Surah An Naml Tafseer
Tafseer of An-Naml : 62
Saheeh International
Is He [not best] who responds to the desperate one when he calls upon Him and removes evil and makes you inheritors of the earth? Is there a deity with Allah ? Little do you remember.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৬০-৬৪ নং আয়াতের তাফসীর:
এখানে আল্লাহ তা‘আলার একত্ব ও তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। একমাত্র তিনিই আকাশ ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। আর আকাশ হতে পানি বর্ষণ করেন এবং তা দিয়ে মনোরম বাগান সৃষ্টি করেন। যা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কেউ করতে সক্ষম নয়। এসকল বিষয়ে তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। এ সম্পর্কে সূরা নাহলের প্রথম দিকে আলোচনা করা হয়েছে।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তিনি শুধু জমিনই সৃষ্টি করেননি; বরং এ জমিনকে করেছেন বসবাস উপযোগী। আর তাতে প্রবাহিত করেছেন নদীনালা, স্থাপন করেছেন পর্বতমালা এবং দুই সাগরের মধ্যবর্তী স্থানে অন্তরাল সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَهُوَ الَّذِيْ مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ هٰذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ وَّهٰذَا مِلْحٌ أُجَاجٌ ج وَجَعَلَ بَيْنَهُمَا بَرْزَخًا وَّحِجْرًا مَّحْجُوْرًا)
“তিনিই দু’ দরিয়াকে মিলিতভাবে প্রবাহিত করেছেন, একটি মিষ্ট, সুপেয় এবং অপরটি লোনা, বিস্বাদ; উভয়ের মধ্যে রেখে দিয়েছেন এক অন্তরায়, এক অনতিক্রম্য ব্যবধান।” (সূরা ফুরকান ২৫:৫৩)
এরপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তিনিই একমাত্র প্রতিপালক যিনি পীড়িত ব্যক্তির ডাকে সাড়া দেন এবং বিপদ-আপদ দূরীভূত করেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَإِذَا مَسَّكُمُ الضُّرُّ فِي الْبَحْرِ ضَلَّ مَنْ تَدْعُوْنَ إِلَّآ إِيَّاهُ ج فَلَمَّا نَجَّاكُمْ إِلَي الْبَرِّ أَعْرَضْتُمْ ط وَكَانَ الْإٍنْسَانُ كَفُوْرًا)
“সমুদ্রে যখন তোমাদেরকে বিপদ স্পর্শ করে তখন কেবল তিনি ব্যতীত অপর যাদেরকে তোমরা আহ্বান করে থাক তারা অন্তর্হিত হয়ে যায়; অতঃপর তিনি যখন তোমাদেরকে উদ্ধার করে স্থলে আনেন তখন তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও। মানুষ অতিশয় অকৃতজ্ঞ।” (সূরা বানী ইসরাঈল ১৭:৬৭)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(ثُمَّ إِذَا مَسَّكُمُ الضُّرُّ فَإِلَيْهِ تَجْئَرُوْنَ)
“আবার যখন দুঃখ-কষ্ট তোমাদেরকে স্পর্শ করে তখন তোমরা তাঁকেই ব্যাকুলভাবে আহ্বান কর।” (সূরা নাহল ১৬:৫৩)
শুধু তাই নয়, তিনিই মানুষকে এ জমিনের প্রতিনিধি করেন। যেমন অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنْ يَّشَأْ يُذْهِبْكُمْ وَيَسْتَخْلِفْ مِنْۭ بَعْدِكُمْ مَّا يَشَا۬ءُ كَمَآ أَنْشَأَكُمْ مِّنْ ذُرِّيَّةِ قَوْمٍ اٰخَرِيْنَ)
“তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে অপসারিত করতে এবং তোমাদের পরে যাকে ইচ্ছা তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করতে পারেন, যেমন তোমাদেরকে তিনি অন্য এক সম্প্রদায়ের বংশ হতে সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা আন‘আম ৬:১০৩)
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন যে, তিনি মানুষকে জলে ও স্থলের অন্ধকারে পথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَعَلٰمٰتٍ ط وَبِالنَّجْمِ هُمْ يَهْتَدُوْنَ)
“এবং পথ নির্ণায়ক চিহ“সমূহও। আর তারা নক্ষত্রের সাহায্যেও পথের নির্দেশ পায়।” (সূরা নাহল ১৬:১৬)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(وَهُوَ الَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ النُّجُوْمَ لِتَهْتَدُوْا بِهَا فِيْ ظُلُمٰتِ الْبَرِّ وَالْبَحْرِ)
“তিনিই তোমাদের জন্য নক্ষত্র সৃষ্টি করেছেন যেন তার দ্বারা স্থলের ও সমুদ্রের অন্ধকারে তোমরা পথ পাও।” (সূরা আন‘আম ৬:৯৭)
এবং তিনি স্বীয় করুণায় বৃষ্টির পূর্বে সুসংবাদবাহী বাতাস প্রেরণ করেন। যার প্রত্যেক কিছু একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার একত্বের ওপরই প্রমাণ বহন করে যে, বৃষ্টির একটি ফোঁটাও অবতরণ করানোর ক্ষমতা কোন মানুষের নেই। অতএব সকলের উচিত বিশুদ্ধ চিত্তে কেবলমাত্র তাঁরই ইবাদত করা।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তিনিই মানুষকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই পুনরায় সৃষ্টি করবেন। আল্লাহ বলেন:
(إِنَّ بَطْشَ رَبِّكَ لَشَدِيْدٌ إِنَّه۫ هُوَ يُبْدِئُ وَيُعِيْدُ)
“নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও বড়ই কঠিন। তিনিই প্রথমবার সৃষ্টি করেন এবং পুনরায় পুনরাবৃত্তি করবেন।” (সূরা বুরূজ ৮৫:১২-১৩)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَهُوَ الَّذِيْ يَبْدَؤُا الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُه۫ وَهُوَ أَهْوَنُ عَلَيْهِ)
“তিনি সৃষ্টির সূচনা করেন, তারপর তিনিই আবার তা পুনরাবৃত্তি করবেন এটা তার জন্য খুবই সহজ।” (সূরা রূম ৩০:২৭)
এবং তিনিই সৃষ্ট বস্তুকে আকাশ ও জমিন হতে রিযিক দান করে থাকেন। যা আর দ্বিতীয় কারো পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।
আল্লাহ তা‘আলা এত সকল নিদর্শন ও প্রমাণাদী উপস্থিত করার পর বলেন, এ সকল প্রমাণ দেখেও যদি তারা বিশ্বাস না করে; বরং আল্লাহ তা‘আলার সাথে অন্য উপাস্যদেরকে শরীক করে তাহলে তারা যেন তাদের উপাস্যদের পক্ষে দলীল-প্রমাণ নিয়ে আসে। অথচ আল্লাহ অবগত আছেন, তারা এ বিষয়ে কোনই দলীল-প্রমাণ উপস্থিত করতে পারবে না। আল্লাহ বলেন:
(وَمَنْ يَّدْعُ مَعَ اللّٰهِ إلٰهًا اٰخَرَ لا لَا بُرْهَانَ لَه۫ بِه۪ لا فَإِنَّمَا حِسَابُه۫ عِنْدَ رَبِّه۪ ط إِنَّه۫ لَا يُفْلِحُ الْكٰفِرُوْنَ)
“যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার সাথে অন্য মা‘বূদের ইবাদত করে, যার পক্ষে তার কোন প্রমাণ নেই; তার হিসেব তার প্রতিপালকের নিকট; নিশ্চয়ই কাফিরগণ সফলকাম হবে না।” (সূরা মু’মিনূন ২৩:১১৭)
অতএব উপাস্য একমাত্র আল্লাহ, তাঁর সাথে অন্য আর কেউ শরীক নেই। সুতরাং উপাসনা পাবারও হকদার একমাত্র তিনিই, অন্য কেউ নয়। তাই আমাদের উচিত কেবল তাঁরই ইবাদত করা।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত আর কোন সঠিক উপাস্য নেই।
২. সকল বস্তুর সৃষ্টিকারী একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা এবং সকল কিছুর ওপর তিনিই ক্ষমতাবান।
৩. ভ্রান্ত উপাস্যদের সপক্ষে কোনই দলীল-প্রমাণ নেই।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings