Surah Maryam Tafseer
Tafseer of Maryam : 58
Saheeh International
Those were the ones upon whom Allah bestowed favor from among the prophets of the descendants of Adam and of those We carried [in the ship] with Noah, and of the descendants of Abraham and Israel, and of those whom We guided and chose. When the verses of the Most Merciful were recited to them, they fell in prostration and weeping.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৫৬-৫৮ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা ইদরীস (عليه السلام)-এর বর্ণনা দিচ্ছেন।
ইদরীস (عليه السلام) হলেন প্রথম মানব যাঁকে মু‘জিযাহ হিসেবে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও গণিতবিজ্ঞান দান করা হয়েছিল। তিনিই সর্বপ্রথম মানব, যিনি আল্লাহ তা‘আলার ইলহাম মতে কলমের সাহায্যে লিখন পদ্ধতি ও বস্ত্র সেলাই শিল্পের সূচনা করেন। তাঁর পূর্বে মানুষ সাধারণতঃ পোশাক হিসেবে জীবজন্তুর চামড়া ব্যবহার করেন। ওজন ও পরিমাপের পদ্ধতি তিনিই সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন এবং লোহা দ্বারা অস্ত্র-শস্ত্র তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার ও তার ব্যবহার তাঁর আমল থেকেই শুরু হয়। তিনি অস্ত্র তৈরি করে কাবীল গোত্রের বিরুদ্ধে জিহাদ করেন।
ইদরীস (عليه السلام) একজন বিখ্যাত নাবী। তিনি নূহ (عليه السلام) এর আগের নাবী, না-পরের নাবী এ নিয়ে মতভেদ পাওয়া যায়। তবে অধিকাংশের মতে তিনি নূহ (عليه السلام) এর পরের নাবী। ইমাম কুরতুবী (عليه السلام) বলেন: তিনি যে নূহের পরের নাবী তার বড় প্রমাণ হল, মি‘রাজের রাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ১ম আসমানে আদম (عليه السلام) এর সাক্ষাত হয়, তিনি রাসূলকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বলেন:
مرحبا بالابن الصالح والنبي الصالح
‘নেককার সন্তান ও নেককার নাবীর জন্য সাদর সম্ভাষণ।’ অতঃপর ৪র্থ আসমানে ইদরীস (عليه السلام)-এর সাথে সাক্ষাত হলে তিনি রাসূলকে বলেন:
مرحبا بالاخ الصالح والنبي الصالح
‘নেককার ভাই ও নেককার নাবীর জন্য সাদর সম্ভাষণ।’ কাযী ইয়ায বলেন: যদি ইদরীস (عليه السلام) নূহ (عليه السلام) এর আগের নাবী হতেন তাহলে তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‘নেককার ভাই’ না বলে ‘নেককার সন্তান’ বলে সম্ভাষণ জানাতেন। যেমন আদম, নূহ ও ইবরাহীম (عليه السلام) বলেছিলেন। আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছিলেন, ফলে তিনি নৈকট্যশীল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কুরআনে এ কথা বর্ণনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ তা‘আলা এ সকল নাবীদের কথা বর্ণনা করার পর বলছেন, এরাই হলেন সেই সকল নাবী, যাদেরকে নাবীগণের মধ্য হতে আল্লাহ তা‘আলা বিশেষভাবে অনুগ্রহ করেছেন।
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(وَمَنْ يُّطِعِ اللّٰهَ وَالرَّسُوْلَ فَأُولٰٓئِكَ مَعَ الَّذِيْنَ أَنْعَمَ اللّٰهُ عَلَيْهِمْ مِّنَ النَّبِيِّيْنَ وَالصِّدِّيْقِيْنَ وَالشُّهَدَا۬ءِ وَالصّٰلِحِيْنَ ج وَحَسُنَ أُولٰٓئِكَ رَفِيْقًا)
“আর কেউ আল্লাহ এবং রাসূলের আনুগত্য করলে সে নাবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সৎ কর্মপরায়ণ যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন তাদের সঙ্গী হবে এবং তারা কতই না উত্তম সঙ্গী!” (সূরা নিসা ৪:৬৯)
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings