Surah Taha Tafseer
Tafseer of Taha : 115
Saheeh International
And We had already taken a promise from Adam before, but he forgot; and We found not in him determination.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১১৫-১২৩ নং আয়াতের তাফসীর:
উক্ত আয়াতগুলোতে আদম (عليه السلام)-কে আল্লাহ তা‘আলা যে ওসিয়ত ও নির্দেশ দিয়েছিলেন, শয়তান যেভাবে তাঁকে কুমন্ত্রণা দিয়ে জান্নাত থেকে তার পদস্খলন ঘটিয়েছিল তার বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
(وَلَقَدْ عَهِدْنَآ)
অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা আদম (عليه السلام)-কে নির্দেশ করেছিলেন জান্নাতের ঐ নির্দিষ্ট গাছের কাছে যাবে না। যেমন সূরা বাকারার ৩৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে। আদম (عليه السلام) নির্দেশ মেনে নিয়েছিলেন এবং তা পালন করার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা ভুলে যান এবং নিষিদ্ধ গাছের ফল উভয়ে খেয়ে নেন। ফলে যা হওয়ার হয়ে গেল।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আল্লাহ তা‘আলা সে সময়ের কথা স্মরণ করতে বললেন যখন তিনি স্বহস্তে আদম (عليه السلام)-কে পূর্ণরূপে সৃষ্টি করে সকল কিছুর নাম শিক্ষা দিলেন এবং অন্যান্য সকলের উপর ফযীলত দিলেন তখন সকল ফেরেশতাদেরকে নির্দেশ প্রদান করেছিলেন তাঁকে সিজদা করার জন্য; সকলেই সিজদা করেছে কিন্তু ইবলীস সিজদা করতে অবাধ্য হয়। এ সম্পর্কে সূরা বাকারার ৩৪ নং, সূরা আ‘রাফের ১১ নং এবং সূরা হিজরে আলোচনা করা হয়েছে।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আদম (عليه السلام)-কে সতর্ক করে দিলেন যে, এ ইবলীস তোমার ও তোমার স্ত্রীর শত্র“, অতএব কোনক্রমেই যেন তোমাদেরকে জান্নাত থেকে বের করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকো।
فَتَشْقٰی অর্থ কষ্ট, পরিশ্রম ইত্যাদি। অর্থাৎ জান্নাতে খাওয়া, পান করা, পরা ও থাকার জন্য কোন পরিশ্রম করতে হয় না। কিন্তু যদি শয়তানের প্ররোচনায় জান্নাত থেকে বের হও তাহলে থাকা, খাওয়া ও পরার জন্য কষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় যে, কষ্ট ও পরিশ্রমের কথা শুধু আদম (عليه السلام)-কে সম্বোধন করে বলা হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী উভয়কে বলা হয়নি। অথচ নিষিদ্ধ কাজ হতে উভয়কে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল। এর কারণ হল প্রথমত: মূল সম্বোধনযোগ্য আদমই ছিলেন। দ্বিতীয়ত: পরিশ্রম ও কষ্ট করে মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করার দায়িত্ব কেবল পুরুষের, নারীর নয়। আল্লাহ তা‘আলা নারীদেরকে এ মেহনত ও পরিশ্রম থেকে বাঁচিয়ে “ঘরের রানী” র মর্যাদা দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমানে সেই আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত সম্মানকে দাসত্বের বেড়ি মনে করা হ্েচ্ছ। যার থেকে মুক্তি লাভের জন্য ব্যাকুল হয়ে আন্দোলন করছে। শয়তানের প্ররোচনা কত প্রভাবশালী, আর এসব নারীরা কতই না নির্বোধ।
তারপর জান্নাতে যে সকল নিয়মত দান করেছেন তার বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
ইবলীস শয়তান তাদেরকে জান্নাতে চিরস্থায়ী বসবাসের প্ররোচনা দিয়ে গাছের ফল খাওয়াতে সক্ষম হল। এমনকি যাতে বিশ্বাস করতে কোন দ্বিধা না হয় সেজন্য সে শপথ করে বলেছিল, আমি তোামদের কল্যাণকামী। ফল খাওয়ার সাথে সাথে জান্নাতী পোশাক খুলে গেল। এ সম্পর্কে সূরা আ‘রাফের ২২ নং আয়াতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَايَ
এ সম্পর্কে সূরা বাকারাহ ও সূরা আ‘রাফে আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং যে শয়তান আদি পিতা-মাতা আদম ও হাওয়া (عليه السلام)-কে প্ররোচনা দিয়ে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছে তার থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। আমরা যেন তার প্ররোচনায় পড়ে জাহান্নামের দিকে পা না বাড়াই। বিশেষ করে নারীদেরকে শয়তান সহজেই প্ররোচিত করতে সক্ষম হয়, তাদেরকে প্ররোচিত করে সমাজে অনেক অশালীন কার্যকলাপ করে থাকে। তাই নারীদের বিশেষভাবে সতর্ক হওয়া আবশ্যক। সে জন্য আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(یٰبَنِیْٓ اٰدَمَ لَا یَفْتِنَنَّکُمُ الشَّیْطٰنُ کَمَآ اَخْرَجَ اَبَوَیْکُمْ مِّنَ الْجَنَّةِ یَنْزِعُ عَنْھُمَا لِبَاسَھُمَا لِیُرِیَھُمَا سَوْاٰتِھِمَاﺚ اِنَّھ۫ یَرٰٿکُمْ ھُوَ وَقَبِیْلُھ۫ مِنْ حَیْثُ لَا تَرَوْنَھُمْﺚ اِنَّا جَعَلْنَا الشَّیٰطِیْنَ اَوْلِیَا۬ئَ لِلَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ)
“হে বানী আদম! শয়তান যেন তোমাদেরকে কিছুতেই ধোঁকায় না ফেলে- যেভাবে তোমাদের পিতা-মাতাকে (আদম-হাওয়া) সে জান্নাত হতে বহিষ্কার করেছিল, তাদেরকে তাদের লজ্জাস্থান দেখানোর জন্য বিবস্ত্র করেছিল। সে নিজে এবং তার দল তোমাদেরকে এমনভাবে দেখে যে, তোমরা তাদেরকে দেখতে পাও না। যারা ঈমান আনে না, শয়তানকে আমি তাদের অভিভাবক করেছি।” (সূরা আ‘রাফ ৭:২৭)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্র“, তাই তার থেকে সর্বদা সাবধান থাকতে হবে।
২. জান্নাতে মানুষ ক্ষুধার্ত হবে না, নগ্ন হবে না, পিপাসিত হবে না এবং রৌদ্রেক্লিষ্টও হবে না।
৩. অপরাধ করার পর ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করে দেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings