Surah An Nur Tafseer
Tafseer of An-Nur : 52
Saheeh International
And whoever obeys Allah and His Messenger and fears Allah and is conscious of Him - it is those who are the attainers.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪৭-৫২ নং আয়াতের তাফসীর:
উক্ত আয়াতগুলোতে মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্যগুলোই আলোচনা করা হয়েছ্ েযারা মুখে ঈমান ও ইসলামের কথা বলে, কিন্তু অন্তর কুফর ও নিফাকীতে ভরপুর। يَتَوَلّٰي অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের আনুগত্য থেকে, ঈমান থেকে বেরিয়ে যায়। তাদের মাঝে আপোষে কোন দ্বন্দ্বের ফায়সালার জন্য আল্লাহ তা‘আলা এবং রাসূলের দিকে তথা কুরআন ও সুন্নাহর দিকে ডাকা হলে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। কারণ তারা জানে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে কোন বিচারের ফায়সালার জন্য গেলে সঠিক বিচার হবে, যার বিপক্ষেই রায় যাক তাকে ক্ষমা করা হবে না। হ্যাঁ, যদি তারা বুঝতে পারে যে, তারা হকের ওপর রয়েছে এবং ফায়সালা তাদের পক্ষে আসবে তাহলে সাগ্রহে আসবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
“তুমি কি তাদেরকে দেখনি যারা দাবি করে যে, তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতে তারা বিশ্বাস করে, এবং তারা তাগূতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়, অথচ তা প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আর শয়তান তাদেরকে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট করতে চায়। আর যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ তা‘আলা যা নাযিল করেছেন তার দিকে এবং রাসূলের দিকে আস, তখন মুনাফিকদেরকে তুমি তোমার নিকট হতে মুখ একেবারে ফিরিয়ে নিতে দেখবে।” (সূরা নিসা ৪:৬০-৬১)
আর এ সকল মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সূরা বাকারার প্রথম দিকেই বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
(وَإِنْ يَّكُنْ لَّهُمُ الْحَقُّ)
আর যখন ফায়সালা তাদের বিরুদ্ধে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তখন মুখ ফিরিয়ে নেয়ার ও দূরে থাকার কারণ বর্ণনা করা হচ্ছে যে, হয় তাদের অন্তরে কুফরী ও নিফাকীর রোগ আছে, অথবা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুআতের ব্যাপারে সন্দেহ আছে অথবা তাদের এ আশংকা রয়েছে যে, আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূূল তাদের প্রতি অবিচার করবেন। অথচ আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে অবিচারের কোন সম্ভাবনাই নেই। বরং আসল কথা হলন তারা নিজেরাই জালিম। এ থেকে ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন: ন্যায়পরায়ণ ও কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে বিজ্ঞ বিচারক থাকলে মামলা মুকাদ্দামাহ পেশ করা আবশ্যক, অন্যথায় জরুরী নয়।
পক্ষান্তরে যারা সত্যিকার মু’মিন তাদেরকে যখন কোন বিবাদের ফায়সালার জন্য কুরআন ও সুন্নাহর দিকে আহ্বান করা হয় তখন বিনা দ্বিধায় কুরআন ও সুন্নাহর ফায়সালা তারা মেনে নেয়। তারা এদিক সেদিক থেকে ফায়সালা নেয়ার চিন্তা করে না। প্রতিটি মু’মিনের এমন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হওয়া উচিত, তারা যে কোন ফায়সালা খুঁজবে কুরআন ও সুন্নাহ থেকে। কুরআন সুন্নাহর ফায়সালা নিয়েই তারা সন্তুষ্ট থাকবে। কারণ যারা সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের আনুগত্য করে, তাদের দেয়া আদর্শ, সুন্নাত ও ফায়সালাকে মেনে নেয় তারাই সফলকাম।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. একশ্রেণির মানুষ রয়েছে যারা মুখে ঈমানের কথা বলে কিন্তু অন্তর কুফরীতে পরিপূর্ণ।
২. তারা আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের দেয়া বিধান নিয়ে সন্তুষ্ট নয়।
৩. যারা আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের দেয়া আদর্শ ও ফায়সালাকে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে না নিবে তারা মু’মিন নয়।
৪. মু’মিনদের বৈশিষ্ট্য হল কুরআন ও সুন্নাহর দিকে আহ্বান করলে তারা সাড়া দেয় এবং তাঁর ফায়সালা মেনে নেয়।
৫. সফলতার মাপকাঠি হল আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একচ্ছত্র আনুগত্য ও আল্লাহ তা‘আলার ভয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings