21:86

وَأَدۡخَلۡنَٰهُمۡ فِى رَحۡمَتِنَآ‌ۖ إِنَّهُم مِّنَ ٱلصَّٰلِحِينَ٨٦

Saheeh International

And We admitted them into Our mercy. Indeed, they were of the righteous.

Tafsir "Tafsir Fathul Mazid" (Bengali)

৮৫-৮৬ নং আয়াতের তাফসীর: অত্র আয়াতদ্বয়ে তিনজন নাবীর কথা বর্ণনা করা হয়েছে যে, তাঁরা সকলেই ধৈর্যশীল ও সৎ কর্মপরায়ণ ছিলেন। ফলে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে স্বীয় রহমতে আচ্ছন্ন করে নিয়েছিলেন। প্রথমত: ইসমাঈল (عليه السلام)-এর কথা বলা হয়েছে, তাঁর সম্পর্কে কিছু ঘটনা সূরা মারইয়ামের ৫৪-৫৫ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ইবরাহীম (عليه السلام)-এর প্রথম সন্তান, যাঁকে যাবীহুল্লাহ বলা হয়। আর তিনি তাঁর পিতার সাথে কাবাগৃহ নির্মাণ করেছেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলার বাণী:(وَإِذْ يَرْفَعُ إِبْرَاهِيْمُ الْقَوَاعِدَ مِنَ الْبَيْتِ وَإِسْمَاعِيْلُ) “আর যখন ইবরাহীম ও ইসমাঈল কা‘বার ভিত্তি উঁচু করছিলেন।” (সূরা বাক্বারা ২:১২৭)তিনি একজন ধৈর্যশীল বান্দাও ছিলেন। তাঁর পিতা যখন স্বপ্নে দেখলেন যে, তিনি তাকে যবাই করছেন তখন এ বিষয়ে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাকে আপনার প্রতিপালক যে নির্দেশ দিয়েছেন তা বাস্তবায়ণ করুন আর এবিষয়ে আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্তই পাবেন। তার উক্তি:(قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِيْ إِنْ شَا۬ءَ اللّٰهُ مِنَ الصَّابِرِيْنَ) “সে বলল: হে আমার বাবা! আপনাকে যে আদেশ করা হয়েছে তা পূর্ণ করুন। ইন্শাআল্লাহ, আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।” (সূরা সফফাত: ৩৭:১০২) দ্বিতীয়ত: ইদরীস (عليه السلام), তাঁর সম্পর্কে সূরা মারইয়ামের ৫৬-৫৭ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে। তিনিও একজন ধৈর্যশীল বান্দা ছিলেন। তৃতীয়ত: যুল-কিফল (عليه السلام), অত্র সূরাসহ সূরা স্ব-দ-এর ৪৮ নং আয়াতে তাঁর নাম এসেছে। তিনি আল-ইয়াসা‘ (عليه السلام)-এর পরে নাবী হন এবং ফিলিস্তিনে বানী ইসরাঈলের মাঝে দাওয়াতী কাজ করেন। তিনি নাবী হওয়া সম্পর্কে কেউ কেউ ভিন্ন মত পোষণ করেন। এ ব্যাপারে সঠিক কথা হল; যেহেতু তাঁর নাম ইসমাঈল, ইদরীস, আল ইয়াসা‘ প্রমুখ নাবীদের সাথে বর্ণনা করা হয়েছে সেহেতু তিনি যে নাবী ছিলেন তা অবশ্যই বিশ্বাস রাখতে হবে। নাবী না হওয়ার ব্যাপারে বিশুদ্ধ কোন প্রমাণ নেই। তাঁকে ধরেই বলা হয়, কুরআনে পঁচিশ জন নাবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে রহমতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত ও শ্রেষ্ঠ বান্দাদের একজন বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলার বাণী: (وَاذْكُرْ إِسْمَاعِيْلَ وَالْيَسَعَ وَذَا الْكِفْلِ وَكُلٌّ مِّنَ الْأَخْيَارِ) “স্মরণ কর! ইসমাঈল, আল-ইয়াসা‘আ ও যুল-কিফলের কথা, তারাও প্রত্যেকেই শ্রেষ্ঠ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।” (সূরা স্ব-দ ৩৮:৪৮)সুতরাং আমাদের প্রত্যেকের উচিত নাবীদের দৃঢ় ঈমান দেখে শিক্ষা নিয়ে সর্বদা সৎ আমল করা, মানুষদেরকে সত্যের দিকে দাওয়াত দেয়া এবং বিপদে ধৈর্য ধারণ করা। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. ইসমাঈল (عليه السلام) ইবরাহীম (عليه السلام)-এর প্রথম সন্তান, তাঁকেই যবাহ করার স্বপ্ন দেখেছিলেন।২. যুল-কিফল (عليه السلام) একজন নাবী, আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে নবুওয়াত দিয়েছেন।৩. সৎ বান্দাদেরকে সর্বদা আল্লাহ তা‘আলা রহম করে থাকেন।

Arabic Font Size

30

Translation Font Size

17

Arabic Font Face

Help spread the knowledge of Islam

Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.

Support Us