28:33

قَالَ رَبِّ إِنِّى قَتَلۡتُ مِنۡهُمۡ نَفۡسًا فَأَخَافُ أَن يَقۡتُلُونِ٣٣

Saheeh International

He said, "My Lord, indeed, I killed from among them someone, and I fear they will kill me.

Tafsir "Ibn Kathir Full" (Bengali)

৩৪-৩৫ নং আয়াতের তাফসীরএটা গত হয়েছে যে, হযরত মূসা (আঃ) ফিরাউনের ভয়ে তার শহর হতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। আল্লাহ তা'আলা যখন তাঁকে সেখানে তারই কাছে নবীরূপে যেতে বললেন তখন তার সব কিছু স্মরণ হয়ে গেল এবং তিনি আরজ করলেনঃ “হে আমার প্রতিপালক! আমি তো তাদের একজনকে হত্যা করেছি। ফলে আমার ভয় হচ্ছে যে, না জানি হয় তো তার প্রতিশোধ হিসেবে তারা আমাকে হত্যা করে ফেলবে।শৈশবে হযরত মূসা (আঃ)-এর পরীক্ষার জন্যে তাঁর সামনে একখণ্ড জ্বলন্ত অগ্নিকাষ্ঠ এবং একটি খেজুর বা মুক্তা রাখা হয়েছিল। তখন তিনি অগ্নিকাষ্ঠ ধরে নিয়েছিলেন এবং মুখে পুরে দিয়েছিলেন। এ কারণে তাঁর যবানে কিছুটা তোতলামি এসে গিয়েছিল। আর এ কারণেই তিনি মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেছিলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দিন। যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে। আমার জন্যে করে দিন একজন সাহায্যকারী আমার স্বজনবর্গের মধ্য হতে; আমার ভ্রাতা হারূনকে; তার দ্বারা আমার শক্তি সুদৃঢ় করুন এবং তাকে আমার কর্মে অংশী করুন।” (২০:২৭-৩২) এখানেও তার অনুরূপ প্রার্থনা বর্ণিত হয়েছে। তিনি প্রার্থনা করেনঃ “আমার ভ্রাতা হারূন আমা অপেক্ষা বাগ্মী। অতএব তাকে আমার সাহায্যকারী রূপে প্রেরণ করুন। সে আমাকে সমর্থন করবে। আমি আশংকা করি যে, তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলবে। সুতরাং হারূন (আঃ) আমার সাথে থাকলে সে আমার কথা জনগণকে বুঝিয়ে দেবে।” মহামহিমান্বিত আল্লাহ তাকে জবাবে বললেনঃ “আমি তোমার দু'আ। ককূল করলাম। তোমার ভ্রাতার দ্বারা আমি তোমার বাহু শক্তিশালী করবো এবং তোমাদের উভয়কে প্রাধান্য দান করবো। অর্থাৎ তাকেও তোমার সাথে নবী বানিয়ে দেবো।” যেমন আল্লাহ তা'আলা অন্য আয়াতে বলেছেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “হে মূসা (আঃ)! তুমি যা চেয়েছে তা তোমাকে দেয়া হলো।” (২০ ৩৬) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “আমি নিজ অনুগ্রহে তাকে দিলাম তার ভ্রাতা হারূন (আঃ)-কে নবীরূপে।” (১৯:৫৩) এ জন্যেই পূর্ব যুগীয় কোন কোন গুরুজন বলেছেনঃ “কোন ভাই তার ভাই এর উপর ঐরূপ অনুগ্রহ করেনি যেরূপ অনুগ্রহ করেছিলেন হযরত মূসা (আঃ) তাঁর ভাই হারূন (আঃ)-এর উপর। তিনি আল্লাহ তা'আলার নিকট প্রার্থনা করে তাকে নবী বানিয়ে নিয়েছিলেন। হযরত মূসা (আঃ) যে একজন বড় মর্যাদা সম্পন্ন নবী ছিলেন তার এটাই বড় প্রমাণ যে, আল্লাহ তা'আলা তাঁর এ দু'আও প্রত্যাখ্যান করেননি। বাস্তবিকই তিনি আল্লাহ তা'আলার নিকট বিশেষ মর্যাদার অধিকারী ছিলেন। এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “আমি তোমাদের উভয়কে প্রাধান্য দান করবো। তারা তোমাদের নিকট পৌঁছতে পারবে না। তোমরা এবং তোমাদের অনুসারীরা আমার নিদর্শন বলে তাদের উপর প্রবল হবে। যেমন আল্লাহ তা'আলা অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “হে রাসূল (সঃ)! তোমার প্রতি তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা অবতীর্ণ করা হয় তা তুমি (জনগণের নিকট পৌঁছিয়ে দাও...... আল্লাহ তোমাকে লোকদের অনিষ্ট হতে রক্ষা করবেন।” (৫:৬৭) মহান আল্লাহ আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “যারা আল্লাহর রিসালাত পৌঁছিয়ে দেয় ..... এবং হিসাব গ্রহণকারী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।” (৩৩:৩৯) অন্য এক জায়গায় আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “আল্লাহ লিপিবদ্ধ করে রেখেছেনঃ আমি ও আমার রাসূলরা অবশ্যই জয়যুক্ত হবো, নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমতাবান, মহাপ্রতাপশালী।” (৫৮:২১) আর এক আয়াতে বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলদের ও মুমিনদেরকে সাহায্য করবো পার্থিব জীবনে (শেষপর্যন্ত)।” (৪০:৫১)ইমাম ইবনে জারীর (রঃ)-এর মতে আয়াতটির ভাবার্থ হলো: “আমার প্রদত্ত প্রাধান্য দানের কারণে ফিরাউন ও তার লোকেরা তোমাদেরকে কষ্ট দিতে সক্ষম। হবে না এবং আমার প্রদত্ত নিদর্শন বলে বিজয় শুধু তোমরাই লাভ করবে। কিন্তু পূর্বে যে অর্থ বর্ণনা করা হয়েছে তার দ্বারাও এটাই সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং এই ভাবার্থের কোন প্রয়োজনই নেই। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।

Arabic Font Size

30

Translation Font Size

17

Arabic Font Face

Help spread the knowledge of Islam

Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.

Support Us