1:6
ٱهۡدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلۡمُسۡتَقِيمَ٦
Saheeh International
Guide us to the straight path -
৬-৭ নং আয়াতের তাফসীর: ‘আমাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করুন।’অর্থাৎ আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করত আপনার সাথে সাক্ষাত পর্যন্ত তার ওপর বহাল থাকার তাওফীক দান করুন। (তাফসীর মুয়াসসার, অত্র আয়াতের তাফসীর) হিদায়াত (هِدَايَةٌ) দুই প্রকার: ১. هِدَايَةُ الْاِرْشَادِ وَالْدَّلَالَةِ (হিদায়াতুল ইরশাদ ওয়াদ দালালাহ): পথ প্রদর্শন ও নির্দেশনামূলক হিদায়াত। নাবী-রাসূলসহ সকল মানুষ এ প্রকার হিদায়াত বা পথপ্রদর্শন করতে পারে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَإِنَّكَ لَتَهْدِيْ إِلٰي صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ) “তুমি অবশ্যই সরল পথের পথ প্রদর্শন করবে।”(সূরা শুরা ৪২:৫২) অর্থাৎ সরল পথের পথ নির্দেশনা দিবে।২. هِدَايَةُ التَّوْفِيْقِ (হিদায়াতুত্ তাওফীক): সরল সঠিক পথ গ্রহণ ও তাতে প্রতিষ্ঠিত থাকার তাওফীক দান করা। এ প্রকার হিদায়াত শুধু আল্লাহ তা‘আলার হাতে।আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (إِنَّكَ لَا تَهْدِيْ مَنْ أَحْبَبْتَ وَلٰكِنَّ اللّٰهَ يَهْدِيْ مَنْ يَّشَا۬ءُ) “তুমি যাকে ভালবাস, ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে হিদায়াত দিতে পারবে না। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎপথে হিদায়াত দেন। (সূরা কাসাস ২৮:৫৬) সিরাতুল মুস্তাকীম (اَلصِّرَاطُ الْمُسْتَقِيْمُ) সম্পর্কে ইমাম সাওরী (রহঃ) বলেন: সিরাতুল মুস্তাকীম হল আল্লাহ তা‘আলার কিতাব। কেউ বলেছেন: ইসলাম, বিশিষ্ট তাবিঈ মুজাহিদ (রহঃ) বলেন: সিরাতুল মুস্তাকীম দ্বারা উদ্দেশ্য হল اَلْحَقُّ বা সত্য। তাবিঈ মুজাহিদের মতটিই অন্যান্য মুফাসসিরদের মতামতকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং পূর্বের মতামতের সাথেও এর কোন বিরোধ নেই। (তাফসীর ইবনে কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মত- (اَلصِّرَاطُ الْمُسْتَقِيْمُ)(সিরাতুল মুস্তাকীম) হল اَلْإِسْلَامُ (ইসলাম)। (তাফসীর মুয়াসসার পৃঃ ১) সুতরাং বলা যেতে পারে যে, ওয়াহী তথা কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে পূর্ণভাবে ইসলামের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার নামই হল সিরাতুল মুস্তাকীমে থাকা। সিরাতুল মুস্তাকীমের বর্ণনা দিতে একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ হাতে একটি লম্বা রেখা টানলেন এবং বললেন, এটা হল আল্লাহ তা‘আলার সরল পথ। আরো কিছু রেখা তাঁর ডান ও বাম পাশে টানলেন এবং বললেন, এগুলো হল এমন পথ যার ওপর শয়তান বসে আছে এবং সে এ পথগুলোর দিকে মানুষকে আহ্বান করে। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিলায়ওয়াত করলেন (وَأَنَّ هٰذَا صِرَاطِيْ مُسْتَقِيْمًا) ‘আর নিশ্চয়ই এ পথই আমার সহজ-সরল পথ’- আয়াত । (মুসনাদ আহমাদ হা: ৪১৪২, সহীহ) এ সিরাতে মুস্তাকীম হল, মুসলিম উম্মাহর মূল ভিত্তি। এ সরল পথ থেকে দূরে সরে পড়ার কারণে উম্মত বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত। অতএব সেই সরল পথে ফিরে আসতে হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নির্দেশ মত সকল পথ, মত ও তরীকা বর্জন করে কুরআন ও সহীহ হাদীসের মাধ্যমে ইসলাম মেনে চলতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا كِتَابَ اللّٰهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِআমি তোমাদের মাঝে দু’টি বিষয় রেখে যাচ্ছি, যতদিন তা আকড়ে ধরে থাকবে ততদিন পথভ্রষ্ট হবে না। সে দু’টি বিষয় হল, আল্লাহ তা‘আলার কিতাব কুরআন ও তাঁর নাবীর সুন্নাত (হাদীস)। (মুয়াত্তা মালিক হা: ৩৩৩৮, হাকীস, সহীহ হা: ২৯১)(صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ...) -যাদের প্রতি আল্লাহ তা‘আলা অনুগ্রহ করেছেন তাদের বর্ণনা এ আয়াতে না থাকলেও সূরা নিসার ৬৯ নং আয়াতে এসেছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَمَنْ يُّطِعِ اللّٰهَ وَالرَّسُوْلَ فَأُولٰٓئِكَ مَعَ الَّذِيْنَ أَنْعَمَ اللّٰهُ عَلَيْهِمْ مِّنَ النَّبِيِّيْنَ وَالصِّدِّيْقِيْنَ وَالشُّهَدَآءِ وَالصّٰلِحِيْنَ ج وَحَسُنَ أُولٰ۬ئِكَ رَفِيْقًا) “আর যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং রাসূলের আনুগত্য করবে সে নাবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সৎ কর্মশীল- যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন- তাদের সঙ্গী হবে এবং তারা কতই না উত্তম সঙ্গী!” (সূরা নিসা ৪:৬৯) অর্থাৎ আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্তরা চার শ্রেণির: নাবী-রাসূল, সিদ্দীক, শহীদ ও সালিহ বা সৎ কর্মশীলগণ।(غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّا۬لِّيْنَ) ‘তাদের পথ নয় যারা গযবপ্রাপ্ত এবং তাদের পথও নয় যারা পথভ্রষ্ট’আদি বিন হাতেম (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: গযবপ্রাপ্ত (الْمَغْضُوبِ) হল ইয়াহূদীগণ, আর পথভ্রষ্ট (الضَّا۬لِّيْنَ) হল খ্রিস্টানগণ। (তিরমিযী হা: ২৯৫৪, সহীহ, ইবনে হিব্বান ৮/৪৮)এরূপ আরো অনেক মত রয়েছে। যাতে ইয়াহূদীদেরকে গযবপ্রাপ্ত ও খ্রিস্টানদেরকে পথভ্রষ্ট বলা হয়েছে। (তাফসীরে তাবারী ১/১৪৬) ইয়াহূদীগণ গযবপ্রাপ্ত, কারণ তারা জানত কিন্তু মানত না, আর খ্রিস্টানগণ পথভ্রষ্ট কারণ তারা না জেনেশুনেই আমল করত। (আযওয়াউল বায়ান ১/৬০)ইয়াহূদীদের ব্যাপারেই আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: (فَبَا۬ءُوْا بِغَضَبٍ عَلٰی غَضَبٍ) “অতঃপর তারা গযবের পর গযবে পতিত হয়েছে।”(সূরা বাকারাহ ২:৯০) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন: (قُلْ ھَلْ اُنَبِّئُکُمْ بِشَرٍّ مِّنْ ذٰلِکَ مَثُوْبَةً عِنْدَ اللہِﺚ مَنْ لَّعَنَھُ اللہُ وَغَضِبَ عَلَیْھِ) “আমি কি তোমাদেরকে এর চেয়ে নিকৃষ্ট পরিণামের সংবাদ দেব যা আল্লাহর নিকট আছে? যাকে আল্লাহ লা‘নত করেছেন এবং যার ওপর তিনি গযব দিয়েছেন (এরা প্রতিদানের দিক দিয়ে কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট)।”(সূরা মায়িদাহ ৫:৬০)আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন: (إِنَّ الَّذِينَ اتَّخَذُوا الْعِجْلَ سَيَنَالُهُمْ غَضَبٌ مِّنْ رَّبِّهِمْ وَذِلَّةٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا) “নিশ্চয়ই যারা গো-বৎসকে মা‘বূদরূপে গ্রহণ করেছে, পার্থিব জীবনে তাদের ওপর তাদের প্রতিপালকের গযব ও লাঞ্ছনা পতিত হবেই।”(সূরা আরাফ ৭:১৫২)আর পথভ্রষ্ট খ্রিস্টানদের ব্যাপারে মু’মিনদেরকে সতর্ক করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (لَا تَغْلُوْا فِیْ دِیْنِکُمْ غَیْرَ الْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعُوْٓا اَھْوَا۬ئَ قَوْمٍ قَدْ ضَلُّوْا مِنْ قَبْلُ وَاَضَلُّوْا کَثِیْرًا وَّضَلُّوْا عَنْ سَوَا۬ئِ السَّبِیْلِ) “তোমরা তোমাদের দীন সম্বন্ধে অন্যায়ভাবে বাড়াবাড়ি কর না এবং যে সম্প্রদায় ইতোপূর্বে পথভ্রষ্ট হয়েছে, অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে ও সরল পথ হতে বিচ্যুত হয়েছে, তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ কর না।”(সূরা মায়িদাহ ৫:৭৭)অতএব আমরা প্রত্যহ সালাতে আল্লাহ তা‘আলার কাছে নাবী রাসূলদের পথে চলার এবং ইয়াহূদ খ্রিস্টানদের পথে না চলার বিনীত আবেদন করি, কিন্তু বাস্তব জীবনে যদি সচেতন না হই তাহলে এ আবেদন ফলপ্রসূ হবে না। সুতরাং বাস্তবে সেভাবে চলা প্রতিটি মু’মিনের একান্ত কর্তব্য এবং মনে রাখতে হবে যে, খ্রিস্টানদের স্বভাব হল না জেনে অন্ধ ও অজ্ঞের মত ইবাদত করা। আর ইয়াহূদীদের স্বভাব হল জানার পরও সে অনুযায়ী আমল না করা। সুতরাং খাঁটি মুসলিমের পথ হল কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে জেনে-শুনে ইবাদত করা এবং কুরআন ও সহীহ হাদীস জানতে পারলে মাযহাব, তরীকা ও দাপ-দাদার দোহাই না দিয়ে আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে সে অনুযায়ী আমল করা। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের তাওফীক দান করুন। আমীন! আমীন বলার ফযীলত ও তাৎপর্য: (آمِيْن) আমীন অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি কবূল কর। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সালাতে সূরা ফাতিহা পড়া শেষ করতেন, তখন আমীন বলতেন। যদি তাঁর কিরাআত আওয়াজের সাথে হতো তাহলে আমীনও সেরূপ আওয়াজের সাথে হতো এবং পেছনে যারা থাকতেন তারাও আমীন বলতেন। সাহাবী ওয়ায়েল ইবনু হুজর (রাঃ) বলেন: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلي اللّٰه عليه و سلم قَرَأَ ( غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّيْنْ) فَقَالَ آمِيْن وَمَدَّ بِهَا صَوْتَهُ আমি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে “গাইরিল মাগযূবি ‘আলাইহিম ওয়ালায-যল্লীন” পড়ার পর সরবে আমীন বলতে শুনেছি। (তিরমিযী হা: ২৪৮, মিশকাত হা: ৮৪৫, সহীহ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: إِذَا أَمَّنَ الإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِيْنَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِইমাম যখন আমীন বলবে তখন তোমরাও আমীন বল। কেননা যার আমীন বলা ফেরেশতাদের আমীনের সাথে মিলে যাবে তার পূর্বের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৭৮০, সহীহ মুসলিম হা: ৯৪২)সাহাবী ওয়ায়েল ইবনু হুজর (রাঃ) হতে আরো বর্ণিত আছে, তিনি বলেন:كَانَ رَسُولُ اللّٰهِ -صلي اللّٰه عليه وسلم- إِذَا قَرَأَ ( وَلاَ الضَّالِّينَ) قَالَ آمِين وَرَفَعَ بِهَا صَوْتَهُ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন “ওয়ালায-যল্লীন”বলতেন তখন আমীন বলতেন। তিনি আমীনের আওয়াজটা জোরে করতেন। (আবূ দাউদ হা: ৯৩২, সহীহ) ইমাম বুখারী বলেন: بَاب جَهْرِ الْإِمَامِ بِالتَّأْمِينِ وَقَالَ عَطَاءٌ آمِينَ دُعَاءٌ أَمَّنَ ابْنُ الزُّبَيْرِ وَمَنْ وَرَاءَهُ حَتّٰي إِنَّ لِلْمَسْجِدِ لَلَجَّةً....“অনুচ্ছেদ: ইমামের উচ্চৈঃস্বরে আমীন বলা সম্পর্কে, তাবেয়ী আত্বা (রহঃ) বলেন: আমীন হল দু‘আ। সাহাবী ইবনু যুবাইর (রাঃ) ও তাঁর পেছনের মুক্তাদীরা এমন জোরে আমীন বলতেন যাতে মসজিদ আওয়াজে গমগম করে উঠত...।” (সহীহ বুখারী ১/১০৭, কিতাবুল আযান, অনুচ্ছেদ: ইমামের উচ্চৈঃস্বরে আমীন বলা সম্পর্কে) তখন থেকে আজও পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলার ঘর কা‘বা এবং নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মাসজিদ আমীনের আওয়াজে গমগম করছে। আমীন সরবে বলার স্বপক্ষে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে رَفَعَ ، مَدَّ ، جَهَرَ ، اِرْ تَجَّ এ চারটি শব্দ বর্ণিত হয়েছে, যা প্রমাণ করে যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সরব কিরাআতে আমীন কখনও নিরবে ছিল না। (আবূ দাউদ হা: ৯৩২, ৯৩৪, তিরমিযী হা: ২৪৮, সহীহ) এটাই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাত।আয়িশাহ (রাঃ) ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমাদের সালাম করা ও সালাতে উঁচু আওয়াজে আমীন বলাতে ইয়াহূদীদের যত হিংসা হয় আর কোন জিনিসে ওদের এত হিংসা হয় না। অতএব তোমরা খুব বেশি বেশি করে আমীন বলো। (সহীহ ইবনু খুযাইমাহ হা: ১৫৮৫, ইবনু মাযাহ হা: ৮৫৬) তাই ইয়াহূদীদের পথে না গিয়ে সহীহ হাদীসের ওপর আমল করা কর্তব্য। আমীন বলার ফযীলত যে কত বড় তা গভীরভাবে অনুধাবন করা উচিত। কিন্তু নিয়ম হলো ইমামের আমীন শুনে মুক্তাদীরা আমীন বলবে, ইমামের আগে নয় এবং পৃথকভাবে পরেও নয়। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সঠিকভাবে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন! সূরা থেকে শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ: ১. ‘বিসমিল্লাহ...’সূরা ফাতিহার প্রথম আয়াত। তবে সালাতে তা নিরবে পড়তে হবে।২. সূরা ফাতিহার একাধিক নাম ও ফযীলত অবগত হলাম।৩. সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা অপরিহার্য, কারণ সূরা ফাতিহা ছাড়া কোন ব্যক্তির কোন সালাত হবে না।৪. তাওহীদ এর সঠিক পরিচয় এবং তাওহীদ তিন প্রকার- এ সম্পর্কে অবগত হলাম।৫. সূরা ফাতিহায় আমরা দু‘আর পদ্ধতি অবগত হই, প্রথমে আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করতে হবে তারপর তাঁর কাছে চাইতে হবে।৫. আল্লাহ তা‘আলা প্রতিফল দিবসের মালিক, তিনি মানুষের পার্থিব জীবনের প্রতিটি ভাল-মন্দ কর্মের প্রতিফল দেবেন। সেজন্য প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর পর পুনরুত্থান করাবেন।৬. সিজদা, সালাত, সিয়াম ও দু‘আসহ সকল প্রকার ইবাদত পাওয়ার একমাত্র হকদার আল্লাহ তা‘আলা এবং সকল প্রকার আবেদন ও নিবেদন একমাত্র তাঁরই কাছে হতে হবে।৭. জানা ও মানা দু’টিই আবশ্যক। জানার পর না মানলে যেমন নিন্দনীয় ও অমার্জনীয় তেমনি না জেনে আমল করাও নিন্দনীয়।৮. এ সূরায় আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ এর বিষয়টি পূর্ণাঙ্গভাবে আলোচিত হয়েছে।৯. সরবে কিরাআতবিশিষ্ট সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ শেষে ইমাম মুক্তাদি সকলের সরবে আমীন বলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীদের সুন্নাত।
Arabic Font Size
30
Translation Font Size
17
Arabic Font Face
Help spread the knowledge of Islam
Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.
Support Us