Surah Al Fatihah Tafseer
Tafseer of Al-Fatihah : 6
Saheeh International
Guide us to the straight path -
Ibn Kathir Partial
Tafseer 'Ibn Kathir Partial' (BN)
প্রশংসামূলক বাক্য আগে উল্লেখ করার কারণ
জামহূরগণ صراط শব্দটি ‘সোয়াদ’ দিয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ ‘সিন’ দিয়ে পড়েছেন, আবার কেউ কেউ ‘যা’ দিয়েও পড়েছেন। নাহুবিদ ফাররা (রহঃ) বলেন, এটা বানী উজরাহ ও বানী কালবের ক্বিরা’আত।
যেহেতু বান্দা প্রথমে মহান আল্লাহর প্রশংসা করেছে এবং তাঁর গুণাবলী বর্ণনা করেছে, সেহেতু এখন তার কর্তব্য হবে স্বীয় প্রয়োজন পূরণের জন্য মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা। যেমন পূর্বেই হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে, মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘অর্ধেক আমার জন্য এবং অর্ধেক আমার বান্দার জন্য, আর আমার বান্দা যা চাবে তা সে পাবে।’
একটু চিন্তা করলেই দেখা যাবে যে, ﴿اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ﴾-এর মধ্যে কি পরিমাণ সূক্ষতা ও প্রকৃষ্টতা রয়েছে। প্রথমে বিশ্বপ্রভুর যথোপযুক্ত প্রশংসা ও গুণগান, তারপর নিজের ও মুসলিম ভাইদের প্রয়োজন পূরণের জন্য আকুল প্রার্থনা। প্রার্থিত বস্তু লাভের এটাই উৎকৃষ্ট পন্থা। এ উত্তম পন্থা নিজে পছন্দ করেই মহান আল্লাহ এ পন্থা স্বীয় বান্দাদের বলে দিলেন। কখনো কখনো প্রার্থনার সময় প্রার্থী স্বীয় অবস্থা ও প্রয়োজন প্রকাশ করে থাকে। যেমন মূসা (আঃ) বলেছিলেনঃ
﴿رَبِّ اِنِّیْ لِمَاۤ اَنْزَلْتَ اِلَیَّ مِنْ خَیْرٍ فَقِیْرٌ﴾
হে আমার রাব্ব! আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করবেন আমি তার কাঙ্গাল। (২৮ নং সূরাহ্ কাসাস, আয়াত নং ২৪)
ইউনুস (আঃ) দু‘আ করার সময় বলেছিলেনঃ ﴿لَّاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنْتَ سُبْحٰنَكَ١ۖۗ اِنِّیْ كُنْتُ مِنَ الظّٰلِمِیْنَ﴾
আপনি ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই; আপনি পবিত্র, মহান; আমি তো সীমালঙ্ঘনকারী। (২১ নং সূরাহ্ আম্বিয়া, আয়াত নং ৮৭) কোন কোন প্রার্থনায় প্রার্থী শুধুমাত্র প্রশংসা ও শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করেই নীরব থাকে। যেমন কবির উক্তিঃ
أَذْكُرُ حَاجَتِيْ أَمْ قَدْ كَفَانِيْ ... حَيَاؤُكَ إِنَّ شِيْمَتَكَ الْحَيَاءُ
إِذَا أَثْنَى عَلَيْكَ الْمَرْءُ يَوْمًا ... كَفَاهُ مِنْ تَعَرُّضِهِ الثَّنَاءُ
অর্থাৎ আমার প্রয়োজনের বর্ণনা দেয়ার তেমন কোন দরকার নেই, তোমার দয়াপূর্ণ দানই আমার জন্য যথেষ্ট। আমি জানি যে, দান ও সুবিচার তোমার পবিত্র ও চিরাচরিত অভ্যাসের অন্তর্ভুক্ত। শুধু তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করে দেয়া, তোমার প্রশংসা ও গুণকীর্তন করাই আমার প্রয়োজন পূরণের জন্য যথেষ্ট।
সূরায় হিদায়াত শব্দের বিশ্লেষণ
এখানে হিদায়াতের অর্থ ইরশাদ ও তাওফীক অর্থাৎ সুপথপ্রদর্শন ও সক্ষমতা প্রদান।’ অন্যত্র বলা হয়েছেঃ ﴿وَ هَدَیْنٰهُ النَّجْدَیْنِ﴾
আর আমি তাদেরকে দু’টি পথ দেখিয়েছি। (৯০ নং সূরাহ্ বালাদ, আয়াত নং ১০) কখনো ‘হিদায়াত’ শব্দটি إِلَى-এর সাথে বা مُتَعَدِّىْ সকর্মক ক্রিয়া হয়ে থাকে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ
﴿اِجْتَبٰىهُ وَ هَدٰىهُ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ﴾
মহান আল্লাহ তাকে মনোনীত করেছিলেন এবং তাকে পরিচালিত করেছিলেন সরল সঠিক পথে।(১৬ নং সূরাহ্ নাহল, আয়াত নং ১২১) অন্য জায়গায় মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ
﴿فَاهْدُوْهُمْ اِلٰى صِرَاطِ الْجَحِیْمِ﴾
তাদেরকে ত্বারিত করো জাহান্নামের পথে। (৩৭ নং সূরাহ্ সাফফাত, আয়াত নং ২৩) এখানে হিদায়াতের অর্থ পথপ্রদর্শন ও রাস্তা বাতলে দেয়া। এরূপ ঘোষণা রয়েছেঃ
﴿وَ اِنَّكَ لَتَهْدِیْۤ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ﴾
তুমি তো প্রদর্শন করো শুধু সরল পথ। (৪২ নং সূরাহ্ শুরা, আয়াত নং ৫২)
জ্বিন বা দানবের কথা কুর’আন মাজীদে রয়েছেঃ ﴿الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِیْ هَدٰىنَا لِهٰذَا﴾
যাবতীয় প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর জন্য যিনি আমাদেরকে পথপ্রদর্শন করেছেন। (৭ নং সূরাহ্ আ‘রাফ, আয়াত নং ৪৩) অর্থাৎ অনুগ্রহ পূর্বক সৎপথে পরিচালিত হওয়ার তাওফীক দান করেছেন।
‘সিরাতুল মুস্তাকীম’ এর বিশ্লেষণ
﴿صِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ﴾-এর কয়েকটি অর্থ আছে। ইমাম আবূ জা‘ফর ইবনু তাবারী (রহঃ) বলেন যে, এর অর্থ হচ্ছে সুস্পষ্ট, সরল ও পরিষ্কার রাস্তা যার কোন জায়গা বা কোন অংশই বাঁকা নয়। এ বিষয়ে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ একমত যে, ‘সিরাতুল মুস্তাকীম’ হলো ঐ সরল-সঠিক পথ যার কোন শাখা-প্রশাখা নেই। উদাহরণ স্বরূপ , জারীর ইবনু আতিয়া আল-খাতাফীর একটি কবিতা উল্লেখ করা যেতে পারেঃ
أميرُ المؤمنين على صِراطٍ ... إذا اعوج الموارِدُ مُسْتَقيمِ
‘বিশ্বাসীদের নেতা রয়েছেন সেই পথে যা সব সময়েই সরল-সঠিক। আর অন্যান্য পথে রয়েছে বক্রতা।’ তাবারী (রহঃ) বলছেন, এ বিষয়ে অনেক উদাহরণ রয়েছে। তারপর তিনি বলেনঃ ‘আরবরা সিরাত শব্দটি বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাপারে ব্যবহার করে থাকে, তা সৎ কাজের জন্য হোক অথবা অসৎ কাজের জন্য হোক। কিন্তু সৎ ব্যক্তির জন্য সঠিক এবং অসৎ ব্যক্তির বেলায় বক্র শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। কুর’আনে যে সরল-সঠিক পথের কথা বলা হয়েছে তা হলো ইসলাম। (তাফসীর তাবারী ১/১৭০)
পূর্ববর্তী ও পরবর্তী মুফাস্সিরগণ কর্তৃক এর ভিন্ন ভিন্ন বহু তাফসীর বর্ণিত হয়েছে যদিও তার সারকথা একই। আর তা হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য করা। এটাও বর্ণিত আছে যে, তা হলো আল্লাহর কিতাব। যেমন ইবনু আবী হাতিম ‘আলী ইবনু আবি তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, صِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ হচ্ছে মহান আল্লাহর কিতাব। ইবনু জারীর (রহঃ)-ও হামযা ইবনু যাইয়্যাত থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
অবশ্য ইমাম আহমাদ ও ইমাম তিরমিযী (রহঃ) আলী (রাঃ) থেকে মারফূ‘ সনদে বর্ণনা করেছেন যে, কিতাবুল্লাহ হচ্ছে মহান শক্ত রশি, জ্ঞানপূর্ণ উপদেশ এবং সরল পথ বা صِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ। (জামি‘ তিরমিযী ৫/২৯০৬, সুনান দারিমী ২/৩৩৩১, মুসনাদ আহমাদ, ১/৯১, হাদীসটি অত্যন্ত য‘ঈফ) আলী (রাঃ) থেকে এটা মাওকূফ সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে, আর এটাই অধিক উপযুক্ত। মহান আল্লাহই সঠিকটি ভালো জানেন। সুফইয়ান সাওরী (রহঃ)ও ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে এমনটিই বর্ণিত হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, তা হলো ইসলাম।
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, জিবরাইল (আঃ) মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন, হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ বলুন। অর্থাৎ আমাদেরকে হিদায়াত বিশিষ্ট পথের সন্ধান দিন, আর তা হলো, আল্লাহর দ্বীন যার মধ্যে কোন বক্রতা নেই।
মায়মূন ইবনু মিহরানও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করে বলেন তিনি বলেন, اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ হলো ‘ইসলাম’।
ইবনু মাস‘উদ, ইবনু ‘আব্বাস, জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ প্রমূখ সাহাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, صراط المستقيم হলো ‘ইসলাম’। ইবনু হানাফিয়্যাহ (রহঃ) বলেন, এর ভাবার্থ হলো, মহান আল্লাহর সেই দ্বীন যা ছাড়া অন্য দ্বীন গ্রহণীয় নয়। ‘আব্দুর রহমান ইবনু যায়দ ইবনু আসলামও বলেন, صراط المستقيم হলো ‘ইসলাম’।
মুসনাদ আহমাদে একটি হাদীসে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ
‘আল্লাহ তা‘আলা ﴿صِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ﴾-এর একটা দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। তা এই যে সীরাতে মুস্তাকীমের দুই দিকে দু’টি প্রাচীর রয়েছে। তাতে কয়েকটি খোলা দরজা আছে। দরজাগুলোর ওপর পর্দা টাঙ্গানো রয়েছে। সীরাতে মুস্তাকীমের প্রবেশ দ্বারে সব সময়ের জন্য একজন আহ্বানকারী নিযুক্ত রয়েছে। সে বলছেঃ ‘হে জনমণ্ডলী! তোমরা সবাই এই সোজা পথ ধরে চলে যাও, আঁকা বাঁকা পথে যেয়ো না।’ ঐ রাস্তার ওপরে একজন আহ্বানকারী রয়েছে। যে কেউ এ দরজাগুলোর কোন একটি খুলতে চাচ্ছে সে বলছেঃ সাবধান, তা খুলনা, যদি খুলে ফেলো তাহলে সোজা পথ থেকে সরে পড়বে।’ সীরাতে মুস্তাকীম হচ্ছে ইসলাম, প্রাচীরগুলো মহান আল্লাহর নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ, প্রবেশ দ্বারে আহ্বানকারী হচ্ছে আল কুর’আনুল কারীম এবং রাস্তার ওপরের আহ্বানকারী হচ্ছে মহান আল্লাহর ভয় যা প্রত্যেক মুসলিমের অন্তরে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে উপদেষ্টা রূপে অবস্থান করে থাকে।’ (মুসনাদ আহমাদ ৪/১৮২) এ হাদীসটি মুসনাদ ইবনু আবী হাতিম, তাফসীর ইবনু জারীর, জামি‘ তিরমিযী এবং সুনান নাসাঈতেও রয়েছে এবং এর সনদ হাসান সহীহ। মহান আল্লাহই এ ব্যাপারে ভালো জানেন। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছে ‘হক বা সত্য।’ তাঁর এ কথাটিই সবচেয়ে ব্যাপক এবং এসব কথার মধ্যে পারস্পারিক কোন কোন বিরোধ নেই।
ইবনু আবী হাতিম ও ইবনু জারীর (রহঃ) আবূ ‘আলিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন ‘সীরাতে মুস্তাকীম’ হচ্ছে মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর পরবর্তী দুই সহচর। ‘আসিম (রহঃ) বলেন, উক্ত বিষয়টি আমরা হাসান বাসরী (রহঃ)-এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বললেন, আবুল ‘আলিয়া সত্যই বলেছেন এবং সঠিকতায় পৌছেছে। এ সবগুলো উক্তিই বিশুদ্ধ আপেক্ষিক। কেননা যে ব্যক্তি মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ করবে এবং তাঁর অবর্তমানে আবূ বাকর ও ‘উমার (রাঃ)-এর আনুগত্য করবে প্রকৃত পক্ষে সে হাক এরই অনুসরণ করলো। আর যে হাক এর অনুসরণ করলো সে প্রকৃত অর্থে ইসলামেরই অনুসরণ করলো। আর যে ইসলামের অনুসরণ করলো সে প্রকৃত অর্থে কুর’আনের অনুসরণ করলো। আর কুর’আন হলো মহান আল্লাহর কিতাব ও সুদৃঢ় রশি এবং সঠিক পথ। অতএব প্রত্যেকটি বিশুদ্ধ এবং একটি অন্যটির ওপর প্রমাণ বহন করে। যাবতীয় প্রসংশা মহান আল্লাহ জন্যই।
মু’মিনরাই হিদায়াতের আবেদন জানায়
যদি প্রশ্ন করা হয় যে, মু’মিনের তো পূর্বেই মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে হিদায়াত লাভ হয়ে গেছে, সুতরাং সালাতে বা বাইরে হিদায়াত চাওয়ার আর প্রয়োজন কি? তাহলে সেই প্রশ্নের উত্তর এই যে, এতে উদ্দেশ্য হিদায়াতের ওপর সদা প্রতিষ্ঠিত থাকার তাওফীক চাওয়া। কেননা বান্দা প্রতিটি মুহুর্তে ও সর্বাবস্থায় প্রতিনিয়তই মহান আল্লাহর প্রতি আশাবাদী ও মুখাপেক্ষী। সে নিজে স্বীয় জীবনের লাভ ক্ষতির মালিক নয়। বরং নিশিদিন সে মহান আল্লাহরই প্রত্যাশী ও মুখাপেক্ষী। এ জন্যই মহান আল্লাহ তাকে শিখিয়েছেন যে, সে যেন সর্বদা হিদায়াত প্রার্থনা করে এবং তার ওপর সদা প্রতিষ্ঠিত থাকার তাওফীক চাইতে থাকে। ভাগ্যবান সেই ব্যক্তি যাকে মহান আল্লাহ তাঁর দরজায় ভিক্ষুক করে নিয়েছেন। সে মহান আল্লাহকে ডাকলে মহান আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দিয়ে তার আকুল প্রার্থনা মঞ্জুর করার গুরু দায়িত্ব স্কন্ধে নিয়েছেন। বিশেষ করে অসহায় ও মুহতাজ ব্যক্তি যখন দিনরাত মহান আল্লাহকে ডাকতে থাকে এবং প্রয়োজন পূরণের প্রার্থনা জানায়, মহান আল্লাহ তখন তার সেই আকুল প্রার্থনা কবূলের জিম্মাদার হয়ে যান। মহান আল্লাহ কুর’আন মাজীদে বলেনঃ
﴿یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اٰمِنُوْا بِاللّٰهِ وَ رَسُوْلِهٖ وَ الْكِتٰبِ الَّذِیْ نَزَّلَ عَلٰى رَسُوْلِهٖ وَ الْكِتٰبِ الَّذِیْۤ اَنْزَلَ مِنْ قَبْلُ﴾
হে মু’মিনগণ! তোমরা বিশ্বাস স্থাপন করো মহান আল্লার প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি এবং এই কিতাবের প্রতি যা তিনি তাঁর রাসূলের ওপর অবর্তীণ করেছেন এবং ঐ কিতাবের প্রতি যা পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছিলো। (৪ নং সূরাহ্ নিসা, আয়াত নং ১৩৬) এ আয়াতে ঈমানদারগণকে ঈমান আনার নির্দেশ দেয়া এমনই, যেমন হিদায়াত প্রাপ্তগণকে হিদায়াত চাওয়ার নির্দেশ দেয়। এই দুই স্থানেই উদ্দেশ্য হচ্ছে তার ওপরে অটল, অনড় ও দ্বিধাহীনচিত্তে স্থির থাকা। আর এমন কার্যাবলী সদা সম্পাদন করা যা উদ্দেশ্য লাভে সহায়তা করে। দেখুন মহান আল্লাহ তাঁর ঈমানদার বান্দাগণকে নিম্নের এ প্রার্থনা করারও নির্দেশ দিচ্ছেনঃ
﴿رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوْبَنَا بَعْدَ اِذْ هَدَیْتَنَا وَ هَبْ لَنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً١ۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْوَهَّابُ﴾
হে আমাদের প্রভু! আমাদেরকে পথ প্রদর্শনের পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আমাদেরকে আপনার নিকট হতে করুণা প্রদান করুন, নিশ্চয়ই আপনি প্রভূত প্রদানকারী। (৩ নং সূরাহ্ আলি ‘ইমরান, আয়াত নং ৮)
এটাও বর্ণিত আছে যে, আবূ বাকর সিদ্দিক (রাঃ) মাগরিবের তৃতীয় রাক‘আতে সূরাহ ফাতিহার পর এ আয়াতটি নিম্ন স্বরে পড়তেন।
সুতরাং ﴿اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ﴾-এর অর্থ দাঁড়ালোঃ ‘হে মহান আল্লাহ! আমাদেরকে সরল ও সোজা পথের ওপর অটল ও স্থির রাখুন এবং তা থেকে আমাদেরকে দূরে অপসারিত করবেন না।’
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings