Surah Al Qasas Tafseer
Tafseer of Al-Qasas : 44
Saheeh International
And you, [O Muhammad], were not on the western side [of the mount] when We revealed to Moses the command, and you were not among the witnesses [to that].
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪৪-৪৭ নং আয়াতের তাফসীর:
উক্ত আয়াতগুলো মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াত ও রিসালাতের সত্যতার প্রমাণ বহন করে এমন একটি দিক বর্ণনা করা হয়েছে। الْغَرْبِيِ অর্থাৎ পশ্চিম, অর্থাৎ যখন মূসা (عليه السلام) এর সাথে আমি আল্লাহ তা‘আলা কথা বলি এবং তাঁকে নবুওয়াত প্রদান করি তখন তুমি তূর পাহাড়ের পশ্চিম প্রান্তে উপস্থিত ছিলে না। শু‘আইব (عليه السلام)-এর এলাকা মাদইয়ান, যা মূসা (عليه السلام)-এর শশুর বাড়ি, সেখানেও তুমি উপস্থিত ছিলে না, এতদসত্ত্বেও তুমি মূসা (عليه السلام)-এর জীবন বৃত্তান্তসহ পূর্ববর্তীদের জীবন কাহিনী কিভাবে জানলে? নিশ্চয়ই এটা তোমার প্রতি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ যে, তিনি ওয়াহীর মাধ্যমে তোমাকে সব জানিয়েছেন। তোমার কাছে যদি ওয়াহী না করা হত, তুমি যদি রাসূল না হতে তাহলে কখনো তা জানতে পারতে না। এতো পুরনো ঘটনা সঠিকভাবে সাধারণ মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(تِلْكَ مِنْ أَنْۭبَا۬ءِ الْغَيْبِ نُوْحِيْهَآ إِلَيْكَ ج مَا كُنْتَ تَعْلَمُهَآ أَنْتَ وَلَا قَوْمُكَ مِنْ قَبْلِ هٰذَا ط فَاصْبِرْ ط إِنَّ الْعَاقِبَةَ لِلْمُتَّقِيْنَ)
“এ সমস্ত অদৃশ্যের সংবাদন আমি তোমাকে ওয়াহী দ্বারা অবহিত করছি, যা এর পূর্বে তুমি জানতে না এবং তোমার সম্প্রদায়ও জানত না। সুতরাং ধৈর্য ধারণ কর, শুভ পরিণাম মুত্তাকীদেরই জন্য।’’ (সূরা হূদ ১১:৪৯) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(كَذٰلِكَ نَقُصُّ عَلَيْكَ مِنْ أَنْۭبَا۬ءِ مَا قَدْ سَبَقَ ج وَقَدْ اٰتَيْنٰكَ مِنْ لَّدُنَّا ذِكْرًا)
“পূর্বে যা ঘটেছে তার সংবাদ আমি এভাবে তোমার নিকট বিবৃত করি এবং আমি আমার পক্ষ থেকে তোমাকে দান করেছি উপদেশ।” (সূরা ত্বা-হা- ২০:৯৯)
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াতের সত্যতায় কোন সংশয় নেই। যারা সংশয় করবে তারা কাফির হয়ে যাবে।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলছেনন তিনি কোন জাতিকে সতর্ক করার জন্য রাসূল না পাঠিয়ে ধ্বংস করেন না বা শাস্তি প্রদান করেন না। কারণ যদি এভাবে শাস্তি প্রদান করা হত তাহলে তারা বলত, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের নিকট কোন সতর্ককারী প্রেরণ করা হল না কেন? তাহলে আমরা তার অনুসরণ করতাম।
এ কথা যেন বলতে না পারে তাই তাদের নিকট তোমাকে সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(اَنْ تَقُوْلُوْٓا اِنَّمَآ اُنْزِلَ الْکِتٰبُ عَلٰی طَا۬ئِفَتَیْنِ مِنْ قَبْلِنَاﺕ وَاِنْ کُنَّا عَنْ دِرَاسَتِھِمْ لَغٰفِلِیْنَﯫاَوْ تَقُوْلُوْا لَوْ اَنَّآ اُنْزِلَ عَلَیْنَا الْکِتٰبُ لَکُنَّآ اَھْدٰی مِنْھُمْﺆ فَقَدْ جَا۬ءَکُمْ بَیِّنَةٌ مِّنْ رَّبِّکُمْ وَھُدًی وَّرَحْمَةٌﺆ فَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنْ کَذَّبَ بِاٰیٰتِ اللہِ وَصَدَفَ عَنْھَاﺚ سَنَجْزِی الَّذِیْنَ یَصْدِفُوْنَ عَنْ اٰیٰتِنَا سُوْ۬ئَ الْعَذَابِ بِمَا کَانُوْا یَصْدِفُوْنَ)
“(এটা নাযিল করার কারণ এই যে,) যাতে তোমরা না বলতে পার, (ইয়াহূদী ও খ্রিস্টান) কিতাব তো শুধু আমাদের পূর্বে দুই সম্প্রদায়ের প্রতিই অবতীর্ণ হয়েছিল; আমরা তাদের পঠন-পাঠন সম্বন্ধে তো গাফিল ছিলাম’, অথবা যাতে এ কথা বলতে না পার, ‘যদি কিতাব আমাদের প্রতি অবতীর্ণ হত তবে আমরা তো তাদের অপেক্ষা অধিক হিদায়াতপ্রাপ্ত হতাম।’ এখন তো তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে স্পষ্ট প্রমাণ, হিদায়াত ও রহমত এসেছে, অতএব (এরপর আল্লাহ তা‘আলার) আয়াতকে যে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে এবং তা থেকে এড়িয়ে থাকবে তার চেয়ে বড় অত্যাচারী আর কে হতে পারে? যারা আমার আয়াতসমূহ এড়িয়ে চলবে তাদেরকে আমি এই এড়িয়ে চলার কারণে অতিসত্বর কঠিন শাস্তি দেব।” (সূরা আন‘আম ৬:১৫৬-১৫৭)
সুতরাং ঈমান না আনার পেছনে কোন ওযর আপত্তি পেশ করা যাবে না। আর তা গ্রহণও করা হবে না। কেননা আল্লাহ তা‘আলা পূর্বেই ওযর পেশ করার সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই ওযর গ্রহণযোগ্য হবে না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য রাসূল তাতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই।
২. সতর্ককারী প্রেরণ না করা পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা কোন জাতিকে ধ্বংস করেন না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings