Surah Taha Tafseer
Tafseer of Taha : 110
Saheeh International
Allah knows what is [presently] before them and what will be after them, but they do not encompass it in knowledge.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১০৯-১১২ নং আয়াতের তাফসীর:
কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার অনুমতি ছাড়া কেউ কারো জন্য শাফাআত করতে পারবে না। এমনকি নাবী-রাসূলগণও নয়।
গ্রহণযোগ্য শাফায়াত: এর জন্য তিনটি শর্ত। যথা
১. শাফাআতকারীর ওপর আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি। যেমন অত্র আয়াত।
২. যার জন্য শাফাআত করা হবে তার ওপর আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(وَكَمْ مِنْ مَلَكٍ فِي السَّمَاوَاتِ لَا تُغْنِي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا إِلَّا مِنْ بَعْدِ أَنْ يَأْذَنَ اللَّهُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيَرْضَي)
“আকাশসমূহে কত ফেরেশতা রয়েছে! তাদের কোন সুপারিশ কাজে আসবে না যতক্ষণ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এবং যার প্রতি সন্তুষ্ট তাকে অনুমতি না দেন।” (সূরা নাজম ৫৩:২৬)
৩. শাফাআত করার অনুমতি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ)
“কে সে যে তাঁর নিকট (আল্লাহর) সুপারিশ করবে তার অনুমতি ছাড়া।” (সূরা বাক্বারাহ ২:২৫৫)
এসব শর্তসাপেক্ষে শাফাআত করা যাবে এবং পাওয়া যাবে। সুতরাং যে সব নামধারী মুসলিম শাফাআত করার ও পাওয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়, তা বাড়াবাড়ি ও সীমালংঘন ছাড়া কিছুই নয়।
এ শাফাআত সম্পর্কে সূরা বাকারার ৪৮ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
অতঃপর আল্লাহ বলেন, তিনি মানুষের সকল বিষয় অবগত আছেন। মানুষ যা অতীতে করে এসেছে তাও জানেন, মানুষের সামনে যা আছে তাও জানেন। সেদিন তাঁর সম্মুখে সকলেই অবনত হবে এবং সেই ব্যর্থ হবে, যে দুনিয়াতে নিজের প্রতি জুলুম করেছে, আল্লাহ তা‘আলার সাথে শির্ক করে জুলুম করেছে, মানুষের প্রতি জুলুম করেছে, ফলে কিয়ামতের দিন জুলুমের ভার বহন করতে হবে।
পক্ষান্তরে যারা ঈমান আনবে ও সৎ কাজ করবে তাদের কোন প্রকার ক্ষতির ভয় বা আশঙ্কা থাকবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّ اللّٰهَ لَا يَظْلِمُ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ ج وَإِنْ تَكُ حَسَنَةً يُّضٰعِفْهَا وَيُؤْتِ مِنْ لَّدُنْهُ أَجْرًا عَظِيْمًا )
“আল্লাহ অণু পরিমাণও জুলুম করেন না। আর কোন পুণ্য কর্ম হলে আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ করেন এবং আল্লাহ তাঁর নিকট হতে মহাপুরস্কার প্রদান করেন।” (সূরা নিসা ৪:৪০)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَلَآ إِنَّ أَوْلِيَا۬ءَ اللّٰهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُوْنَ )
“জেনে রেখ! আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।” (সূরা ইউনুস ১০:৬২)
সুতরাং যেদিন কারো সুপারিশ করার ক্ষমতা থাকবে না, কোন সম্পদ, সন্তান-সন্ততি কাজে আসবে না, সেদিনের সম্বল হিসেবে ঈমান ও সৎ আমল করা উচিত। যারা ঈমান ও সৎ আমল নিয়ে যাবে তাদের কোন ভয় ও শংকা থাকবে না ।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সেদিন আল্লাহ তা‘আলা যাকে অনুমতি দেবেন সে ব্যতীত কেউ কোন প্রকার সুপারিশ করতে পারবে না।
২. আল্লাহ তা‘আলা মানুষের সকল বিষয় অবগত আছেন।
৩. মানুষের জ্ঞান দ্বারা আল্লাহ তা‘আলাকে আয়ত্ত করা যায় না।
৪. সেদিন সকলে আল্লাহ তা‘আলার সম্মুখে অবনমিত অবস্থায় থাকবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings