Surah Al Anbiya Tafseer
Tafseer of Al-Anbya : 26
Saheeh International
And they say, "The Most Merciful has taken a son." Exalted is He! Rather, they are [but] honored servants.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৬-২৯ নং আয়াতের তাফসীর:
এখানে কাফির-মুশরিকদের একটি ভ্রান্ত ধারণা খণ্ডন করা হয়েছে। তাদের বিশ্বাস, ফেরেশতারা আল্লাহ তা‘আলার কন্যা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: তারা আমার কন্যা নয়, বরং তারা শুধু আমার সম্মানিত বান্দা। তারা নিজে থেকে কোন কথা বলে না, তারা শুধুমাত্র আল্লাহ তা‘আলার আদেশের অনুসরণ করে। আল্লাহ তা‘আলার অনুমতি ছাড়া তাদের কোন কিছুই করার ক্ষমতা নেই, আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশের ব্যতিক্রম করে না, বরং যা নির্দেশ করা হয় তাই করে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَّا يَعْصُوْنَ اللّٰهَ مَآ أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُوْنَ مَا يُؤْمَرُوْنَ)
“যারা অমান্য করে না আল্লাহ যা তাদেরকে আদেশ করেন তা এবং তারা যা করতে আদিষ্ট হয় তা-ই করে।” (সূরা তাহরীম ৬৬:৬)
(يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ)
অর্থাৎ অতীত, ভবিষ্যত সব কিছুই আল্লাহ জানেন, তাঁর জ্ঞানের বাইরে কিছুই নেই। এমনকি ফেরেশতাসহ কারো এতটুকু ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহর নিকট কারো জন্য শাফাআত করবে। তবে তিনি যার জন্য যাকে অনুমতি দেবেন তার জন্য সে সুপারিশ করতে পারবে। আল্লাহ কেবল ঐ ব্যক্তির জন্য অনুমতি দেবেন যার কথা ও কাজে তিনি সন্তুষ্ট। এ সম্পর্কে সূরা বাকারার আয়াতুল কুরসীতে আলোচনা করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, তাদের মধ্য থেকে কেউ যদি আল্লাহকে ছেড়ে নিজেকে প্রভু বলে দাবী করে তাহলে তাদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِيْنَ)
“যদি তুমি আল্লাহর সাথে শরীক স্থির কর তবে নিঃসন্দেহে তোমার কর্ম তো নিষ্ফল হবেই এবং অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা যুমার ৩৯:৬৫)
যদি তারা আল্লাহর সন্তান হত তাহলে তাদেরকে বলতেন না যে, প্রভু দাবী করলে কেন, তোমাদেরকে জাহান্নামে দিব। কারণ সাধারণ নিয়ম অনুসারে তারা যদি আল্লাহর সন্তানই হত তাহলে পিতার পরে তারাই প্রভু হওয়ার অধিকার রাখে। জাহান্নামে দেয়ার প্রশ্নই আসত না, আর আল্লাহ তা‘আলার জন্য এটি সমীচীনও নয় যে, তিনি সন্তান গ্রহণ করবেন। সুতরাং এতে বুঝা যায় যে, আল্লাহ তা‘আলা কোন সন্তান গ্রহণ করেন না। তিনি এসব থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ ھُوَ اللہُ اَحَدٌﭐﺆ اَللہُ الصَّمَدُﭑﺆ لَمْ یَلِدْﺃ وَلَمْ یُوْلَدْﭒﺫ) (وَلَمْ یَکُنْ لَّھ۫ کُفُوًا اَحَدٌﭓﺟ)
“বল: তিনিই আল্লাহ একক। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।” (সূরা ইখলাস ১১২:১-৪)
তাই আমাদের উচিত, আল্লাহ তা‘আলার শানে এমন কথা না বলা যাতে তাঁর সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণত্ন হয়।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ফেরেশতাগণ আল্লাহ তা‘আলার কন্যা নন, বরং আল্লাহ তা‘আলার বান্দা।
৩. যে ব্যক্তি শিরক করবে তাকেই জাহান্নামে যেতে হবে ।
৩. আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কেউ কারো জন্যে সুপারিশ করতে পারবে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings