Surah Al Kahf Tafseer
Tafseer of Al-Kahf : 9
Saheeh International
Or have you thought that the companions of the cave and the inscription were, among Our signs, a wonder?
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
৯-১২ নং আয়াতের তাফসীর:
আসহাবে কাহফের ঘটনা প্রথমে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণিত হচ্ছে, পরে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হবে। মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “আসহাবে কাহফের এই ঘটনাটি আমার ক্ষমতা প্রকাশের অসংখ্য ঘটনাবলীর মধ্যে একটি সাধারণ ঘটনা মাত্র। এর চেয়ে বড় বড় ঘটনা দৈনন্দিন তোমাদের চোখের সামনে ঘটতে রয়েছে। আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি, দিবস ও রজনীর পরিবর্তন, সূর্য ও চন্দ্রের আনুগত্য ইত্যাদি হচ্ছে মহা ক্ষমতাবানের ক্ষমতার নিদর্শনসমূহ, যেগুলি এটাই প্রকাশ করছে যে, আল্লাহ তাআলা সীমাহীন ক্ষমতার অধিকারী। তিনি সব কিছুর উপরই পূর্ণ ক্ষমতাবান। তার কাছে কোন কিছুই কঠিন নয়। অসহাবে কাহফের চেয়ে তো বড় বড় বিস্ময়কর ঘটনা তোমাদের সামনেই বিদ্যমান রয়েছে। হে নবী (সঃ)! কিতাব ও সুন্নাহর যে জ্ঞান আমি তোমাকে দান করেছি তার গুরুত্ব আসহাবে কাহফের ঘটনা অপেক্ষা অনেক বেশী। অনেক হুজ্জত ও প্রমাণ আমি বান্দাদের উপর খুলে দিয়েছি যা আসহাবে কাহফের ঘটনা অপেক্ষা বেশী প্রকাশমান।
কাহফ বলা হয় পাহাড়ের গর্তকে। সেখানে এই যুবকরা লুকিয়ে গিয়েছিলেন। রাকীম’ হয় ঈলা পাহাড়ের পার্শ্ববর্তী একটি উপত্যকার নাম, না হয় ঐ জায়গায় একটি অট্টালিকার নাম, কিংবা কোন জনপদের নাম অথবা ঐ পাহাড়ের নাম। ঐ পাহাড়ের নাম নাজলুসও বলা হয়েছে এবং গুহার নাম বলা হয়েছে হায়রূম। ঐ যুবকদের কুকুরটির নাম হামরান বলা হয়েছে।
হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ “সমস্ত কুরআন আমার জানা আছে, কিন্তু ‘হানান’ বা ‘আওয়াহ এবং রাকীম’ শব্দ সম্পর্কে আমার অবগতি নেই। আমার জানা নেই যে, রাকীম' কিতাবের নাম কি ঐ ভিত্তির নাম। তার থেকে আর একটি রিওয়াইয়াত বর্ণিত আছে যে, রাকীম' হচ্ছে কিতাব। সাঈদ (রঃ) বলেন যে, ওটা পাথরের একটি ফলক ছিল যার উপর আসহাবে কাফের ঘটনা লিখে ঐ গুহার দরজার উপর লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল। আবদুর রহমান (রঃ) বলেন যে, কুরআন কারীমে (আরবী) রয়েছে অর্থাৎ চিহ্নিত লিখিত কিতাব। সুতরাং আয়াতের বাহ্যিক শব্দ দ্বারা এরই পৃষ্ঠ পোষকতা করা হচ্ছে। আর এটাই ইমাম ইবনু জারীরের (রঃ) পছন্দনীয় উক্তি (আরবী) এর ওযনে (আরবী) এর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমনঃ (আরবী) এবং (আরবী) এর অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এই যুবকরা তাদের দ্বীনকে রক্ষা করার জন্যে নিজেদের কওমের নিকট থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের ভয় ছিল যে, না জানি তারা তাদেরকে তাদের দ্বীন থেকে বিভ্রান্ত করে ফেলে। পালিয়ে গিয়ে তারা একটি পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারা প্রার্থনা করেছিলেনঃ “হে আল্লাহ! আপনার পক্ষ থেকে আমাদের উপর রহমত নাযিল করুন। আমাদেরকে আমাদের কওম হতে লুকিয়ে রাখুন এবং আমাদের এই কাজের পরিণতি ভাল করুন।” হাদীসে একটি দুআ’য় রয়েছে “হে আল্লাহ! আমাদের ব্যাপারে আপনি যে ফায়সালা করবেন তার পরিণাম অমাদের জন্যে ভাল করুন।” মুসনাদে আহমাদে রয়েছে। যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁর প্রার্থনায় আরজ করতেনঃ “হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সমস্ত কাজের পরিণাম ভাল করুন! আমাদেরকে দুনিয়ার লাঞ্ছনা ও আখেরাতের শাস্তি হতে বাঁচিয়ে নিন।
ঐ গুহায় প্রবেশ করে তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন এবং ঘুমের মধ্যেই বহু বছর অতিবাহিত হয়ে যায়। অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাদেরকে জাগ্রত করেন। তাদের মধ্যে একজন দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) নিয়ে সওদা খরিদের উদ্দেশ্যে বাজাব্বে দিকে রওয়ানা হন, যেমন সামনে আসছে। মহান আল্লাহ বলেনঃ
“পরে আমি তাদেরকে জাগ্রত করলাম এটা জানবার জন্যে যে, দুই দলের। মধ্যে কোন্টি তাদের অবস্থিতিকাল সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারে।
(আরবী) শব্দের অর্থ হচ্ছে, সংখ্যা ব্য গণনা। আবার এই কথাও বলা হয়েছে যে, এই শব্দটি (আরবী) (শেষ সীমা)-এর অর্থেও এসে থাকে। আরব কবিরা তাদের কবিতার মধ্যেও এটাকে' (আরবী) এর অর্থেই প্রয়োগ করেছেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings