Surah An Naml Tafseer
Tafseer of An-Naml : 92
Saheeh International
And to recite the Qur'an." And whoever is guided is only guided for [the benefit of] himself; and whoever strays - say, "I am only [one] of the warners."
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
আল্লাহ তা'আলা স্বীয় সম্মানিত রাসূল (সঃ)-কে সম্বোধন করে বলেনঃ “হে রাসূল (সঃ)! তুমি জনগণের মধ্যে ঘোষণা করে দাও- আমি এই মক্কা শহরের প্রভুর ইবাদত ও আনুগত্য করার জন্যে আদিষ্ট হয়েছি।" যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ “হে লোক সকল! আমার দ্বীনের ব্যাপারে যদি তোমাদের সন্দেহ থাকে (তবে তোমরা সন্দেহ কর, কিন্তু জেনে রেখো যে) আমি তাদের ইবাদত করবো, আল্লাহ ছাড়া যাদের তোমরা ইবাদত করছো, বরং আমি ইবাদত করি সেই আল্লাহর যিনি তোমাদের জীবন-মরণের মালিক।”
এখানে মক্কা শরীফের দিকে প্রতিপালকের সম্বন্ধ শুধুমাত্র ওর শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার কারণেই লাগানো হয়েছে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “তারা ইবাদত করুক এই গৃহের রক্ষকের যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং ভীতি হতে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।” (১০৬:৩-৪)
এখানে মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেন যে, তিনি এই শহরকে সম্মানিত করেছেন। যেমন হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) মক্কা বিজয়ের দিন বলেনঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ এই শহরকে সম্মানিত করেছেন সেই দিন হতে যেই দিন তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং আল্লাহর সম্মান দানের কারণে এটা কিয়ামত পর্যন্ত সম্মানিতই থাকবে।
এর কাটা কেটে ফেলা হবে, না এর শিকারকে ভয় প্রদর্শন করা যাবে এবং না এখানে পতিত কোন জিনিস উঠানো যাবে। হ্যা, তবে যদি এটা চিনতে পেরে এর মালিককে পৌছিয়ে দেয়া হয় তাহলে তার জন্যে এটা জায়েয হবে এবং এর ঘাসও কেটে নেয়া চলবে না (শেষ পর্যন্ত)।” (এ হাদীসটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে। তা ছাড়া এটা বহু সনদে আরো বহু কিতাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আহকামের কিতাবগুলোতে এর বিস্তারিত বিবরণ বিদ্যমান। রয়েছে। সুতরাং সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তা'আলার জন্যেই)
অতঃপর আল্লাহ তা'আলা এই বিশেষ জিনিসের অধিকারের বর্ণনা দেয়ার পর নিজের সাধারণ অধিকারের বর্ণনা দিচ্ছেন। তিনি বলছেনঃ সব কিছুরই উপর অধিপত্য একমাত্র তাঁরই। তিনি ছাড়া অন্য কোন মালিক ও মাবুদ নেই। প্রত্যেক জিনিসের মালিক ও অধিপতি তিনিই।
আল্লাহ তাআলা স্বীয় রাসূল (সঃ)-কে বলছেনঃ তুমি আরো বলে দাও আমি আরো আদিষ্ট হয়েছি যে, আমি যেন আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হই। আমাকে আরো আদেশ করা হয়েছে যে, আমি যেন কুরআন আবৃত্তি করি। যেমন আল্লাহ তা'আলা আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “যা আমি তোমার নিকট বিবৃত করছি তা নিদর্শন ও সারগর্ভ বাণী হতে।” (৩:৫৮) অন্য জায়গায় আছেঃ (আরবি)
অর্থাৎ “আমি তোমার কাছে মূসা (আঃ) ও ফিরাউনের সত্য ঘটনা বর্ণনা করছি।” (২৮:৩) অর্থাৎ নবী (সঃ) যেন বলছেন ? আমি আল্লাহ প্রেরিত একজন প্রচারক ও ভয়-প্রদর্শক। যদি তোমরা আমার কথা মেনে নিয়ে সৎপথ অনুসরণ কর তবে তোমরা নিজেরাই কল্যাণ লাভ করবে। পক্ষান্তরে, যদি তোমরা আমার কথা অমান্য করে ভ্রান্তপথ অবলম্বন কর তবে তোমরা নিজেদেরই অকল্যাণ ডেকে আনবে। আমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র। আমি আল্লাহ তাআলার কালাম তোমাদের নিকট পৌছিয়ে দিয়ে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। সুতরাং তোমাদের কাজের জন্যে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে না। পূর্ববর্তী রাসূলগণও এরূপই করেছিলেন। তারাও আল্লাহর কালাম জনগণের নিকট পৌছিয়ে দিয়েই নিজেদের দায়িত্ব শেষ করেছিলেন। যেমন মহান আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “তোমার দায়িত্ব শুধু পৌছিয়ে দেয়া, হিসাব নেয়ার দায়িত্ব আমার।” (১৩: ৪০) আরো বলেন (আরবি)
অর্থাৎ “তুমি একজন ভয় প্রদর্শক মাত্র এবং আল্লাহ সব কিছুর উপরই কর্মবিধায়ক।" (১১:১২) সমুদয় প্রশংসা আল্লাহর জন্যে যিনি স্বীয় বান্দাদের উপর তাদের বে-খবর অবস্থায় শাস্তি নাযিল করেন না। বরং প্রথমে তাদের কাছে পয়গাম পাঠিয়ে দেন, স্বীয় হুজ্জত সমাপ্ত করেন এবং ভাল ও মন্দ বুঝিয়ে দেন। এ জন্যেই মহান আল্লাহ বলেনঃ “তিনি তোমাদেরকে সত্বর দেখাবেন তাঁর নিদর্শন, তখন তোমরা তা বুঝতে পারবে।” যেমন তিনি বলেন (আরবি)
অর্থাৎ “সত্বরই আমি তাদেরকে তাদের চতুর্দিকে এবং স্বয়ং তাদের নিজেদের মধ্যে আমার নিদর্শনসমূহ প্রদর্শন করবো, যার ফলে তাদের জন্যে সত্য প্রকাশিত হয়ে পড়বে।” (৪১:৫৩)
মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ তোমরা যা করছে সে সম্বন্ধে তোমার প্রতিপালক গাফিল নন। বরং ছোট-বড় সব জিনিসকেই তাঁর জ্ঞান পরিবেষ্টন করে আছে।
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহ তাআলাকে কোন জিনিস হতে এবং ততামাদের কোন কাজ হতে গাফিল বা উদাসীন মনে করো না। জেনে রেখো যে, তিনি এক একটি মশা, এক একটি পতঙ্গ এবং এক একটি অণু-পরমাণুরও খবর রাখেন।” (এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
হযরত উমার ইবনে আবদিল আযীয (রঃ) বলেনঃ “যদি আল্লাহ তা'আলা উদাসীন হতেন তবে মানুষের যে পদচিহ্নকে বাতাস মিটিয়ে দেয় তা থেকে তিনি অবশ্যই উদাসীন থাকতেন (কিন্তু তিনি ঐ পদচিহ্নগুলোরও খবর রাখেন)।” (এটাও ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
হযরত ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রঃ) প্রায়ই নিম্নের ছন্দ দু'টি পাঠ করতেন, যা তাঁর নিজের রচিত অথবা অন্য কারো রচিতঃ (আরবি) অর্থাৎ “যখন যুগের কোন এক দিন নির্জনে থাকবে তখন তুমি বলো নাঃ আমি নির্জনে রয়েছি। বরং তুমি বললাঃ আমার উপর একজন রক্ষক রয়েছেন। তুমি কখনো ধারণা করো না যে, আল্লাহ এক মুহূর্ত উদাসীন রয়েছেন বা কোন গোপনীয় জিনিস তার জ্ঞানের বাইরে রয়েছে।”
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings