Surah Al Hajj Tafseer
Tafseer of Al-Hajj : 16
Saheeh International
And thus have We sent the Qur'an down as verses of clear evidence and because Allah guides whom He intends.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১১-১৬ নং আয়াতের তাফসীর:
এক শ্রেণির মানুষ রয়েছে যাদের ঈমান খুব দুর্বল, অন্তরে ঈমান প্রবেশ করেনি, ঈমানের সজীবতা ও স্বাদ পায়নি বরং হয়তো কোন ভয়ের কারণে ইসলাম গ্রহণ করেছে বা কোন কিছু পাওয়ার জন্য ইসলাম গ্রহণ করেছে। এসকল ব্যক্তিরা আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করে عَلٰي حَرْفٍ বা এক কিনারে দাঁড়িয়ে। حَرْفٍ অর্থ কিনারা, প্রান্ত। অর্থাৎ কিনারায় দাঁড়িয়ে মানুষ যেমন স্থিতিশীল ও অটল থাকতে পারে না, যে কোন মুহূর্তে গর্তে পড়ে যেতে পারে, ঠিক এসকল ব্যক্তিরা ইসলাম নিয়ে সংশয় ও সন্দেহে পতিত। নিভু নিভু ঈমান নিয়ে আমল করতে থাকে, যখন কোন ভাল কিছু পায় তখন খুব খুশি থাকে, মনে মনে বলে ঈমান এনে লাভই হয়েছে। পক্ষান্তরে যদি কোন বিপদাপদ আক্রান্ত করে, জিহাদে আঘাতপ্রাপ্ত হয় বা কোন অভাব-অনটনে পড়ে, তখন মনে মনে বলে, ইসলাম গ্রহণ করার কারণে আমাদের এ বেহাল দশা। তখন তারা আবার কুফরীতে ফিরে যায়। আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, এদের দুনিয়াও ক্ষতিগ্রস্ত, আখেরাতও ক্ষতিগ্রস্ত।
ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: কোন ব্যক্তি মদীনায় আগমন করত, অতঃপর তার যদি স্ত্রী, পুত্র-সন্তান প্রসব করত এবং তার ঘোড়া বাচ্চা দিত তখন বলত, এ দীন ভাল। আর যদি তার স্ত্রীর গর্ভে পুত্র সন্তান না জন্মাতো এবং তার ঘোড়া বাচ্চা না দিত তখন বলত, এটা মন্দ দীন। গৃহপালিত পশুর মধ্যে যদি বরকত হত তখন সে বলত, ইসলাম ভাল ধর্ম। আর যদি এমনটি না হত তাহলে সে বলত যে, ইসলাম হল মন্দ ধর্ম। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৪৭৪২)
সুতরাং ইসলামের কোন বিধানকে সন্দেহ করার কোন অবকাশ নেই। যারা ইসলামের কোন বিষয় নিয়ে সন্দেহ করবে সে মুসলিম থাকবে না, এমনকি ইসলামের সকল ইবাদত করার পরেও যদি কোন ইবাদত বা বিধানকে ঘৃণা করে তাহলেও সে মুসলিম থাকবে না। তাই আমাদের উচিত ইসলামের পথে অটল থাকা, কোন বিপদাপদ আসলে এ সন্দেহ না করা যে ইসলামের কারণে এ বিপদের সম্মুখীন হয়েছি। বরং তা আল্লাহ তা‘আলার দিকে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে যে, এ বিপদ আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা এবং শেষ পর্যন্ত এতে মঙ্গল বিদ্যমান রয়েছে।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা এসব লোকদের আরো বিবরণ তুলে ধরে বলেন: তারা আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া এমন বাতিল মা‘বূদদেরকে কল্যাণ লাভের আশায় এবং অকল্যাণ থেকে বাঁচতে আহ্বান করে যারা তাদের কোন ক্ষতিও করতে পারে না এবং উপকারও করতে পারে না। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(وَيَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ وَيَقُوْلُوْنَ هٰٓؤُلَا۬ءِ شُفَعَا۬ؤُنَا عِنْدَ اللّٰهِ ط قُلْ أَتُنَبِّئُوْنَ اللّٰهَ بِمَا لَا يَعْلَمُ فِي السَّمٰوٰتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ ط سُبْحٰنَه۫ وَتَعٰلٰي عَمَّا يُشْرِكُوْنَ)
“তারা আল্লাহ ব্যতীত যার ইবাদত করে তা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। তারা বলে, ‘এগুলো আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী।’ বল: ‘তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিবে যা তিনি জানেন না? তিনি মহান, পবিত্র’ এবং তারা যাকে শরীক করে তা হতে তিনি ঊর্ধ্বে।” (সূরা ইউনুস ১০:১৮) এ সম্পর্কে সূরা ইউনুসে আরো আলোচনা করা হয়েছে।
(مَنْ كَانَ يَظُنُّ أَنْ لَّنْ يَّنْصُرَهُ اللّٰهُ...)
উক্ত আয়াতের তাফসীরে ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন: যে ব্যক্তি মনে করে যে, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সাহায্য করবেন না দুনিয়াতে ও আখিরাতে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে বলেন, সে যেন তার ঘরের কাছে রশি লটকিয়ে দিয়ে নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেয় এবং এভাবে নিজেকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। তথাপি আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সাহায্য করেই যাবেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(اِنَّا لَنَنْصُرُ رُسُلَنَا وَالَّذِیْنَ اٰمَنُوْا فِی الْحَیٰوةِ الدُّنْیَا وَیَوْمَ یَقُوْمُ الْاَشْھَادُﮂﺫیَوْمَ لَا یَنْفَعُ الظّٰلِمِیْنَ مَعْذِرَتُھُمْ وَلَھُمُ اللَّعْنَةُ وَلَھُمْ سُوْ۬ئُ الدَّارِ)
“নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলদের ও মু’মিনদেরকে সাহায্য করব পার্থিব জীবনে ও যেদিন সাক্ষীগণ দণ্ডায়মান হবে। যেদিন যালিমদের কোন আপত্তি কোন উপকারে আসবে না, তাদের জন্য রয়েছে লা‘নত এবং তাদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট আবাস।” (সূরা মু’মিন ৪০:৫১-৫২)
তার এ সকল রাগের কারণে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কোন দিনও সাহায্য করা বন্ধ করবেন না। (ইবনু কাসীর ৫/৪১২) বরং আল্লাহ তাঁর রাসূলকে যথারীতি সাহায্য করেই যাবেন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে আল্লাহর ইবাদত করতে হবে। সন্দেহের ভিত্তিতে ইবাদত করা যাবে না।
২. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কারো ইবাদত করা যাবে না।
৩. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মানুষের অহঙ্কারের কারণে যে সাহায্য করা বন্ধ করে দিয়েছেন এমনটি নয়। বরং সবর্দাই তাকে সাহায্য করবেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings