আমরা মুসলিম, আল্লাহ তা‘আলার একত্ববাদে বিশ্বাসী। এদের ব্যাপারেই আল্লাহ তা‘আলা বলেন, এ সকল ঈমানদারদেরকে দ্বিগুণ প্রতিদান দেয়া হবে। প্রথম প্রতিদানন তাদের নিকট আগত রাসূলের প্রতি ঈমান আনার কারণে, দ্বিতীয় প্রতিদানন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ঈমান আনার কারণে। কারণ তারা দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে গিয়ে ধৈর্যধারণ করেছে। আর যখনই কোন কষ্টপ্রাপ্ত হয়েছে তখনই তারা প্রতিশোধ না নিয়ে বরং তা ক্ষমা করে দেয়, মন্দকে ভাল দ্বারা প্রতিহত করে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
(اِدْفَعْ بِالَّتِيْ هِيَ أَحْسَنُ السَّيِّئَةَ ط نَحْنُ أَعْلَمُ بِمَا يَصِفُوْنَ)
“মন্দের মুকাবিলা কর যা উত্তম তা দ্বারা; তারা যা বলে আমি সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।” (সূরা মু’মিনূন ২৩:৯৬) এবং তাদেরকে যা রিযিক দেয়া হয় তারা তা থেকে আল্লাহ তা‘আলার পথে খরচ করে।
হাদীসে এসেছে: আবূ মূসা আশয়ারী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “তিন শ্রেণির লোক যাদেরকে দ্বিগুণ প্রতিদান দেয়া হবেন ১. আহলে কিতাবের যে ব্যক্তি তার নাবীর প্রতি ঈমান এনেছে এবং (আমাকে পাওয়ার পর) আমার প্রতি ঈমান এনেছে। ২. ঐ দাস যে আল্লাহ তা‘আলার হক আদায় করে এবং তার মালিকেরও হক আদায় করে। ৩. ঐ ব্যক্তি যার একটি দাসী রয়েছে। সে তাকে উত্তমভাবে আদব শিক্ষা দেয় অতঃপর স্বাধীন করে দেয় এবং সে তাকে বিবাহ করে নেয়। (সহীহ বুখারী হা: ৯৭, মুসলিম হা: ১৫৪, ২৮১১)
আর তারা যখন কোন বেহুদা কথা শুনতে পায় সেখান থেকে বিমুখ হয় এবং সেখান থেকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَإِذَا مَرُّوْا بِاللَّغْوِ مَرُّوْا كِرَامًا)
“এবং অসার ক্রিয়াকলাপের সম্মুখীন হলে স্বীয় মর্যাদার সাথে সেটা পরিহার করে চলে।” (সূরা ফুরকান ২৫:৭২) এবং যারা মন্দ কর্মে লিপ্ত তাদের মন্দ থেকে ফিরে আসার নসীহত করে তথাপি যদি তারা ফিরে না আসে তাহলে তারা শুধু এ কথা বলে তাদেরকে সতর্ক করে দেয় যে, আমাদের আমল আমাদের জন্য আর তোমাদের আমলসমূহ তোমাদের জন্য।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَكُمْ دِيْنُكُمْ وَلِيَ دِيْنِ)
“তোমাদের দীন তোমাদের জন্যন আর আমার দীন আমার জন্য।” (সূরা কাফিরূন ১০৯:৬)
সুতরাং মু’মিনদের অন্যতম একটি গুণ হল তারা অসার কথা-বার্তা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে। দাওয়াতী কাজ করতে গিয়ে কেউ মন্দ আচরণ করলে সুন্দর পন্থায় বিদায় দিয়ে চলে আসে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা তাদের নাবীর প্রতি ঈমান আনবে ও মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ঈমান আনবে তাদের প্রতিদান দ্বিগুণ।
২. বিপদে ধৈর্যধারণ করার ফযীলত অনেক।
৩. যেখানে অশ্লীল ক্রিয়াকলাপ হবে সেখান থেকে দূরে থাকতে হবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings