Surah Al Furqan Tafseer
Tafseer of Al-Furqan : 59
Saheeh International
He who created the heavens and the earth and what is between them in six days and then established Himself above the Throne - the Most Merciful, so ask about Him one well informed.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৫৫-৬০ নং আয়াতের তাফসীর:
প্রথমত আল্লাহ তা‘আলা মুশরিকদের বোকামির কথা বর্ণনা করেছেন যে, তারা আল্লাহ তা‘আলাকে ব্যতীত যেসব মূর্তি, গাছ, কবরে শায়িত ব্যক্তি ইত্যাদির ইবাদত করে তারা তাদের কোনই লাভ বা ক্ষতি করতে পারে না। সুতরাং এদের ইবাদত করা বোকামি ব্যতীত আর কিছুই নয়। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَاتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اٰلِهَةً لَّعَلَّهُمْ يُنْصَرُوْنَ ط لَا يَسْتَطِيْعُوْنَ نَصْرَهُمْ وَهُمْ لَهُمْ جُنْدٌ مُّحْضَرُوْنَ)
“তারা আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অনেক মা‘বূদ গ্রহণ করেছে এ আশায় যে, তাদেরকে অনুগ্রহ করা হবে। এসব ইলাহ তাদের কোনই সাহায্য করতে সক্ষম নয়। এরা তাদের সৈন্য (সাহায্যকারী) হিসেবে উপস্থাপিত হবে।” (সূরা ইয়াসিন ৩৬:৭৪-৭৫) এ সম্পর্কে সূরা হাজ্জের ১২ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তিনি রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছেন। অর্থাৎ মু’মিনদের জন্য সুসংবাদদাতা ও কাফিরদের জন্য সতর্ককারী, যারা আনুগত্য করবে তাদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ আর যারা অস্বীকার করবে তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তির ব্যাপারে সতর্ককারী রূপে এবং তিনি রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ নির্দেশ দিয়েছেন যে, তিনি যেন বলেন, হে মানুষ! আমি তোমাদের নিকট ঈমানের দাওয়াত ও আল্লাহ তা‘আলার বিধি-বিধান পৌঁছে দেয়ার জন্য কোন পারিশ্রমিক চাই না। যার মন চায় , সে আল্লাহ তা‘আলার পথ অবলম্বন করবে। এতে তারই উপকার হবে। এ সম্পর্কে সূরা হূদ-এ আলোচনা করা হয়েছে।
(وَتَوَكَّلْ عَلَي الْحَيِّ....)
‘তুমি নির্ভর কর সেই চিরঞ্জীবের ওপর, যিনি মরবেন না’ যিনি চিরঞ্জীব কখনো মারা যাবেন না তিনি হলেন আল্লাহ তা‘আলা। সুতরাং সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা‘আলার ওপর ভরসা কর। এখানে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্বোধন করে সকল মানব জাতিকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। ভরসা করা দু’প্রকার-(১) এমন বিষয়ে ভরসা করা যা আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কেউ দিতে পারে না, যেমন সন্তান দেয়া, বিপদ থেকে মুক্তি দেয়া ইত্যাদি যা আল্লাহ তা‘আলা কোন বান্দার হাতে সাময়িকের জন্যও দেননি। এরূপ ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ওপর ভরসা করতে হবে, অন্য কারো ওপর ভরসা করলে শির্ক হবে। (২) এমন বিষয়ে ভরসা করা যা সাময়িকভাবে বান্দাকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে যেমন টাকা-পয়সার সহযোগিতা দেয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভরসা করা যাবে।
(عَلَي الْعَرْشِ.... الَّذِيْ خَلَقَ)
‘তিনি আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী ও তাদের উভয়ের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন’ এ সম্পর্কে সূরা আ‘রাফের ৫৪ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যখন তাদেরকে বলা হয় তোমরা রহমানকে সিজদা কর, তখন তারা তা অস্বীকার করেন যেমন হাদীসে এসেছে:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় আলী (رضي الله عنه)-কে বললেন, লেখন
(بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ)
দয়াময় ও দয়ালু আল্লাহ তা‘আলার নামে শুরু করছি। তখন তারা (কাফিররা) বলল, আমরা রহমান ও রাহিমকে চিনি না। বরং তুমি ঐভাবে লেখ যে, হে আল্লাহ তা‘আলা! তোমার নামে।
সুতরাং তারা দয়াময় আল্লাহ তা‘আলার জন্য সাজদাহ করত না। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَإِذَا قُرِئَ عَلَيْهِمُ الْقُرْاٰنُ لَا يَسْجُدُوْنَ)
“এবং যখন তাদের নিকট কুর’আন পাঠ করা হয় তখন তারা সিজদা করে না?” (সূরা ইনশিকাক ৮৪:২১)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَإِذَا قِيْلَ لَهُمُ ارْكَعُوْا لَا يَرْكَعُوْنَ)
“যখন তাদেরকে বলা হয়ঃ তোমরা রুকূ কর (সালাত আদায় কর) তখন তারা রুকূ করে না।” (সূরা মুরসালাত ৭৭:৪৮)
বরং তারা এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিত এবং আল্লাহ তা‘আলাকে অস্বীকার করত।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কারো ইবাদত করা যাবে না।
২. দাওয়াতী কাজ করে বিনিময় গ্রহণ করার চেয়ে না করাই উত্তম।
৩. আল্লাহ তা‘আলা চিরস্থায়ী, চিরজীবী, তাঁর কোন মৃত্যু নেই এবং তিনি আরশের ওপর সমুন্নত।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings