Surah Al Mu'minun Tafseer
Tafseer of Al-Mu'minun : 44
Saheeh International
Then We sent Our messengers in succession. Every time there came to a nation its messenger, they denied him, so We made them follow one another [to destruction], and We made them narrations. So away with a people who do not believe.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪২-৪৪ নং আয়াতের তাফসীর:
সালেহ (عليه السلام)-এর জাতি সামুদকে তাদের অবাধ্যতার কারণে ধ্বংস করার পর আল্লাহ তা‘আলা আরো অনেক জাতি নিয়ে এসেছিলেনন যেমন লূত, শু‘আইব, আইয়ুব ও ইউনুস প্রমুখ নাবীর জাতি। যেমন সূরা আ‘রাফে ও হুদে তাদের ঘটনাগুলো অনুরূপ আলোচিত হয়েছে। قرون শব্দটি قرن এর বহুবচন। অর্থ যুগ, কাল; এখানে জাতি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, যেহেতু কালক্রমে জাতির উত্থান-পতন সেহেতু এ অর্থে ব্যবহৃত হয়।
(مَا تَسْبِقُ مِنْ أُمَّةٍ)
অর্থাৎ দুনিয়াতে আসার জন্য যে জাতির যে সময় নির্ধারিত ছিল তারা সে সময়েই আগমন করেছে, অগ্র-পশ্চাত হয়নি এবং যে সময়ে বিদায় নেয়ার সে সময়েই বিদায় নিয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ ط إِذَا جَا۬ءَ أَجَلُهُمْ فَلَا يَسْتَأْخِرُوْنَ سَاعَةً وَّلَا يَسْتَقْدِمُوْنَ)
“প্রত্যেক জাতির এক নির্দিষ্ট সময় আছে; যখন তাদের সময় আসবে তখন তারা মুহূর্তকালও আগপিছ করতে পারবে না।” (সূরা ইউনুস ১০:৪৯)
تَتْرَا অর্থ ধারাবাহিকভাবে আসা, একের পর এক আসা। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা ধারাবাহিকভাবে রাসূল প্রেরণ করেছেন। এমন নয় যে, কোন জাতির কাছে প্রেরণ করেছেন আর কোন জাতির কাছে প্রেরণ করেননি। যেমন সূরা নাহলের ৩৬ নং আয়াতে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু প্রত্যেক জাতির লোকেরাই রাসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। তাই আল্লাহ তা‘আলা আফসোস করে বলেন:
(يَا حَسْرَةً عَلَي الْعِبَادِ مَا يَأْتِيْهِمْ مِّنْ رَّسُوْلٍ إِلَّا كَانُوْا بِه۪ يَسْتَهْزِئُوْنَ)
“আফসোস বান্দাদের জন্য! তাদের কাছে কখনও এমন কোন রাসূল আসেনি, যাকে নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করেনি।” (সূরা ইয়াসীন ৩৬:৩০)
(فَأَتْبَعْنَا بَعْضَهُمْ بَعْضًا)
অর্থাৎ তারা যেমন রাসূলের প্রতি ঈমান আনেনি আমিও তাদেরকে একের পর এক ধ্বংস করে দিয়েছি। তাদের ধ্বংসের কাহিনী ছাড়া আর কিছুই বাকী নেই, এসব কাহিনী পরবর্তীদের উপদেশ গ্রহণের জন্য রেখে দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(فَقَالُوْا رَبَّنَا بَاعِدْ بَيْنَ أَسْفَارِنَا وَظَلَمُوْآ أَنْفُسَهُمْ فَجَعَلْنٰهُمْ أَحَادِيْثَ وَمَزَّقْنٰهُمْ كُلَّ مُمَزَّقٍ ط إِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيٰتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُوْرٍ)
“কিন্তু তারা বলল: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ভ্রমণের পরিসর বাড়িয়ে দিন। তারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছিল। ফলে আমি তাদেরকে কাহিনীর বস্তুতে পরিণত করে দিলাম এবং সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন-ভিন্ন করে দিলাম। নিশ্চয়ই এতে রয়েছে দৃষ্টান্ত প্রত্যেক ধৈর্যশীল, কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য।” (সূরা সাবা ৩৪:১৯)
সুতরাং রাসূলদের দাওয়াতে যারা সাড়া দিয়ে ঈমান আনবে তারাই সফলকাম, আর যারা তাদের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করবে তাদের জন্য দুর্ভোগ।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক জাতির কাছে রাসূল প্রেরণ করেছেন যাতে কিয়ামতের দিন কেউ অভিযোগ করতে না পারে।
২. প্রত্যেক জাতি নির্ধারিত সময়ে আগমন করে আবার নির্ধারিত সময়ে চলে যায়।
৩. যারা রাসূলদের ডাকে সাড়া দেয়নি তাদের পরিণাম খুবই ভয়াবহ হয়েছে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings