Surah Al Furqan Tafseer
Tafseer of Al-Furqan : 33
Saheeh International
And they do not come to you with an argument except that We bring you the truth and the best explanation.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩২-৩৪ নং আয়াতের তাফসীর:
(وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا....) শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনন মুশরিকরা বলত, যদি মুহাম্মাদ তাঁর কথা অনুযায়ী নাবীই হয় তাহলে তার প্রতিপালক তাকে শাস্তি দেবেন না। যদি এমনটিই হয় তাহলে তার ওপর কুরআন একত্রে নাযিল হয় না কেন, তাঁর ওপর এক আয়াত, দুই আয়াত এভাবে নাযিল হয় কেন। তখন এ আয়াতটি নাযিল হয়। (হাকিম এটা সহীহ বলেছেন, লুবানুল নুকূল পৃঃ ২০৩)
পূর্বের আয়াতগুলো থেকেই কাফেরদের আলোচনা চলে আসছে। এখানেও কাফিরদের সম্পকে আলোচনা করা হয়েছে যারা কুরআনকে মেনে নিতে পারেনি। তাদের অভিযোগ, কুরআন কেন পূর্ববর্তী আসমানী কিতাব তাওরাত ইঞ্জিলের মত একত্রে নাযিল হল না? কেউ বলেছেন: এ কথা মক্কার কুরাইশরা বলেছিল। ইবনু আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন: যখন কুরআন খণ্ড খণ্ড আকারে নাযিল হতে লাগল তখন ইয়াহূদীরা বলতে লাগল, কেন কুরআন একত্রে নাযিল হয় না; যেমন তাওরাত, ইঞ্জিল একত্রে নাযিল হয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা কুরআনকে খণ্ড খণ্ড আকারে নাযিল করার হেকমত বর্ণনা করছেন যে, যাতে কুরআনের মাধ্যমে তোমার অন্তর দীনের ওপর অটল রাখতে পারি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাওয়াতী কাজে অনেক কষ্টের সম্মুখীন হতেন, মানুষ দাওয়াত বর্জন করত, বিভিন্নভাবে কষ্ট দিত। এসব কষ্ট সহ্য করেও তিনি দাওয়াতী কাজ চালিয়ে যেতেন, তিনি চাইতেন তারপরেও মানুষ ঈমান আনুক। ফলে আল্লাহ তা‘আলা বিভিন্ন সময় সান্ত্বনা, পূর্ববর্তী নাবীগণের কষ্টময় জীবন ইত্যাদি মাঝে মাঝে তুলে ধরতেন যাতে এসব কষ্ট তিনি সহজে সহ্য করে নেন এবং তাতে অটল থাকতে পারেন। এছাড়াও আরো অনেক হেকমত রয়েছে।
(وَرَتَّلْنٰهُ تَرْتِيْلًا)
অর্থাৎ থেমে থেমে অবকাশ দিয়ে নাযিল করেছেন যাতে কোন সমস্যা উপস্থিত হলে সমাধান দিতে পারা যায়। সুতরাং কোরআন ক্রমে ক্রমে নাযিল করা; একত্রে নাযিল না করা ঈমান না আনার কোন কারণ হতে পারে না।
(وَلَا يَأْتُوْنَكَ بِمَثَلٍ إِلَّا جِئْنٰكَ بِالْحَقِّ)
অর্থাৎ সত্যকে প্রত্যাখ্যান ও প্রতিরোধ করার জন্য তারা যে কোন প্রকার উপমা নিয়ে আসুক, আমি তোমার ওপর নাযিল করব যা সত্য ও পরিপূর্ণ বর্ণনা সম্বলিত থাকবে। এরপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন: যে সকল কাফির-মুশরিকদেরকে কিয়ামতের দিন মুখের ওপর ভর দিয়ে জাহান্নামে উপস্থিত করা হবে অবস্থানের দিক দিয়ে তারা সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও পথভ্রষ্ট।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কুরআন খণ্ড খণ্ড আকারে নাযিল করার হেকমত জানতে পারলাম।
২. কিয়ামতের দিন কাফিরদেরকে মুখের ওপর ভর করে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়া হবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings