Surah Al Anbiya Tafseer
Tafseer of Al-Anbya : 103
Saheeh International
They will not be grieved by the greatest terror, and the angels will meet them, [saying], "This is your Day which you have been promised" -
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৯৮-১০৩ নং আয়াতের তাফসীর:
উক্ত আয়াতগুলোতে কাফির-মুশরিক ও তাদের বাতিল মা‘বূদেগুলো জাহান্নামের ইন্ধন হবে, পক্ষান্তরে মু’মিনরা জাহান্নাম থেকে দূরে থাকবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা কাফির-মুশরিকদেরকে লক্ষ্য করে বলছেন: তোমরা এবং তোমরা আল্লাহ তা‘আলাকে ছাড়া যাদের ইবাদত কর তারা সবাই জাহান্নামের ইন্ধন হবে এবং জাহান্নামে প্রবেশ করবে, সেখান থেকে কোনদিন বের হতে পারবে না। মুশরিকদের সাথে তাদের মা‘বূদদেরকে জাহান্নামে দেয়ার কারণ হল যাতে তারা বুঝতে পারে তারা যাদের ইবাদত করত তারা প্রকৃত মা‘বূদ নয়, তারা যদি প্রকৃত মা‘বূদ হত তাহলে তাদের সাথে আজ জাহান্নামে থাকত না, বরং তাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করত। বলা হয় এ আয়াতটি মক্কার মুশরিকদের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে। তারা লাত, মানাত, উযযা ইত্যাদি পাথরের মূর্তির ইবাদত করত। এরা ছিল জড় ও জ্ঞানহীন। আয়াতটি তাদের ব্যাপারে নাযিল হলেও পৃথিবীর সকল যুগের সকল মুশরিকদের জন্য তা প্রযোজ্য।
আর সেথায় কঠিন আযাবের কারণে তারা আর্তনাদ করবে এবং এ কঠিন আর্তনাদের কারণে তারা সেখানে কিছুই শুনতে পারবে না। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(وَنَحْشُرُهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلٰي وُجُوْهِهِمْ عُمْيًا وَبُكْمًا وَصُمًّ)
“ক্বিয়ামাতের দিন আমি তাদেরকে সমবেত করব তাদের মুখে ভর দিয়ে চলা অবস্থায় অন্ধ, বোবা ও বধির করে।” (সূরা ইসরা ১৭:৯৭)
কিন্তু ঐসকল মা‘বূদ জাহান্নামে যাবে না যারা তাদের ইবাদত করার নির্দেশ দেয়নি এবং মানুষ তাদের ইবাদত করুক এতে তারা সন্তুষ্ট নয়। বরং তারা কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। যেমন ঈসা (عليه السلام), উযাইর ও ফেরেশতাসহ অন্যান্য ওলী-আওলিয়া। এরা আল্লাহ তা‘আলার নিম্নের বাণীর শামিল।
পক্ষান্তরে যাদের সৌভাগ্যের ব্যাপারে পূর্বেই ফায়সালা হয়ে গিয়েছিল যে, তারা দুনিয়াতে ভাল কাজ করবে সে সকল ব্যক্তিরা জাহান্নাম থেকে দূরে থাকবে, সেখানে প্রবেশ করবে না। এমনকি তারা জাহান্নামের শব্দও শুনতে পাবে না, বরং জান্নাতে তারা যা কিছু মন চাইবে তাই পাবে।
কিয়ামতের দিন যখন মানুষ মহাভয়ে আতঙ্কিত হয়ে যাবে, জাহান্নাম দেখে ভয় পাবে তখন মু’মিনদের কোন দুশ্চিন্তা হবে না। বরং সকল প্রকার চিন্তামুক্ত থাকবে, রহমতের ফেরেশতারা তাদেরকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বলবে: আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “নিশ্চয়ই যারা বলে: আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, অতঃপর এর ওপর অবিচল থাকে, তাদের নিকট অবতীর্ণ হয় ফেরেশতা এবং বলে: তোমরা ভীত হয়ো না, চিন্তিত হয়ো না এবং তোমাদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তার সুসংবাদ পেয়ে আনন্দিত হও। আমরাই তোমাদের বন্ধু দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে; সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে যা কিছু তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে যা তোমরা চাইবে। এটা হল ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ হতে আপ্যায়ন।” (সূরা হামীম সাজদাহ ৪১:৩০-৩২)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(الَّذِيْنَ تَتَوَفَّاهُمُ الْمَلَا۬ئِكَةُ طَيِّبِيْنَ يَقُوْلُوْنَ سَلَامٌ عَلَيْكُمُ ادْخُلُوا الْجَنَّةَ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ)
“ফেরেশ্তাগণ যাদের মৃত্যু ঘটায় পবিত্র থাকা অবস্থায়। তাদেরকে বলবে, ‘তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক! তোমরা যা করতে তার ফলে জান্নাতে প্রবেশ কর।’’ (সূরা নাহল ১৬:৩২)
সুতরাং আমরা যদি জান্নাতের আশা করি তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে সৎ আমল করতে হবে আর অসৎ আমল পরিহার করতে হবে, অন্যথায় জাহান্নামে জ্বলতে হবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুশরিকরা ও তাদের বাতিল মা‘বূদরা সবাই জাহান্নামে যাবে এবং তাতে পুড়বে।
২. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ থাকলে কিয়ামতের দিন মুশরিকরা রক্ষা পেত।
৩. কিয়ামতের দিন যখন কাফির-মুশরিকরা ভয় পাবে তখন ঈমানদারদের কোন ভয় থাকবে না।
৪. কারা দুনিয়াতে ভাল আমল করবে সে সম্পর্কে পূর্বেই আল্লাহ তা‘আলা জানেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings