Surah Al Mu'minun Tafseer
Tafseer of Al-Mu'minun : 101
Saheeh International
So when the Horn is blown, no relationship will there be among them that Day, nor will they ask about one another.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১০১-১০৪ নং আয়াতের তাফসীর:
..... فَإِذَا نُفِخَ فِي الصُّوْرِ
‘এবং যেদিন শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে’ এখানে যে ফুৎকারের কথা বলা হয়েছে তা দ্বিতীয় ফুঁৎকার (যদি ফুঁৎকার দুটি হয়) এ ফুঁৎকার দিলে মানুষ পুনরুত্থিত হবে, হাশরের ময়দানে একত্রিত হবে।
فَلَآ أَنْسَابَ অর্থাৎ দুনিয়াতে যেমন আত্মীয়দের নিয়ে গর্ব করত, এক জনের দ্বারা অন্য জন উপকৃত হত সেখানে তা হবে না। প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে যে, না জানি তার কী হয়। মূল আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে তা বলা হয়নি। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(یَوْمَ یَفِرُّ الْمَرْئُ مِنْ اَخِیْھِﭱﺫ وَاُمِّھ۪ وَاَبِیْھِﭲﺫ وَصَاحِبَتِھ۪ وَبَنِیْھِ)
“সেদিন মানুষ পলায়ন করবে তার নিজের ভাই হতে, এবং তার মাতা, তার পিতা, তার স্ত্রী ও তার সন্তান হতে।” (সূরা আবাসা ৮০:৩৪-৩৬) সুতরাং আত্মীয় থাকবে কিন্তু কেউ কাউকে জিজ্ঞাসা করবে না, যদি কিছু চেয়ে বসে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন: কিয়ামতের দিন বংশ নিয়ে গর্ব করবে না যেমন দুনিয়াতে করত, দুনিয়াতে যেমন একজন অন্যজনের খোঁজ খবর নিত কিয়ামতের দিন তেমন কেউ কারো খোঁজ-খবর নিবে না। (তাফসীর কুরতুবী)
(وَّلَا يَتَسَا۬ءَلُوْنَ)
‘এবং একে অপরের খোঁজ-খবর নিবে না’। অন্য আয়াতে বলা হয়েছে তারা একজন অপরজনের মুখোমুখি হয়ে জিজ্ঞাসা করবে। (সূরা সাফফাত ৩৭:৫০) এখানে জিজ্ঞাসা করবে না বা খোঁজ-খবর নিবে না বলা হয়েছে। আর প্রাথমিক অবস্থায় এমন হবে এবং পরবর্তীতে পরস্পরে চিনবে ও পরস্পরে জিজ্ঞাসা করবে।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন: যার নেকীর পাল্লা ভারী হবে সে সফলকাম হবে আর যার নেকীর পাল্লা হালকা হবে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَاَمَّا مَنْ ثَقُلَتْ مَوَازِیْنُھ۫ﭕﺫ فَھُوَ فِیْ عِیْشَةٍ رَّاضِیَةٍﭖﺚ وَاَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِیْنُھ۫ﭗﺫ فَاُمُّھ۫ ھَاوِیَةٌﭘﺚ وَمَآ اَدْرٰٿکَ مَا ھِیَھْﭙﺚ نَارٌ حَامِیَةٌﭚ)
“অতএব যার পাল্লা ভারী হবে, সে সন্তোষজনক জীবন যাপন কররে, আর যার পাল্লা হালকা হবে, তার ঠিকানা হবে হাবিয়া। তুমি কি জান তা কী? প্রজ্জ্বলিত অগ্নি।” (সূরা কারিয়া ১০১:৬-১১) এ সম্পর্কে সূরা আ‘রাফের ৮-৯ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
تَلْفَحُ কঠিনভাবে পুড়ে ফেলা। অর্থাৎ জান্নামের আগুন তাদের চেহারা পুড়িয়ে ফেলবে। كٰـلِحُوْنَ অর্থ ঠোঁট জড়ো হয়ে দাঁত বেরিয়ে যাওয়া। জাহান্নামের আগুন তাদের চেহারা এমনভাবে দগ্ধ করবে যে, তাদের ঠোঁট পুড়ে জড়ো হয়ে যাবে ফলে দাঁত দেখা যাবে যা দেখতে হবে বিভৎস। মোট কথা তাদের মর্মান্তিক শাস্তি দেয়া হবে। আল্লাহ তা‘আলা বাণী:
(وَمَنْ جَا۬ءَ بِالسَّيِّئَةِ فَكُبَّتْ وُجُوْهُهُمْ فِي النَّارِ ط هَلْ تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ)
“যে কেউ অসৎ কর্ম নিয়ে আসবে, তাকে অধোমুখে নিক্ষেপ করা হবে জাহান্নামে (এবং তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা যা করতে তারই প্রতিফল তোমাদেরকে দেয়া হচ্ছে।” (সূরা নামল ২৭:৯০)
এ সম্পর্কে কুরআনের বহু জায়গায় আলোচনা রয়েছে। যেমন সূরা আ‘রাফের ৬৬ নং, যুমারের ২৪ নং ও সূরা কাহফের ২৯ নং আয়াতে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কিয়ামতের দিন যখন মানুষ কবর থেকে জীবিত হয়ে বের হবে তখন কারো সাথে কারো কোন সম্পর্ক থাকবে না।
২. যারা ভাল কাজ করবে তারা জান্নাতে যাবে, আর যারা মন্দ কাজ করবে তারা জাহান্নামে যাবে।
৩. জাহান্নামীদেরকে লাঞ্ছিতভাবে আগুনের শাস্তি দেয়া হবে।
৪. জাহান্নামের আগুন মানুষের চেহারাকে পুড়িয়ে বীভৎস করে দিবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings