Surah Taha Tafseer
Tafseer of Taha : 134
Saheeh International
And if We had destroyed them with a punishment before him, they would have said, "Our Lord, why did You not send to us a messenger so we could have followed Your verses before we were humiliated and disgraced?"
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৩৩-১৩৫ নং আয়াতের তাফসীর:
মক্কার কাফির-মুশরিকরা বলত: মুহাম্মাদ যদি সত্য রাসূল হয়ে থাকে তাহলে তাঁর রবের থেকে কোন নিদর্শন নিয়ে আসে না কেন? অর্থাৎ তাদের মনমত নিদর্শন নিয়ে আসতে হবে। যেমন সূরা ইসরার ৯০-৯৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহে তথা তাওরাত ইনজিল, যাবুর ইত্যাদিতে কি সুস্পষ্ট প্রমাণ আসেনি? সেখানে বলা হয়েছিল, আহমাদ নামে একজন নাবী আসবে, তাঁর কী কী গুণ থাকবে তাও আলোচনা করা হয়েছে। তারপরেও তাদের ঈমান আনতে বাধা কোথায়? মূলত যাদের ওপর আল্লাহর আযাবের কথা নির্ধারিত হয়ে গেছে তারা ঈমান আনবে না।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّ الَّذِيْنَ حَقَّتْ عَلَيْهِمْ كَلِمَةُ رَبِّكَ لَا يُؤْمِنُوْنَ لا وَلَوْ جَا۬ءَتْهُمْ كُلُّ اٰيَةٍ حَتّٰي يَرَوُا الْعَذَابَ الْأَلِيْمَ)
“নিশ্চয়ই যাদের বিরুদ্ধে তোমার প্রতিপালকের বাক্য সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে, তারা ঈমান আনবে না, যদিও তাদের নিকট প্রত্যেকটি নিদর্শন আসে (তবুও তারা ঈমান আনবে না) যতক্ষণ না তারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে।” (সূরা ইউনুস ১০:৯৬)
(مِّنْ قَبْلِھ۪)
তার পূর্বে বলতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বুঝানো হয়েছে।
(كُلٌّ مُّتَرَبِّصٌ)
অর্থাৎ তোমরা আমার মৃত্যুর অপেক্ষা কর, আমি তোমাদের শাস্তির অপেক্ষা করি।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ ھَلْ تَرَبَّصُوْنَ بِنَآ اِلَّآ اِحْدَی الْحُسْنَیَیْنِﺚ وَنَحْنُ نَتَرَبَّصُ بِکُمْ اَنْ یُّصِیْبَکُمُ اللہُ بِعَذَابٍ مِّنْ عِنْدِھ۪ٓ اَوْ بِاَیْدِیْنَاﺢ فَتَرَبَّصُوْٓا اِنَّا مَعَکُمْ مُّتَرَبِّصُوْنَ)
“বল: ‘তোমরা আমাদের দু’টি মঙ্গলের একটির প্রতীক্ষা করছ এবং আমরা প্রতীক্ষা করছি যে, আল্লাহ তোমাদেরকে শাস্তি দেবেন সরাসরি নিজ পক্ষ হতে অথবা আমাদের হস্ত দ্বারা। অতএব তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমরাও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষা করছি।’’ (সূরা তাওবা ৯:৫২)
মূলত যারা ঈমান না আনার তাদেরকে শত নিদর্শন দেখালেও ঈমান আনবে না। যারা আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে তারাই দাওয়াতের মাধ্যমে উপকৃত হয়।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর গুণাগুণের বর্ণনা পূর্ববর্তী কিতাবেও এসেছিল।
২. যাদের প্রতি আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে হিদায়াত নেই তারা দাওয়াতের মাধ্যমেও কোন উপকৃত হয় না। যেমন রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চাচা আবূ তালিব হয়নি।
সূরা ত্ব-হা-র তাফসীর সমাপ্ত
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings