Surah Al Furqan Tafseer
Tafseer of Al-Furqan : 19
Saheeh International
So they will deny you, [disbelievers], in what you say, and you cannot avert [punishment] or [find] help. And whoever commits injustice among you - We will make him taste a great punishment.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৭-১৯ নং আয়াতের তাফসীর:
যারা আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে মা‘বূদ বানিয়ে উপাসনা করত যেমনন ফেরেশতা, মানুষ, জিন, ঈসা, উযাইর ইত্যাদি মা‘বূদ ও যারা তাদের ইবাদত করত তাদেরকে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা জিজ্ঞাসা করবেন: ‘তোমরা কি আমার এ বান্দাদেরকে তোমাদের ইবাদত করার নির্দেশ দিয়েছিলে, না তারা নিজেরাই পথভ্রষ্ট হয়েছিল?’ সকল মা‘বূদ অস্বীকার করে বলবে: আপনাকে শরীক থেকে পবিত্র বর্ণনা করছি: আপনার পরিবর্তে আমরা অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করব! আপনিই তো এদেরকে এবং এদের পিতৃপুরুষদেরকে ভোগ-সম্ভার দিয়েছিলেন; পরিণামে তারা উপদেশ ভুলে গিয়েছিল এবং পরিণত হয়েছিল এক ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিতে। যেমন ফেরেশতাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ جَمِيْعًا ثُمَّ يَقُوْلُ لِلْمَلَا۬ئِكَةِ أَهٰٓؤُلَا۬ءِ إِيَّاكُمْ كَانُوْا يَعْبُدُوْنَ - قَالُوْا سُبْحَانَكَ أَنْتَ وَلِيُّنَا مِنْ دُوْنِهِمْ ج بَلْ كَانُوْا يَعْبُدُوْنَ الْجِنَّ أَكْثَرُهُمْ بِهِمْ مُّؤْمِنُوْنَ)
“যেদিন তিনি তাদের সবাইকে একত্রিত করবেন এবং ফেরেশতাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন: এরা কি তোমাদেরই পূজা করত? ফেরেশতারা বলবে: আপনি পবিত্র, মহান! আপনিই আমাদের অভিভাবক, তারা নয়। বরং তারা পূজো করত জিনদের এবং তাদের অধিকাংশই ছিল তাদের প্রতি বিশ্বাসী।” (সূরা সাবা ৩৪:৪০-৪১)
ঈসা (عليه السلام)-এর ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَإِذْ قَالَ اللّٰهُ يَا عِيْسَي ابْنَ مَرْيَمَ أَأَنْتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُوْنِيْ وَأُمِّيَ إِلٰهَيْنِ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ط قَالَ سُبْحٰنَكَ مَا يَكُوْنُ لِيْٓ أَنْ أَقُوْلَ مَا لَيْسَ لِيْ بِحَقٍّ إِنْ كُنْتُ قُلْتُه۫ فَقَدْ عَلِمْتَه۫ ط تَعْلَمُ مَا فِيْ نَفْسِيْ وَلَآ أَعْلَمُ مَا فِيْ نَفْسِكَ ط إِنَّكَ أَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ)
“আর (স্মরণ কর) আল্লাহ তা‘আলা যখন বললেন: ‘হে মারইয়ামের ছেলে ঈসা! তুমি কি লোকদেরকে বলেছিলে যে, তোমরা আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া আমাকে ও আমার জননীকে দু’ মা‘বূদরূপে গ্রহণ কর?’ সে বলবে, ‘তোমার প্রবিত্রতা বর্ণনা করছি! যা বলার অধিকার আমার নেই তা বলা আমার পক্ষে শোভনীয় নয়। যদি আমি তা বলতাম তবে তুমি তো তা জানতে। আমার অন্তরের কথা তো তুমি অবগত আছ, কিন্তু তোমার অন্তরের কথা আমি অবগত নই; তুমি তো অদৃশ্য সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত।’’ (সূরা মায়িদাহ ৫:১১৬)
সুতরাং এ সকল মূর্খলোকেরা যাদেরই ইবাদত করত তারা প্রত্যেকেই তাদের ইবাদতের কথা অস্বীকার করবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ يَّدْعُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَنْ لَّا يَسْتَجِيْبُ لَه۫ٓ إِلٰي يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهُمْ عَنْ دُعَا۬ئِهِمْ غٰفِلُوْنَ - وَإِذَا حُشِرَ النَّاسُ كَانُوْا لَهُمْ أَعْدَا۬ءً وَّكَانُوْا بِعِبَادَتِهِمْ كٰفِرِيْنَ)
“সে ব্যক্তির চেয়ে বেশি গোমরাহ আর কে হতে পারে, যে আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে এমন কাউকে ডাকে, যে কিয়ামতের দিন পর্যন্তও সাড়া দেবে না। বরং তারা তাদের আহ্বান সম্পর্কে গাফেল। (হাশরের ময়দানে) যখন সব মানুষকে একত্রিত করা হবে তখন যারা তাদেরকে ডাকত তারা তাদের দুশমন হয়ে যাবে এবং তাদের ইবাদতকে অস্বীকার করবে।” (সূরা আহক্বাফ ৪৬:৫-৬) সুতরাং তারা সেখানে কোন সাহায্যকারী পাবে না এবং শাস্তি থেকে রেহাইও পাবে না। বরং তাদেরকে কঠিন শাস্তি আস্বাদান করানো হবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَا تَدْعُ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا يَنْفَعُكَ وَلَا يَضُرُّكَ ج فَإِنْ فَعَلْتَ فَإِنَّكَ إِذًا مِّنَ الظّٰلِمِيْنَ)
‘এবং আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কাউকেও ডেকো না, যারা তোমার কোন উপকার করে না, অপকারও করতে পারবে না; যদি তুমি এরূপ কর তাহলে অবশ্যই জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (সূরা ইউনুস ১০:১০৬)
অতএব উক্ত আলোচনা থেকে একথাই বুঝায় যে, দুনিয়াতে আল্লাহ তা‘আলার পরিবর্তে যাদেরই ইবাদত করা হোক না কেন তারা আখিরাতে তা অস্বীকার করবে। তাই আমাদের উচিত সকল বাতিল মা‘বূদদেরকে ছেড়ে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করা।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. দুনিয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত যাদেরকে মা‘বূদ বানিয়ে ইবাদত করা হয়েছে কিয়ামতের দিন সে সব মা‘বূদ তাদের ইবাদতের কথা অস্বীকার করবে।
২. কিয়ামতের দিন সকল মানুষকে একত্রিত করা হবে এবং তাদের হিসাব-নিকাশ নেয়া হবে।
৩. মুশরিকদের জন্য কিয়ামতের দিন কোন সাহায্যকারী থাকবে না এবং কেউ জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ দিতে পারবে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings