Surah Al Hajj Tafseer
Tafseer of Al-Hajj : 58
Saheeh International
And those who emigrated for the cause of Allah and then were killed or died - Allah will surely provide for them a good provision. And indeed, it is Allah who is the best of providers.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৫৮-৬০ নং আয়াতের তাফসীর:
উক্ত আয়াতগুলোতে ঐ সকল মু’মিন বান্দাদেরকে মহা সুসংবাদ দেয়া হয়েছে যারা আল্লাহ তা‘আলার রাস্তায় তাঁর সন্তুষ্টির জন্য দীন কায়েমের লক্ষ্যে নিজের এলাকা, দেশ, স্ত্রী-সন্তান ও সহায়-সম্পদ বর্জন করে হিজরত করে। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে কবরে উত্তম রিযিক দান করবেন, তারা বিছানায় মারা যাক বা আল্লাহ তা‘আলার রাস্তায় শহীদ হোক। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَنْ يَّخْرُجْ مِنْۭ بَيْتِه۪ مُهَاجِرًا إِلَي اللّٰهِ وَرَسُوْلِه۪ ثُمَّ يُدْرِكْهُ الْمَوْتُ فَقَدْ وَقَعَ أَجْرُه۫ عَلَي اللّٰهِ)
“কেউ আল্লাহ ও রাসূলের উদ্দেশ্যে নিজ গৃহ হতে মুহাজির হয়ে বের হলে অতঃপর তার মৃত্যু হলে তার পুরস্কারের ভার আল্লাহর ওপর।” (সূরা নিসা ৪:১০০) আর কিয়ামতের দিন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যেখানে তারা সবুজ পাখি হয়ে উড়ে বেড়াবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِيْنَ قُتِلُوْا فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ أَمْوَاتًا ط بَلْ أَحْيَا۬ءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُوْنَ)
“যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে, তাদেরকে মৃত ধারণা কর না; বরং তারা জীবিত, তারা তাদের প্রতিপালক হতে জীবিকা প্রাপ্ত হয়।” (সূরা আলি ইমরান ৩:১৬৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: শহীদদের আত্মা সবুজ পাখির মধ্যে থাকবে, তাদের বাসা আরশের সাথে ঝুলন্ত থাকবে, জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা তারা ঘুরে বেড়াবে, আবার বাসায় ফিরে আসবে। (সহীহ মুসলিম হা: ১৮৮৭)
ذٰلِكَ অর্থাৎ আমি মুহাজিরদের সঙ্গে বিশেষ করে শহীদী অথবা স্বাভাবিক মরণের যে ওয়াদা করেছি তা অবশ্যই পূর্ণ হবে।
العقوبة (প্রতিশোধ) এমন শাস্তি ও সাজাকে বলা হয় যা কোন কাজের বিনিময়ে দেয়া হয়। অর্থাৎ যদি কেউ অন্য কারো প্রতি অত্যাচার করে তাহলে অত্যাচারিত ব্যক্তির জন্য সেই পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করার অধিকার আছে যে পরিমাণ অত্যাচার তার প্রতি করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিশোধ নেয়ার পর যখন অত্যাচারী ও অত্যাচারিত উভয়ে সমান হয়ে যায়, তারপর অত্যাচারী যদি অত্যাচারিতের ওপর আবার অত্যাচার করে তাহলে আল্লাহ তা‘আলা সে অত্যাচারিতকে অবশ্যই সাহায্য করেন। সুতরাং এ সন্দেহ করা উচিত নয় যে, অত্যাচারিত ব্যক্তি ক্ষমা না করে প্রতিশোধ নিয়ে ভুল করেছে। না, তা ভুল নয়। যেহেতু স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা এর অনুমতি দিয়েছেন। সে জন্য আগামীতেও সে আল্লাহ তা‘আলার সাহায্যের অধিকারী হবে।
(إِنَّ اللّٰهَ لَعَفُوٌّ غَفُوْرٌ)
এ আয়াতে ক্ষমা করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমাশীল, তোমরাও ক্ষমা কর। এর অন্য একটি অর্থ এও হতে পারে যে, অত্যাচারী যে পরিমাণ অত্যাচার করেছে সে পরিমাণ প্রতিশোধ নেয়াতে আল্লাহ তা‘আলা কোন পাকড়াও করবেন না। যেহেতু আল্লাহ তা‘আলা তা অনুমতি দিয়েছেন। বরং তা ক্ষমাযোগ্য। প্রতিশোধ গ্রহণ অত্যাচারীর কাজের অনুরূপ হওয়ার জন্য দৃশ্যতঃ এক রকম অত্যাচার হলেও আসলে প্রতিশোধ গ্রহণ কোন অত্যাচার নয়।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. হিজরত করার ফযীলত সম্পর্কে জানলাম।
২. অত্যাচারিত ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা সাহায্য করেনন এ কথা জানতে পারলাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings