Surah Al Kahf Tafseer

Surah
Juz
Page
1
Al-Fatihah
The Opener
001
2
Al-Baqarah
The Cow
002
3
Ali 'Imran
Family of Imran
003
4
An-Nisa
The Women
004
5
Al-Ma'idah
The Table Spread
005
6
Al-An'am
The Cattle
006
7
Al-A'raf
The Heights
007
8
Al-Anfal
The Spoils of War
008
9
At-Tawbah
The Repentance
009
10
Yunus
Jonah
010
11
Hud
Hud
011
12
Yusuf
Joseph
012
13
Ar-Ra'd
The Thunder
013
14
Ibrahim
Abraham
014
15
Al-Hijr
The Rocky Tract
015
16
An-Nahl
The Bee
016
17
Al-Isra
The Night Journey
017
18
Al-Kahf
The Cave
018
19
Maryam
Mary
019
20
Taha
Ta-Ha
020
21
Al-Anbya
The Prophets
021
22
Al-Hajj
The Pilgrimage
022
23
Al-Mu'minun
The Believers
023
24
An-Nur
The Light
024
25
Al-Furqan
The Criterion
025
26
Ash-Shu'ara
The Poets
026
27
An-Naml
The Ant
027
28
Al-Qasas
The Stories
028
29
Al-'Ankabut
The Spider
029
30
Ar-Rum
The Romans
030
31
Luqman
Luqman
031
32
As-Sajdah
The Prostration
032
33
Al-Ahzab
The Combined Forces
033
34
Saba
Sheba
034
35
Fatir
Originator
035
36
Ya-Sin
Ya Sin
036
37
As-Saffat
Those who set the Ranks
037
38
Sad
The Letter "Saad"
038
39
Az-Zumar
The Troops
039
40
Ghafir
The Forgiver
040
41
Fussilat
Explained in Detail
041
42
Ash-Shuraa
The Consultation
042
43
Az-Zukhruf
The Ornaments of Gold
043
44
Ad-Dukhan
The Smoke
044
45
Al-Jathiyah
The Crouching
045
46
Al-Ahqaf
The Wind-Curved Sandhills
046
47
Muhammad
Muhammad
047
48
Al-Fath
The Victory
048
49
Al-Hujurat
The Rooms
049
50
Qaf
The Letter "Qaf"
050
51
Adh-Dhariyat
The Winnowing Winds
051
52
At-Tur
The Mount
052
53
An-Najm
The Star
053
54
Al-Qamar
The Moon
054
55
Ar-Rahman
The Beneficent
055
56
Al-Waqi'ah
The Inevitable
056
57
Al-Hadid
The Iron
057
58
Al-Mujadila
The Pleading Woman
058
59
Al-Hashr
The Exile
059
60
Al-Mumtahanah
She that is to be examined
060
61
As-Saf
The Ranks
061
62
Al-Jumu'ah
The Congregation, Friday
062
63
Al-Munafiqun
The Hypocrites
063
64
At-Taghabun
The Mutual Disillusion
064
65
At-Talaq
The Divorce
065
66
At-Tahrim
The Prohibition
066
67
Al-Mulk
The Sovereignty
067
68
Al-Qalam
The Pen
068
69
Al-Haqqah
The Reality
069
70
Al-Ma'arij
The Ascending Stairways
070
71
Nuh
Noah
071
72
Al-Jinn
The Jinn
072
73
Al-Muzzammil
The Enshrouded One
073
74
Al-Muddaththir
The Cloaked One
074
75
Al-Qiyamah
The Resurrection
075
76
Al-Insan
The Man
076
77
Al-Mursalat
The Emissaries
077
78
An-Naba
The Tidings
078
79
An-Nazi'at
Those who drag forth
079
80
Abasa
He Frowned
080
81
At-Takwir
The Overthrowing
081
82
Al-Infitar
The Cleaving
082
83
Al-Mutaffifin
The Defrauding
083
84
Al-Inshiqaq
The Sundering
084
85
Al-Buruj
The Mansions of the Stars
085
86
At-Tariq
The Nightcommer
086
87
Al-A'la
The Most High
087
88
Al-Ghashiyah
The Overwhelming
088
89
Al-Fajr
The Dawn
089
90
Al-Balad
The City
090
91
Ash-Shams
The Sun
091
92
Al-Layl
The Night
092
93
Ad-Duhaa
The Morning Hours
093
94
Ash-Sharh
The Relief
094
95
At-Tin
The Fig
095
96
Al-'Alaq
The Clot
096
97
Al-Qadr
The Power
097
98
Al-Bayyinah
The Clear Proof
098
99
Az-Zalzalah
The Earthquake
099
100
Al-'Adiyat
The Courser
100
101
Al-Qari'ah
The Calamity
101
102
At-Takathur
The Rivalry in world increase
102
103
Al-'Asr
The Declining Day
103
104
Al-Humazah
The Traducer
104
105
Al-Fil
The Elephant
105
106
Quraysh
Quraysh
106
107
Al-Ma'un
The Small kindnesses
107
108
Al-Kawthar
The Abundance
108
109
Al-Kafirun
The Disbelievers
109
110
An-Nasr
The Divine Support
110
111
Al-Masad
The Palm Fiber
111
112
Al-Ikhlas
The Sincerity
112
113
Al-Falaq
The Daybreak
113
114
An-Nas
Mankind
114

Al-Kahf : 61

18:61
فَلَمَّابَلَغَامَجْمَعَبَيْنِهِمَانَسِيَاحُوتَهُمَافَٱتَّخَذَسَبِيلَهُۥفِىٱلْبَحْرِسَرَبًا ٦١

Saheeh International

But when they reached the junction between them, they forgot their fish, and it took its course into the sea, slipping away.

Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)

৬০-৬৫ নং আয়াতের তাফসীর:

হযরত মুসাকে (আঃ) বলা হয় যে, দই সমুদ্রের মিলন স্থলের (মোহনার) পার্শ্বে আল্লাহ তাআলার এমন এক বান্দা রয়েছে তার ঐ জ্ঞান রয়েছে যেই জ্ঞান হযরত মূসার (আঃ) নেই। তৎক্ষণাৎ হযরত মূসা (আঃ) তার সাথে সাক্ষাৎ করার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করেন। সুতরাং তিনি তাঁর সঙ্গীকে বলেনঃ “আমি তো সেখানে না পৌঁছা পর্যন্ত থামবো না এবং বিশ্রাম গ্রহণ করবো না, বরং যুগ যুগ ধরে চলতে থাকবো।” বর্ণিত আছে যে, ঐ দুটি সমুদ্রের একটি হচ্ছে পূর্ব পারস্য উপসাগর এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে পশ্চিম রোম সাগর। এই স্থানটি তানজা'র পার্শ্বে পশ্চিমা শহরগুলির শেষ প্রান্তে অবস্থিত। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।

হযরত মূসা (আঃ) বলেনঃ “আমাকে যদি যুগ যুগ ধরেও চলতে হয় তবুও কোন ক্ষতি নেই। বলা হয়েছে যে, কায়েসের অভিধানে (আরবী) বছরকে বলা হয়। হযরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন যে, (আরবী) দ্বারা আশি বছর বুঝানো হয়েছে। হযরত মুজাহিদ (রঃ) সত্তর বছর বলেছেন। হযরত ইবুন আব্বাস (রাঃ) এর অর্থ যুগ বলেছেন। হযরত মূসাকে (আঃ) আল্লাহ তাআলা হুকুম করেছিলেনঃ তুমি লবন মাখানো একটি (মর) মাছ সাথে নিবে। যেখানে ঐ মাছটি হারিয়ে যাবে সেখানে তুমি আমার ঐ বান্দার সাক্ষাৎ পাবে।

মাছ সঙ্গে নিয়ে তাঁরা দুজন চলতে শুরু করেন এবং চলতে চলতে দুই সমদ্রের মিলন স্থলে পৌঁছে গেলেন। সেখানে নহরে হায়াত ছিল। সেখানে তারা দুজন শুয়ে পড়ায় মাছটি নড়ে ওঠে। মাছটি তার সঙ্গী হযরত ইউশার (আঃ) থলেতে রাখা ছিল। ওটা সমুদ্রের ধারেই ছিল। মাছটি সমুদ্রে লাফিয়ে পড়বার জন্যে ছটফট করতে থাকে। তখন হযরত ইউশা (আঃ) জেগে ওঠেন। মাছটি তার চোখের সামনে দিয়ে পানিতে নেমে যায় এবং পানিতে সোজাসুজিভাবে সুড়ঙ্গ হতে থাকে। স্থলে যেমনভাবে সুড়ঙ্গ হয় ঠিক তেমনিভাবে মাছটির গমনের পথে সুড়ঙ্গ হয়ে যায়। পানি এদিক-ওদিক খাড়া হয়ে যায় এবং ঐ সুড়ঙ্গটি সম্পূর্ণরূপে খোলা থাকে। পাথরের মত পারি মধ্যে ছিদ্র হয়ে যায়। মাছটি যেখান দিয়ে গিয়েছে তথাকার পানি পাথরের মত হয়ে গেছে এবং সুড়ঙ্গ হয়ে গেছে। মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক (রঃ) মারফুরূপে হাদীস এনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “দুনিয়া সৃষ্টির প্রথম থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত পানি এভাবে জমাট হয়ে যায় নাই। যেমন ভাবে জমাট হয়েছিল ঐ মাছটির গমন পথের আশে পাশের পানি।” স্থল ভাগের সুড়ঙ্গের মতই পানির এই সুড়ঙ্গের চিহ্ন হযরত মূসার (আঃ) সেখানে ফিরে আসা পর্যন্ত বাকী থেকে যায়। ঐ চিহ্ন দেখেই হযরত মূসা (আঃ) বলেনঃ “আমরা তো এরই সন্ধানেই ছিলাম।”

মাছটির কথা ভুলে গিয়ে তাঁরা দুজন সামনের দিকে এগিয়ে যান। এখানে একথাটি স্মরণ রাখার বিষয় যে, একটি কাজ দু’জনের সাথে সম্পর্ক যুক্ত হয়েছে। মাছটির কথা ভুলে গিয়েছিলেন শুধু হযরত ইউশা (আঃ) অথচ বলা হয়েছে যে, তারা দু'জন ভুলে গেলেন। যেমন কুরআন কারীমে রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “এ দু’টি সমুদ্রের মধ্য হতে মুক্তা ও প্রবাল-রত্মসমূহ বের হয়ে থাকে।" (৫৫:২২) অথচ প্রকৃত ব্যাপার এই যে, মণিমুক্তা শুধু লবণাক্ত পানির সমুদ্র হতেই বের হয়।

কিছু পথ অতিক্রম করার পর হযরত মূসা (আঃ) তার সঙ্গীকে বললেনঃ “আমাদের প্রাতঃরাশ নিয়ে এসো। আমরা তো আমাদের এই সফরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। তারা এই ক্লান্তি অনুভব করেছিলেন তাদের গন্তব্য স্থান অতিক্রম করার পর। গন্তব্য স্থানে পৌঁছা পর্যন্ত তাঁরা কোন কান্তি অনুভব করেন নাই। ঐ সময় তাঁর সঙ্গীর মাছের কথা মনে পড়ে যায়। তাই, তিনি হযরত মূসাকে (আঃ) বলেনঃ “যখন আমরা শিলাখণ্ডে বিশ্রাম করছিলাম তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। তখন আমি মাছের ঐ কথা বর্ণনা করতে শয়তানই আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল। মাছটি আশ্চর্যজনকভাবে নিজের পথ করে নিয়ে সমুদ্রে নেমে গিয়েছিল। হযরত ইবনু মাসউদের (রাঃ) কিরআতে (আরবী) রয়েছে। হযরত ইউশার (আঃ) একথা শুনে হযরত মূসা (আঃ) বলেনঃ “আমরা তো ঐস্থানটিরই অনুসন্ধান করছিলাম।” অতঃপর তারা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চললেন।

মহান আল্লাহ বলেনঃ সেখানে তারা আমার বান্দাদের মধ্যে একজন বান্দার সাক্ষাৎ পেলো, যাকে আমি আমার নিকট থেকে অনুগ্রহ দান করেছিলাম এবং আমার নিকট হতে দিয়েছিলাম এক বিশেষ জ্ঞান। আল্লাহ তাআলার এই বান্দা হলেন হযরত খিযুর (আঃ)।

সহীহ বুখারীতে বর্ণিত আছে যে, হযরত সাঈদ ইবনু জুবাইর (রাঃ) হরত আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাসকে (রাঃ) বলেনঃ “নাউফ নামক লোকটির ধরণা এই যে, হযরত খিযুরের (আঃ) সাথে সাক্ষাৎকারী মূসা বানী ইসরাঈলের মূসা (আঃ) ছিলেন না।” একথা শুনে হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ “আল্লাহর ঐ শত্রু মিথ্যাবাদী। আমি হযরত উবাই ইবনু কা'ব (রাঃ) থেকে শুনেছি যে, তিনি রাসূলুল্লাহকে (সঃ) বলতে শুনেছেনঃ “একদা হযরত মূসা (আঃ) বাণী ইসরাঈলের মধ্যে খুৎবা দিচ্ছিলেন। ঐ সময় তাকে প্রশ্ন করা হয়ঃ ‘সবচেয়ে বড় আলেম কে?" তিনি উত্তরে বলেছিলেনঃ “আমি।” তিনি জবাবে “আল্লাহ জানেন” একথা না বলায় আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি অসন্তুষ্ট হন। তৎক্ষণাৎ তিনি তাঁর কাছে ওয়াহী নাযিল করেনঃ “আমার এমন এক বান্দা রয়েছে, যে তোমার চেয়েও বড় আলেম।” তখন হযরত মূসা (আঃ) বলেনঃ “হে আমার প্রতিপালক! আমি তার কাছে কিরূপে পৌছতে পারি?” উত্তরে আল্লাহ তাআলা তাঁকে নির্দেশ দেনঃ “তুমি একটি মাছ সঙ্গে নাও এবং ওটা থলেতে রেখে দাও। যেখানে এ মাছটি হারিয়ে যাবে সেখানেই তুমি আমার ঐ বান্দার সাক্ষাৎ লাভ করবে। এই নির্দেশ অনুযায়ী হযরত মূসা (আঃ) হযরত ইউশা ইবনু নূনকে (আঃ) সাথে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। একটি শিলাখণ্ডের পাশে গিয়ে মাথাটি ওর উপর রেখে কিছুক্ষণের জন্যে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। এদিকে থলের মধ্যে মাছটি লাফাতে শুরু করে এবং এমনভাবে সমুদ্রে নেমে যায় যেমন কেউ সুড়ঙ্গ দিয়ে যমীনের মধ্যে নেমে থাকে। আল্লাহ তাআলা পানির প্রবাহ ও চলাচল বন্ধ করে দেন এবং তাকের মত সমুদ্রের মধ্যে ঐ সুড়ঙ্গটি বাকী থেকে যায়। তিনি জেগে উঠলে তার সঙ্গী হযরত ইউশা (আঃ) তাঁকে মাছের ঐ ঘটনাটি বলতে ভুলে যান। অতঃপর তারা সেখান থেকে চলতে শুরু করেন। দিন শেষে সারা রাত্রি তাঁরা চলতে থাকেন। হযরত মূসা (আঃ) ক্লান্তি ও ক্ষুধ্য অনুভব করেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে যেখানে যাবার নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই জায়গা অতিক্রম করার পূর্ব পর্যন্ত তিনি ক্লান্তি মোটেই অনুভব করেন নাই। তিনি তার সঙ্গীর কাছে নাশতা চান এবং ক্লান্তির কথা বলেন। তখন তাঁর সঙ্গী তাকে বলেনঃ “যখন আমরা পাথরের কাছে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম এবং ঐ সময় আমি মাছটিকে ভুলে গিয়েছিলাম এবং ঐ কথা আপনার কাছে বর্ণনা করতে শয়তান আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল। সেখানে মাছটি আশ্চর্যজনকভাবে সমুদ্রে নিজের পথ করে নিয়ে তাতে নেমে গিয়েছিল। সমুদ্রে তার জন্যে সুড়ঙ্গ হয়ে গিয়েছিল।” তখন হযরত মূসা (আঃ) তাকে বলেনঃ “আমরা ঐ স্থানটিরই সন্ধানে ছিলাম।” অতঃপর তারা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চললেন। ঐ পাথরটির নিকট পৌঁছে দেখেন সেখানে একটি লোক কাপড় জড়িয়ে বসে রয়েছেন। হযরত মূসা (আঃ) তাকে সালাম দেন। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেনঃ “এই ভূখণ্ডে এই সালাম কেমন?" তিনি বলেনঃ আমি হলাম মুসা (আঃ)। তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ “বানী ইসরাঈলের মূসা (আঃ)?” তিনি জবাবে বলেনঃ “হাঁ, আমি আপনার কাছে এই জন্যেই এসেছি যে, আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে আপনি যেসব ভাল কথা শিখেছেন তা আমাকে শিখিয়ে দিবেন।” তিনি বললেনঃ “হে মূসা (আঃ)! আপনি আমার সাথে ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন না। কারণ, আমার যে জ্ঞান রয়েছে আপনার তা নেই এবং আপনার যে জ্ঞান রয়েছে তা আমার নেই। আল্লাহ তাআলা আমাদের দু’জনকে পৃথক পৃথক জ্ঞান দান করেছেন।” তখন হযরত মূসা (আঃ) বললেনঃ “ইনশাআল্লাহ আপনি দেখবেন যে, আমি ধৈর্য ধারণ করবো। আপনার কোন কাজেরই আমি বিরুদ্ধাচরণ করবো না।” হযরত খিয়র (আঃ) তখন তাকে বললেনঃ “ আচ্ছা, আপনি যদি আমার সাথে থাকতেই চান, তবে আমাকে নিজে কোন কথা জিজ্ঞেস করবেন না, যে পর্যন্ত না আমি আপনাকে জানিয়ে দেই। এভাবে কথা করে নিয়ে তারা দুজন চলতে শুরু করলেন। নদীর তীরে একটি নৌকা ছিল। মাঝিকে হযরত খিয়র (আঃ) তাঁদেরকে নৌকায় নিয়ে যেতে অনুরোধ করেন। মাঝি হযরত খিরকে (আঃ) চিনে নেয় এবং বিনা ভাড়াতেই তাদেরকে নৌকায় উঠিয়ে নেয়। নৌকায় চড়ে তারা কিছু দূর গিয়েছেন এমতাবস্থায় হযরত মূসা (আঃ) দেখেন যে, হযরত খিষ্যর (আঃ) নীরবে কুড়াল দিয়ে নৌকার একটি তক্তা ফাড়তে রয়েছেন। এ দেখেই হযরত মূসা (আঃ) তাকে বললেনঃ “আপনি এ করেন কি? মাঝি তো আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছে যে, আমাদেরকে বিনা ভাড়ায় নৌকায় উঠিয়েছে। অরি আপনি তার নৌকা ছিদ্র করতে রয়েছেন! এর ফলে তো নৌকার সব আরোহী ডুবে যাবে। এতো বড়ই অন্যায় কাজ।” জবাবে হযরত খ্যির (আঃ) তাকে বললেনঃ “দেখুন ! আমি তো আপনাকে পূর্বেই বলেছিলাম যে, আপনি আমার সাথে ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন না?” হযরত মূসা (আঃ) তখন ওযর পেশ করে বললেনঃ “ আমার ত্রুটি হয়ে গেছে। ভুল বশতঃ আমি প্রশ্ন করে বসেছি। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন, আমার প্রতি কঠোর হবেন না।” রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ সত্যিই তাঁর প্রথম ত্রুটিটি ভুল বশতঃই ছিল। বর্ণিত আছে যে, ঐ নৌকাটির একটি তক্তার উপর একটি পাখি এসে বসে এবং পানিতে চঞ্চ ডুবিয়ে পানি নিয়ে উড়ে যায়। ঐ সময়। হযরত খিযুর (আঃ) হযরত মূসাকে (আঃ) বলেনঃ “হে মূসা (আঃ) আল্লাহর জ্ঞানের তুলনায় আমার ও আপনার জ্ঞান ততটুকু, এইপাখীটির চঞ্চুতে ওঠা পানিটুকু সমুদ্রের সমস্ত পানির তুলনায় যতটুকু।" অতঃপর নৌকাটি তীরে লেগে যায়। নৌকা থেকে নেমে তাঁরা চলতে থাকেন। পথে কতকগুলি শিশু খেলা করছিল। হযরত খি (আঃ) ওদের একজনকে ধরে এমনভাবে তার গলা মোচড় দেন যে, সাথে সাথেই সে মারা যায়। এতে হযরত মূসা (আঃ) হতবুদ্ধি হয়ে পড়েন এবং তাকে বলে ফেলেনঃ “করলেন কি? অন্যায়ভাবে আপনি এই শিশুটিকে মেরে ফেললেনঃ আপনি বড়ই অপরাধমূলক কাজ করলেন?” উত্তরে হযরত খ্যির (আঃ) তাকে বললেনঃ “আমি তো পূর্বেই বলেছিলাম যে, আপনি আমার সাথে ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন না?' এবার হযরত খ্যির (আঃ) পূর্বাপেক্ষা বেশী কঠোর হলেন। তখন হযরত মূসা (আঃ) তাঁকে বললেনঃ “আচ্ছা, এরপরে যদি আমি আপনাকে কোন প্রশ্ন করি তবে আপনি আমাকে আপনার সঙ্গে রাখবেন না এ অধিকার আমি আপনাকে দিলাম। আমার ওযর আপত্তির চূড়ান্ত হয়েছে।” আবার তারা চলতে থাকেন। তারা এক গ্রামে গিয়ে পৌঁছেন। তাঁরা ঐ গ্রামবাসীর কাছে খেতে চাইলে তারা তাদের আতিথেয়তা করতে পরিষ্কারভাবে অস্বীকার করে। অতঃপর তারা তথায় এক পতনোন্মুখ প্রাচীর দেখতে পান।। হযরত খিযর (আঃ) ওটাকে সুদৃঢ় করে দেন। হযরত মূসা (আঃ) তাঁকে বলেনঃ “আমরা তাদের অতিথি হতে চাইলাম, কিন্তু তারা আমাদের আতিথেয়তা করলো না। এর পরেও যখন আপনি তাদের এই কাজটি করে দিলেন তখন এর জন্যে পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারতেন?" হযরত খির (আঃ) তখন বললেনঃ “এখানেই আপনার ও আমার মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হলো। যে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারনে নাই আমি তার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করবো। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ যদি হযরত মূসা ধৈর্য অবলম্বন করতেন, তবে আল্লাহ তাদের দুজনের আরো বহু কথা আমাদের সামনে বর্ণনা করতেন।"

হযরত ইবনু আব্বাসের (রাঃ) কিরআতে (আরবী) এর স্থলে (আরবী) রয়েছে এবং (আরবী) এর পরে (আরবী) শব্দটিও রয়েছে। আর (আরবী) এরপরে (আরবী) শব্দও আছে।

অন্য সনদেও এই হাদীসটি বর্ণিত আছে। তাতে রয়েছে যে, ঐ পাথরটির কাছে হযরত মূসা (আঃ) থেমে যান। সেখানে একটি প্রস্রোবণ ছিল যার নাম ছিল নহরে হায়াত। ওর পানি যার উপর পড়তো সে জীবিত হয়ে যেতো। তাতে ঐ পাখিটির পানি নেয়ার পর হযরত খিযরের (আঃ) নিম্নের উক্তিটিও বর্ণিত আছে। তিনি বলেছিলেনঃ “হে মূসা (আঃ)! আমার, আপনার এবং সমস্ত মাখলুকের জ্ঞান আল্লাহ তাআলার জ্ঞানের তুলনায় ততুটুকু, এই পাখিটির চঞ্চুর পানি এই সমুদ্রের তুলনায় যতটুকু (শেষ পর্যন্ত)।"

সহীহ বুখারীর আর একটি হাদীসে আছে যে, হযরত সাঈদ জুবাইর (রাঃ) বলেনঃ একদা আমি হযরত ইবনু আব্বাসের (রাঃ) বাড়ীতে তার কাছে ছিলাম। তিনি বলেনঃ “কারো কিছু প্রশ্ন করার থাকলে আমাকে করতে পারো। আমি বললামঃ আল্লাহ আমাকে আপনার উপর উৎসর্গ করুন। কুফার একজন বক্তা আছে যার নাম নাউফ। তারপর পূর্ণ হাদীসটি পূর্বোক্ত হাদীসটির মতই বর্ণনা করা হয়। তাতে রয়েছে যে, হযরত মূসার (আঃ) ঐভাষণে চক্ষুগুলি অশ্রুসিক্ত হয়েছিল এবং অন্তরগুলি কোমল হয়ে পড়েছিল। তাঁর বিদায় বেলায় একটি লোক তার কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করেঃ “সারা ভূ-পৃষ্ঠে আপনার চেয়ে বড় আলেম আর কেউ আছে কি?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “না।” তাঁর এই জবাবে আল্লাহ তাআলা অসন্তুষ্ট হন। কেননা, তিনি এর সঠিক জ্ঞান আল্লাহ তাআলার দিকে ফিরিয়ে দেন নাই। তাতে রয়েছে যে, হযরত মূসা (আঃ) লক্ষণ দেখতে চাইলে আল্লাহ তাআলা তাঁকে বলেনঃ “একটি মরা মাছ তোমার সাথে রাখো। যেখানে মাছটি জীবিত হয়ে যাবে সেখানে তুমি ঐ জ্ঞানী ব্যক্তির সাক্ষাৎ পাবে।” মহান আল্লাহর এই নিদের্শ অনুযায়ী তিনি একটি মরা মাছ নিয়ে থলেতে রেখে দেন এবং স্বীয় সঙ্গীকে বলেনঃ “তোমার কাছে শুধু এটুকুই যে, যেখানে এই মাছটি তোমার নিকট থেকে চলে যাবে সেখানে আমাকে খবর দেবে।" তাঁর সঙ্গী বললেনঃ “এতো খুবই সহজ কাজ।” তাঁর নাম ছিল ইউশা ইবনু নূন (আঃ)। (আরবী) দ্বারা তাঁকেই বুঝানো হয়েছে।

ঐ দুই বুযর্গ ব্যক্তি একটি গাছের নীচে সিক্ত জায়গায় অবস্থান করছিলেন। হযরত মূসাকে (আঃ) ঘূমে ধরে বসে এবং হযরত ইউশা (আঃ) জেগে থাকেন। এমন সময় মাছটি লাফিয়ে ওঠে। তিনি মনে করেন যে, এখন তাকে জাগানো ঠিক নয়। ঐ হাদীসে এও রয়েছে যে, মাছটি পানিতে নেমে যাওয়ার সময় পানিতে যে সুড়ঙ্গ হয়েছিল সেটাকে হাদীসের বর্ণনাকারী হযরত আমর (রাঃ) নিজের বৃদ্ধাঙ্গুলী ও ওর পার্শ্ববর্তী দু’টি অঙ্গুলীকে বৃত্ত করে দেখিয়ে দেনঃ এই ভাবে হয়েছিল যেভাবে পাথরে হয়ে থাকে। ফিরবার পথে সমুদ্র তীরে বিছানো সবুজগদীর উপর হযরত খিয়রকে (আঃ) তিনি দেখতে পান। ঐ সময় তিনি গায়ে চাদর জড়িয়ে ছিলেন। হযরত মূসার (আঃ) সালামের পর তিনি কথা বলেন। ঐ হাদীসে এও রয়েছে যে, হযরত খ্যির (আঃ)। হযরত মূসাকে (আঃ) বলেছিলেনঃ “আপনার কাছে তো তাওরাত বিদ্যমান। রয়েছে এবং আকাশ থেকে আপনার নিকট ওয়াহী আসছে, এটা কি যথেষ্ট নয়? আমার জ্ঞান তো আপনার জন্যে উপযুক্ত নয় এবং আপনাকে জ্ঞান দত্রে যোগ্যতাও আমার নেই। তাতে আছে যে, নৌকাটির তক্তা ভেঙ্গে নিয়ে তাতে তিনি একটি তাঁত বেঁধে দেন। প্রথম বারের প্রশ্নটি হযরত মূসার (হঃ) ভুল বশতঃই ছিল। দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল শর্ত হিসেবে। আর তৃতীয় প্রশ্নটি তিনি পৃথক হয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইচ্ছা করেই করেছিলেন। তাতে আছ যে, যে ছেলেগুলি খেলা করছিল তাদের মধ্যে একটি ছেলে ছিল কাফির ও বুদ্ধিমান। তাকে হযরত খিযুর (আঃ) লটকিয়ে দিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। একটি কিরআতে (আরবী) ও রয়েছে। (আরবী) এর স্থলে (আরবী) ও আছে। ঐ অত্যাচারী বাদশাহর নাম ছিল হাদাদ ইবনু বাদাদ। যে ছেলেটিকে হত্যা করা হয়েছিল তার নাম ছিল হায়সূর। বর্ণিত আছে যে, ঐ ছেলেটির বিনিময়ে একটি মেয়ে দান করা হয়।

একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, হযরত মূসা (আঃ) ভাষণ দিচ্ছিলেন এবং সেই ভাষণে তিনি বলেছিলেনঃ “আল্লাহ তাআলাকে ও তাঁর আমরকে আমার চেয়ে বেশী কেউ জানে না (শেষ পর্যন্ত)।”

ঐ নাউফ ছিল হযরত কাবের (রাঃ) স্ত্রীর (পূর্ব স্বামীর) ছেলে। তার উক্তি এই যে, এই আয়াতে যে মূসার বর্ণনা দেয়া হয়েছে তিনি ছিলেন মূসা ইবনু মীশা। আর একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, হযরত মূসা (আঃ) মহান আল্লাহ্ব নিকট প্রার্থনা করেছিলেনঃ “হে আল্লাহ! আপনার বান্দাদের মধ্যে আমার চেয়ে বড় আলেম কেউ যদি থেকে থাকেন তবে আমাকে অবহিত করুন।” ঐ। হাদীসে আছে যে, লবণ মাখানো মাছ তিনি নিজের সঙ্গে রেখেছিলেন। তাতে রয়েছে যে, হযরত খির (আঃ) হযরত মূসাকে (আঃ) বলেছিলেনঃ “আপনি এখানে কেন এসেছেন? বাণী ইসরাঈলের ব্যাপারেই তো আপনার ব্যস্ততা রয়েছে?” তাতে আছে যে, গুপ্ত কথা হযরত খিয়রকে (আঃ) জানানো হতো। তাই, তিনি হযরত মূসাকে (আঃ) বলেছিলেনঃ “আপনি আমার কাছে থাকতে পারেন না। কেননা, আপনি তো বাহ্যিক বিষয় দেখেই ফায়সালা করবেন। আর আমি গুপ্ত রহস্য সম্পর্কে অবহিত রয়েছি।” সুতরাং তিনি হযরত মূসার (আঃ) সঙ্গে শর্ত করলেনঃ “উল্টো যা কিছুই আপনি দেখুন না কেন, কিছুই বলতে পারেন না যে পর্যন্ত না আমি বলে দেই।” বর্ণিত আছে যে, যে নৌকায় তারা আরোহণ করেছিলেন ঐ নৌকাটি ছিল সবচেয়ে দৃঢ়, উত্তম ও সুন্দর। যে শিশুটিকে তিনি হত্যা করেছিলেন সে ছিল অতুলনীয় শিশু। দেখতে ছিল খুবই সুন্দর এবং খুবই বুদ্ধিমানও ছিল। হযরত খ্যির (আঃ) তাকে ধরে পাথরে তার মাথা কুচলিয়ে দিয়ে হত্যা করেন। এ দেখে হযরত মূসা (আঃ) আল্লাহর ভয়ে প্রকম্পিত হন যে, এমন একটি নিস্পাপ শিশুকে বিনা কারণে হযরত খি (আঃ) নির্মমভাবে হত্যা করলেন। পতনোন্মুখ প্রাচীরটিকে দেখে হযরত খির (আঃ) থমকে দাড়ান। প্রথমে ওটাকে নিয়মিতভাবে ফেলে দেন। তারপর সুন্দরভাবে ওটাকে তৈরী করে দেন। এতে হযরত মূসা (আঃ) বিরক্তি প্রকাশ করেন, এই ভেবে যে, এটা যেন নিজের খেয়ে অপরের মহিষ চরানোরই নামান্তর। হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, ঐ দেয়ালের নীচের গুপ্তধন ছিল শুধু ইলম।

আর একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, যখন হযরত মূসা (আঃ) ও তার কওম মিসরের উপর জয়যুক্ত হন তখন তারা এখানে এসে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকেন। তখন হযরত মূসাকে (আঃ) আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেনঃ “তোমার কওমকে আল্লাহর নিয়ামত সমূহ স্মরণ করিয়ে দাও।" এই নিদের্শ অনুযায়ী হযরত মূসা (আঃ) ভাষণ দেয়ার জন্যে দাড়িয়ে যান এবং তাঁর কওমের সামনে মহান আল্লাহর নিয়ামতরাজির বর্ণনা শুরু করে দেন। তিনি তাদেরকে সম্বোধন করে বলেনঃ “ আল্লাহ তাআ'লা তোমাদেরকে এই নিয়ামত দান করেছেন। ফিরাউন ও তার লোক লস্কর থেকে তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন এবং তোমাদের ঐ শত্রুদেরকে পানিতে নিমজ্জিত করেছেন। তরিপর তোমাদেরকে তাদের যমীনের মালিক বানিয়েছেন। তোমাদের বীর সাথে তিনি কথা বলেছেন এবং তাঁকে নিজের জন্যে পছন্দ করেছেন। তিনি তোমাদের সমস্ত প্রয়োজন মিটিয়েছেন। তোমাদের নবী সমস্ত দুনিয়াবাসী। হতে উত্তম।" মোট কথা, বেশ জোরে শোরে আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতরাজি তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেন। তখন বাণী ইসরাঈলের একজন লোক তাকে বলেঃ “আপনি সবই সত্য কথাই বললেন। হে নবী (আঃ)! দুনিয়ায় আপনার চেয়ে বড় আলেম আর কেউ আছে কি?” তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলে ফেলেনঃ “না।” তৎক্ষণাৎ আল্লাহ তাআলা হযরত জিবরাঈলকে (আঃ) তাঁর কাছে পাঠিয়ে দেন এবং তার মাধ্যমে বলেনঃ “হে মূসা (আঃ)! আমি আমার ইলম কোথায় কোথায় রাখি তা তুমি জান কি? নিশ্চয়ই সমুদ্রের ধারে একজন লোক রয়েছে যে তোমার চেয়েও বড় আলেম।" হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ এর দ্বারা হযরত খিকে (আঃ) বুঝানো হয়েছে। হযরত মূসা (আঃ) তখন আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করেনঃ “হে আল্লাহ আমি তাকে দেখতে চাই।" তার কাছে ওয়াহী আসলোঃ “তুমি সমুদ্রের ধারে চলে যাও। সেখানে একটা মাছ পাবে তা তুমি নিয়ে নেবে। ঐ মাছটি তুমি তোমার সঙ্গীর কাছে সমর্পণ করবে। তারপর সমুদ্রের ধার দিয়ে চলতে থাকবে। যেখানে তুমি মাছটিকে ভুলে যাবে এবং ওটা তোমার নিকট থেকে হারিয়ে যাবে সেখানে তুমি আমার ঐ বান্দাকে পাবে।” হযরত মূসা (আঃ) চলতে চলতে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়লেন তখন তিনি তার গোলাম সঙ্গীটিকে মাছের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। সে উত্তরে বললোঃ “যে পথরের কাছে আমরা বিশ্রাম নিচ্ছিলাম সেখানে আমি মাছটির কথা ভুলে গিয়েছিলাম এবং আপনার কাছে ওটা বর্ণনা করা হতেও শয়তান আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল। আমি দেখলাম যে, মাছটি যেন সুড়ঙ্গ বানিয়ে নিয়ে সমুদ্রে গমন করছিল।" হযরত মূসা (আঃ) একথা শুনে খুবই বিস্মিত হন। ফিরে গিয়ে যখন সেখানে পৌঁছেন তখন দেখতে পান যে, মাছটি পানির মধ্যে যেতে শুরু করেছে। হযরত মূসা (আঃ) স্বীয় লাঠি দ্বারা পানি ফেড়ে ফেড়ে মাছটির পিছনে পিছনে চলতে থাকেন। মাছটি যেখান দিয়ে যাচ্ছিল সেখানকার দুদিকের পানি পাথরে পরিণত হচ্ছিল। এটা দেখেও আল্লাহর নবী (আঃ) অত্যন্ত আশ্চর্যান্বিত হন। মাছটি তাকে একটি উপদ্বীপে নিয়ে যায় (শেষ পর্যন্ত)।

হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) ও হুররা ইবনু কায়েসের মধ্যে মতানৈক্য ছিল যে, মূসার (আঃ) ঐ (শিক্ষাদাতা) সঙ্গীটি কে ছিলেন?" হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলতেন যে, তিনি ছিলেন হযরত খিষ্যর (আঃ)। ঐ সময়েই হযরত উবাই ইবনু কা'ব (রাঃ) তাঁর পার্শ্ব দিয়ে গমন করেন। হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) তাঁকে ডেকে নিয়ে তাদের মতানৈক্যের কথা বলেন। তিনি তখন রাসূলুল্লাহর (সঃ) মুখে শোনা হাদীসটি বর্ণনা করেন যা উপরে বর্ণিত হাদীসটির প্রায় অনুরূপ। তাতে প্রশ্নকারী লোকটির প্রশ্নের ধারা ছিল নিম্নরূপঃ “ঐ ব্যক্তির অস্তিত্বও কি আপনার জানা আছে যে আপনার চেয়েও বেশী জ্ঞানী?”

Quran Mazid
go_to_top
Quran Mazid
Surah
Juz
Page
1
Al-Fatihah
The Opener
001
2
Al-Baqarah
The Cow
002
3
Ali 'Imran
Family of Imran
003
4
An-Nisa
The Women
004
5
Al-Ma'idah
The Table Spread
005
6
Al-An'am
The Cattle
006
7
Al-A'raf
The Heights
007
8
Al-Anfal
The Spoils of War
008
9
At-Tawbah
The Repentance
009
10
Yunus
Jonah
010
11
Hud
Hud
011
12
Yusuf
Joseph
012
13
Ar-Ra'd
The Thunder
013
14
Ibrahim
Abraham
014
15
Al-Hijr
The Rocky Tract
015
16
An-Nahl
The Bee
016
17
Al-Isra
The Night Journey
017
18
Al-Kahf
The Cave
018
19
Maryam
Mary
019
20
Taha
Ta-Ha
020
21
Al-Anbya
The Prophets
021
22
Al-Hajj
The Pilgrimage
022
23
Al-Mu'minun
The Believers
023
24
An-Nur
The Light
024
25
Al-Furqan
The Criterion
025
26
Ash-Shu'ara
The Poets
026
27
An-Naml
The Ant
027
28
Al-Qasas
The Stories
028
29
Al-'Ankabut
The Spider
029
30
Ar-Rum
The Romans
030
31
Luqman
Luqman
031
32
As-Sajdah
The Prostration
032
33
Al-Ahzab
The Combined Forces
033
34
Saba
Sheba
034
35
Fatir
Originator
035
36
Ya-Sin
Ya Sin
036
37
As-Saffat
Those who set the Ranks
037
38
Sad
The Letter "Saad"
038
39
Az-Zumar
The Troops
039
40
Ghafir
The Forgiver
040
41
Fussilat
Explained in Detail
041
42
Ash-Shuraa
The Consultation
042
43
Az-Zukhruf
The Ornaments of Gold
043
44
Ad-Dukhan
The Smoke
044
45
Al-Jathiyah
The Crouching
045
46
Al-Ahqaf
The Wind-Curved Sandhills
046
47
Muhammad
Muhammad
047
48
Al-Fath
The Victory
048
49
Al-Hujurat
The Rooms
049
50
Qaf
The Letter "Qaf"
050
51
Adh-Dhariyat
The Winnowing Winds
051
52
At-Tur
The Mount
052
53
An-Najm
The Star
053
54
Al-Qamar
The Moon
054
55
Ar-Rahman
The Beneficent
055
56
Al-Waqi'ah
The Inevitable
056
57
Al-Hadid
The Iron
057
58
Al-Mujadila
The Pleading Woman
058
59
Al-Hashr
The Exile
059
60
Al-Mumtahanah
She that is to be examined
060
61
As-Saf
The Ranks
061
62
Al-Jumu'ah
The Congregation, Friday
062
63
Al-Munafiqun
The Hypocrites
063
64
At-Taghabun
The Mutual Disillusion
064
65
At-Talaq
The Divorce
065
66
At-Tahrim
The Prohibition
066
67
Al-Mulk
The Sovereignty
067
68
Al-Qalam
The Pen
068
69
Al-Haqqah
The Reality
069
70
Al-Ma'arij
The Ascending Stairways
070
71
Nuh
Noah
071
72
Al-Jinn
The Jinn
072
73
Al-Muzzammil
The Enshrouded One
073
74
Al-Muddaththir
The Cloaked One
074
75
Al-Qiyamah
The Resurrection
075
76
Al-Insan
The Man
076
77
Al-Mursalat
The Emissaries
077
78
An-Naba
The Tidings
078
79
An-Nazi'at
Those who drag forth
079
80
Abasa
He Frowned
080
81
At-Takwir
The Overthrowing
081
82
Al-Infitar
The Cleaving
082
83
Al-Mutaffifin
The Defrauding
083
84
Al-Inshiqaq
The Sundering
084
85
Al-Buruj
The Mansions of the Stars
085
86
At-Tariq
The Nightcommer
086
87
Al-A'la
The Most High
087
88
Al-Ghashiyah
The Overwhelming
088
89
Al-Fajr
The Dawn
089
90
Al-Balad
The City
090
91
Ash-Shams
The Sun
091
92
Al-Layl
The Night
092
93
Ad-Duhaa
The Morning Hours
093
94
Ash-Sharh
The Relief
094
95
At-Tin
The Fig
095
96
Al-'Alaq
The Clot
096
97
Al-Qadr
The Power
097
98
Al-Bayyinah
The Clear Proof
098
99
Az-Zalzalah
The Earthquake
099
100
Al-'Adiyat
The Courser
100
101
Al-Qari'ah
The Calamity
101
102
At-Takathur
The Rivalry in world increase
102
103
Al-'Asr
The Declining Day
103
104
Al-Humazah
The Traducer
104
105
Al-Fil
The Elephant
105
106
Quraysh
Quraysh
106
107
Al-Ma'un
The Small kindnesses
107
108
Al-Kawthar
The Abundance
108
109
Al-Kafirun
The Disbelievers
109
110
An-Nasr
The Divine Support
110
111
Al-Masad
The Palm Fiber
111
112
Al-Ikhlas
The Sincerity
112
113
Al-Falaq
The Daybreak
113
114
An-Nas
Mankind
114
Settings