Surah Al Furqan Tafseer
Tafseer of Al-Furqan : 31
Saheeh International
And thus have We made for every prophet an enemy from among the criminals. But sufficient is your Lord as a guide and a helper.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩০-৩১ নং আয়াতের তাফসীর:
কুরআনকে যেভাবে চর্চা করা, মেনে চলা ও মর্যাদা দেয়া এবং বিশ্বাস করা উচিত উম্মাতের যারা তা করে না তাদের বিরুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা‘আলার কাছে বলবেন: হে আল্লাহ তা‘আলা! আমার এ জাতি কুরআনকে পরিত্যাগ করেছে। তারা কুরআনকে বর্জন করেছে, কুরআনকে মেনে নেয়নি এবং তার যথার্থ মর্যাদা দেয়নি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ অভিযোগ দুনিয়াতেই করেছেন, না আখিরাতে করবেন তা নিয়ে মতামত পাওয়া যায়, তবে পরবর্তী আয়াত দ্বারা বুঝা যায়ন এ অভিযোগ দুনিয়াতেই করেছেন। তাই তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَكَذٰلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا مِّنَ الْمُجْرِمِيْنَ)
অর্থাৎ আপনার শত্র“রা কুরআন অমান্য করলে সে জন্য আপনার সবর করা উচিত।
আর এভাবেই আখিরাতে অপরাধীরা তাদের রাসূলদের শত্র“ হয়ে যাবে। কেননা তারা মানুষকে অন্যায় কাজের দিকে আহ্বান করত আর আল্লাহ তা‘আলার পথে বাধা দিত। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَكَذٰلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا شَيٰطِيْنَ الْإِنْسِ وَالْجِنِّ يُوْحِيْ بَعْضُهُمْ إِلٰي بَعْضٍ زُخْرُفَ الْقَوْلِ غُرُوْرًا ط وَلَوْ شَا۬ءَ رَبُّكَ مَا فَعَلُوْهُ فَذَرْهُمْ وَمَا يَفْتَرُوْنَ - وَلِتَصْغٰٓي إِلَيْهِ أَفْئِدَةُ الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَةِ وَلِيَرْضَوْهُ وَلِيَقْتَرِفُوْا مَا هُمْ مُّقْتَرِفُوْنَ)
“অনুরূপভাবে আমি মানব ও জিনের মধ্যে যারা শয়তান তাদেরকে প্রত্যেক নাবীর শত্র“ করেছি, প্রতারণার উদ্দেশ্যে তাদের একে অন্যকে চমকপ্রদ কথা অতি গোপনীয়ভাবে জানিয়ে দেয়। যদি তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করতেন তবে তারা এটা করত না; সুতরাং তুমি তাদেরকে ও তারা যা মিথ্যা রচনা করে তাকে বর্জন কর। আর তারা এ উদ্দেশ্যে প্ররোচিত করে যে, যারা আাখিরাতে বিশ্বাস করে না তাদের মন যেন তার প্রতি অনুরাগী হয় এবং তাতে যেন তারা পরিতুষ্ট হয় আর তারা যে অপকর্ম করে তারাও যেন সেসব অপকর্ম করতে থাকে। (সূরা আন‘আম ৬:১১২-১১৩)
সুতরাং যারা অপরাধী তারা রাসূলের শত্র“ হয়ে যাবে। আর এ কারণে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। তাই আমাদের উচিত রাসূলের নির্দেশিত পথে চলা। কেননা রাসূলের দেখানো পথে না চললে রাসূলের শত্র“তে পরিণত হতে হবে। আর রাসূলের শত্র“ মানে আল্লাহ তা‘আলার শত্র“। যারা আল্লাহ তা‘আলার শত্র“ তারা কখনো জান্নাতে যেতে পারবে না। আর কুরআনকে বেশি বেশি চর্চা, পালন ও মেনে চলা উচিত। কারণ যারা কুরআন বর্জন করবে তাদের বিরুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিযোগ করেছেন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কুরআন বর্জন করার পরিণতি খুবই খারাপ, তাই বেশি বেশি তার চর্চা ও বিধি-বিধান মেনে চলা উচিত।
২. যারা অন্যায় কাজ করে তারা রাসূলদের ও আল্লাহ তা‘আলার শত্র“।
৩. আল্লাহ তা‘আলা যাকে পথ দেখান তাকে গোমরাহ করার কেউ নেই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে পথ দেখানোর কেউ নেই।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings