Surah Al Anbiya Tafseer
Tafseer of Al-Anbya : 16
Saheeh International
And We did not create the heaven and earth and that between them in play.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৬-২০ নং আয়াতের তাফসীর:
যারা দুনিয়াকে রঙ-তামাশার জায়গা মনে করে বলে থাকে ‘দুনিয়াতে আজকে আছি কালকে নাই হাসি-গানে ফুুর্তি করে যাই’ ‘দুনিয়াটা মস্ত বড় খাও-দাও ফুর্তি কর’ এমন বস্তুবাদীদের বিশ্বাসে কুঠারাঘাত করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “আকাশ ও পৃথিবী এবং তাদের উভয়ের মাঝে যা কিছু আছে তা আমি ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি” বরং পৃথিবী ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তা সৃষ্টি করার পিছনে একটি মহৎ উদ্দেশ্য আছে। প্রথম উদ্দেশ্য হল পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব আল্লাহ তা‘আলার গোলামী করবে, তাঁর প্রশংসা করবে এবং তাঁর মহত্ব বর্ণনা করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ - مَآ أُرِيْدُ مِنْهُمْ مِّنْ رِّزْقٍ وَّمَآ أُرِيْدُ أَنْ يُّطْعِمُوْنِ)
“আমি সৃষ্টি করেছি জিন ও মানুষকে এজন্য যে, তারা একমাত্র আমারই ইবাদত করবে। আমি তাদের নিকট হতে কোন রিযিক চাই না এবং এও চাই না যে তারা আমাকে খাওয়াবে।” (সূরা যারিআত ৫১:৫৬)
সুতরাং যারা তাঁর ইবাদত করবে তাদেরকে তিনি উত্তম প্রতিদান দেবেন আর যারা অসৎ আমল করবে তাদের কর্মের যথার্থ শাস্তি দেবেন।
যেমন আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(لِيَجْزِيَ الَّذِيْنَ أَسَا۬ءُوْا بِمَا عَمِلُوْا وَيَجْزِيَ الَّذِيْنَ أَحْسَنُوْا بِالْحُسْنٰي)
“যাতে করে যারা মন্দ আমল করে তাদেরকে তিনি দেন মন্দ ফল এবং যারা সৎ আমল করে তাদেরকে তিনি দেন উত্তম প্রতিদান।” (সূরা নাজম ৫৩:৩১)
আরো অন্যতম একটি উদ্দেশ্য হল এখানে ন্যায় ও অন্যায়ের যে দ্বন্দ্ব, ভালো ও মন্দের মধ্যে যে সংঘর্ষ চলছে তার মধ্যে ন্যায় ও ভালোকে বিজয়ী করা ও অন্যায় এবং মন্দকে পরাজিত করা। সুতরাং আমি সত্য দ্বারা অসত্যের ওপর, ন্যায় দ্বারা অন্যায়ের ওপর এবং ভালো দ্বারা মন্দের ওপর আঘাত করি, যাতে অসত্য, অন্যায় ও মন্দের বিলুপ্তি ঘটে। دمغ মাথার ওপর এমন আঘাতকে বলা হয় যা মগজ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। زهق এর অর্থ শেষ হওয়া, ধ্বংস হওয়া বা বিনষ্ট হওয়া।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যদি আমি ক্রীড়াচ্ছলে কোন কিছু গ্রহণ করতাম তাহলে আমার কাছে যা রয়েছে তা থেকেই গ্রহণ করতাম। কিন্তু আমি তা করিনি।
বরং আল্লাহ তা‘আলা এ সকল মিথ্যা উদ্ভট কথাবার্তাকে সত্য দ্বারা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেন।
(وَلَه۫ مَنْ فِي السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ)
অর্থাৎ আকাশ-জমিনে যারা আছে সবাই আল্লাহ তা‘আলার কর্তৃত্বাধীন, মালিকানাধীন এবং সবাই তাঁর গোলাম, এমন কি যারা তাঁর নিকটে রয়েছে যেমন ফেরেশতা, তারাও আল্লাহ তা‘আলার কর্তৃত্বাধীন এবং আল্লাহ তা‘আলার গোলাম। এরা সবাই আল্লাহর ইবাদত করতে, গোলামী করতে লজ্জাবোধ করে না এবং ক্লান্তি বোধ করে না। কাছের ফেরেশতারা সবাই দিবা-রাত্রিতে আল্লাহ তা‘আলার তাসবীহ পাঠ করে। তারা তাসবীহ পাঠে কোন প্রকার ঘাটতি করে না।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(يُسَبِّحُ لِلّٰهِ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ)
“আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবকিছুই পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে আল্লাহর।” (সূরা হাশর ৫৯:১)
সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা আকাশ-জমিন যথার্থ কারণেই সৃষ্টি করেছেন এবং কেউ তাঁর দাসত্ব করতে লজ্জাবোধ করে না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আকাশ-জমিনের কেউ আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করতে লজ্জাবোধ করে না।
২. আকাশ-জমিন সৃষ্টির উদ্দেশ্য হল সবাই তাঁর ইবাদত করবে।
৩. আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতে অলসতা করা যাবে না।
৪. মানুষের দুনিয়ার কর্মের হিসাব আখিরাতে পুরিপরি নেয়া হবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings