Surah Al Hajj Tafseer
Tafseer of Al-Hajj : 24
Saheeh International
And they had been guided [in worldly life] to good speech, and they were guided to the path of the Praiseworthy.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
২৩-২৪ নং আয়াতের তাফসীর:
উপরে জাহান্নামীদের এবং তাদের শাস্তি, তাদের পায়ের শৃংখল, হাতের কড়া, তাদের আগুনে জ্বলে যাওয়া এবং তাদের আগুনের পোষাক হওয়া ইত্যাদি বর্ণনা করার পর আল্লাহ তাআলা এখন জান্নাতের তথাকার নিয়ামতরাজি এবং ওর অধিবাসীদের অবস্থার বর্ণনা দিচ্ছেন। আমরা তাঁর অনুগ্রহ ও দয়া প্রার্থনা করছি। তিনি বলেনঃ যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, তিনি তাদেরকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করবেন, যার প্রাসাদ ও বাগ-বাগিচার চতুর্দিকে পানির নহর প্রবাহিত রয়েছে। তারা যেদিকে চাইবেসে দিকেই ওকে ফিরাতে পারবে। সেখানে তাদেরকে অলংকৃত করা হবে স্বর্ণ কংকন ও মনি মুক্তা দ্বারা।
নবী (সঃ) বলেছেনঃ “মু'মিনের অংলকার ঐ পর্যন্ত পৌঁছবে যে পর্যন্ত তার অযুর পানি পৌঁছে।” (এ হাদীসটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে রয়েছে) হযরত কা'ব আহ্বার (রঃ) বলেনঃ “বেহেশতে একজন ফেরেশতা রয়েছেন যার নামও আমার জানা আছে, তিনি জন্মের পর হতেই মুমিনদের জন্যে অলংকার তৈরী করতে রয়েছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত এ কাজেই লেগে থাকবেন। যদি ঐ কংকন গুলির মধ্যে একটি কংকনও দুনিয়ায় প্রকাশ পায় তবে সূর্যের কিরণ এমনভাবে হারিয়ে যাবে যেমন ভাবে ওর উদয়ের পর চন্দ্রের কিরণ হারিয়ে যায়।
উপরে জাহান্নামীদের পোশাকের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এখানে জান্নাতীদের পোষাকের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ সেথায় তাদের পোষাক পরিচ্ছদ হবে রেশমের। যেমন অন্য জায়গায় তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তাদের আবরণ হবে সূক্ষ্ম সবুজ রেশম ও স্কুল রেশম, তারা অলংকৃত হবে রৌপ্য নির্মিত কংকনে, আর তাদের প্রতিপালক তাদেরকে পান করাবেন বিশুদ্ধ পানীয়। অবশ্য, এটাই তোমাদের পুরস্কার এবং তোমাদের কর্মপ্রচেষ্টা স্বীকৃত।” (৭৬:২১-২২)
সহীহ্ হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমরা রেশম পরিধান করো না। যে ব্যক্তি দুনিয়ায় রেশম (এর পোশাক) পরিধান করবে, সে আখেরাতে এর থেকে বঞ্চিত হবে।”
হযরত আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রাঃ) বলেনঃ “যে ব্যক্তি ঐ দিন (আখেরাতে) রেশমী পোষাক থেকে বঞ্চিত থাকবে সে জান্নাতে যাবে না। কেননা, জান্নাতীদের পোষাক তো এটাই হবে।”
মহান আল্লাহ বলেনঃ তাদেরকে পবিত্র বাক্যের অনুগামী করা হয়েছিল। যেমন অন্যত্র তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদেরকে প্রবিষ্ট করা হবে বেহেশতে যার নিম্নদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত থাকবে, তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে তারা তথায় চিরকাল অবস্থান করবে এবং সেখানে তাদের অভিবাদন হবে ‘সালাম।” (১৪:২৩) আর এক জায়গায় রয়েছেঃ “প্রত্যেক দরজা দিয়ে ফেরেশতারা তাদের কাছে প্রবেশ করবে এবং সালাম করে বলবেঃ তোমাদের ধৈর্যের পরিণাম কতই না উত্তম হলো!” অন্য এক জায়গায় আছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “সেথায় তারা শুনবে না কোন অসার অথবা পাপ বাক্য ‘সালাম’ আর সালাম ব্যতীত।” (৫৬:২৫-২৬)
সুতরাং তাদেরকে এমন জায়গা দেয়া হলো যেখানে শুধু মনোমুগ্ধকর শব্দ ও সালাম’ আর ‘সালাম’ই তারা শুনতে পাবে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ তাদেরকে সেখানে অভ্যর্থনা করা হবে অভিবাদন ও সালাম সহকারে।" (২৫৪ ৭৫) অপরপক্ষে জাহান্নামীদেরকে সদা ধমক ও শাসন গর্জন করা হবে এবং বলা হবেঃ “আস্বাদ কর দহন যন্ত্রণা।'
মহান আল্লাহ বলেনঃ তাদেরকে পবিত্র বাক্যের অনুগামী করা হয়েছিল এবং তারা পরিচালিত হয়েছিল পরম প্রশংসাভাজন আল্লাহর পথে ।' তারা অত্যন্ত আনন্দিত হবে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের মুখ দিয়ে বের হবে আল্লার প্রশংসা। কেননা তথায় তারা অগণিত ও অতুলনীয় নিয়ামত লাভ করবে।
সহীহ হাদীসে রয়েছেঃ “যেমন বিনা ইচ্ছায় ও বিনা কষ্টে শ্বাস-প্রশ্বাস আসে ও যায়, অনুরূপভাবে জান্নাতীদের প্রতি তাসবীহ্ ও প্রশংসার ইলহাম হবে। কোন কোন তাফসীরকারের উক্তি এই যে, (আরবী) দ্বারা কুরআন কারীমকে ও লাইলাহা ইল্লাল্লাহ'কে বুঝানো হয়েছে এবং হাদীসের অন্যান্য যিকেও বুঝানো হয়েছে। আর (আরবী) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ইসলামী পথ। এই তাফসীরও প্রথম তাফসীরের বিপরীত নয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings