Surah Maryam Tafseer
Tafseer of Maryam : 65
Saheeh International
Lord of the heavens and the earth and whatever is between them - so worship Him and have patience for His worship. Do you know of any similarity to Him?"
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
৬৪-৬৫ নং আয়াতের তাফসীর:
হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) একবার হযরত জিবরাঈলকে (আঃ) বলেনঃ “আপনি আমার কাছে যত বার আসেন, এর চেয়ে বেশীবার আসেন না কেন? এর উত্তরে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। (ইমাম আহমাদ (রঃ) এটা স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন এবং বুখারী (রঃ) একাকী এটা তাখরীজ করেছেন) এটাও বর্ণিত আছে যে, একবার হযরত জিবরাঈলের (আঃ) আগমনের বিলম্ব হয়। ফলে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বড়ই বিচলিত ও চিন্তিত হয়ে পড়েন। তারপর হযরত জিবরাঈল (আঃ) এই আয়াত নিয়ে অবতরণ করেন। অন্য একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, হযরত জিবরাঈল (আঃ) বারো দিন বা এর চেয়ে কম দিন পর্যন্ত আগমন করেন নাই। অতঃপর তিনি আসলে রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে জিজ্ঞেস করেনঃ “আপনার আগমনে এতো বিলম্ব হলো কেন? মুশরিকরা তো বহু কিছু গুজব রটাতে শুরু করেছিল। ঐ সময় এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। সুতরাং এই আয়াত (আরবী) এই সূরার আয়াতের মতই।
বর্ণিত আছে যে, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তাদের দুজনের মধ্যে সাক্ষাৎ ঘটে নাই। সাক্ষাৎ হলে রাসূলুল্লাহ (সঃ) হযরত জিবরাঈলকে (আঃ) বলেনঃ “আপনি আগমনে বিলম্ব করায় আমি তো বড়ই বিচলিত হয়ে পড়েছিলাম।” হযরত জিবরাঈল (আঃ) জবাবে তাকে বলেনঃ “আপনার সাথে সাক্ষাতের জন্যে আমিই বেশী আগ্রহী ছিলাম। কিন্তু আমি আল্লাহ তাআলার হুকুমের অনুগত। যখন তিনি নির্দেশ দেন তখনই শুধু আমি আসতে পারি। (কিন্তু এই রিওয়াইয়াতটি গারীব বা দুর্বল)
বর্ণিত আছে যে, একবার হযরত জিবরাঈল (আঃ) আগমনে বিলম্ব করেন। অতঃপর তিনি আগমন করলে রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁকে বিলম্বের কারণ জিজ্ঞেস করেন। উত্তরে হযরত জিবরাঈল (আঃ) বলেনঃ “যখন লোকেরা তাদের নখ কাটে না, অঙ্গুলী পরিষ্কার করে না, গোফ ছোট করে না এবং মিসওয়াক করে না, তখন আমি কিরূপে আসতে পারি?” অতঃপর তিনি এই আয়াত তিলাওয়াত করেন। (এটা মুসনাদে ইবনু আবি হাতিমে হযরত মুজাহিদ (রঃ) হতে বর্ণিত আছে)
হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমাকে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “আমাদের মজলিস ঠিকঠাক করে নাও। আজ ঐ ফেরেশতা আগমন করছেন যিনি আজকের পূর্বে যমীনে কখনো অবতরণ করেন নাই।”
মহান আল্লাহ বলেনঃ যা আমাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে আছে ও যা এই দু'এর অন্তর্বর্তী তা তারই। অর্থাৎ আগমনকারী পারলৌকিক বিষয়সমূহ, অতীত হয়ে যাওয়া পার্থিব বস্তুরাজি এবং দুনিয়া ও আখেরাতের মধ্যস্থিত সমস্ত কিছুর অধিকারী তিনিই। হে নবী (সঃ) ! তোমার প্রতিপালক কিছুই ভুলবার নন। তিনি তোমাকে ভুলে যাবেন এটা তাঁর বিশেষণ নয়। যেমন তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “শপথ পূর্বাহ্নে, শপথ রজনীর যখন তা হয় নিঝুম। তোমার প্রতিপালক তোমাকে পরিত্যাগ করেন নাই এবং তোমার প্রতি বিরূপও হন। নাই।" (৯৩:১-৩)
হযরত আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ তাআলা তার কিতাবে যা হালাল করেছেন তা হালাল এবং যা হারাম করেছেন তা হারাম এবং যা থেকে তিনি নীরব থেকেছেন তা ক্ষমার্হ। সুতরাং যা ক্ষমাহঁ তা তোমরা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে গ্রহণ কর। আল্লাহ তাআলা কোন কিছু ভুলেন না।” অতঃপর তিনি, (আরবী) এই বাক্যটিই পাঠ করেন।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তিনি আকাশসমূহ, পৃথিবী ও এতোদুভয়ের মধ্যস্থিত সবকিছুরই প্রতিপালক। এমন কেউ নেই, যে তার হুকুম টলাতে পারে। সুতরাং হে নবী (সঃ) ! তুমি তাঁরই ইবাদত করতে থাকো এবং তাঁরই উপাসনায় ধৈর্যশীল থাকো তার সমতুল্য ও সমকক্ষ কেউই নেই। তিনি বরকতময়। তিনি সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী। তাঁর নামে সমস্ত গুণ ও বিশেষণ বিদ্যমান। তিনি মহামহিমান্বিত।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings