Surah Al Kahf Tafseer
Tafseer of Al-Kahf : 51
Saheeh International
I did not make them witness to the creation of the heavens and the earth or to the creation of themselves, and I would not have taken the misguiders as assistants.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৫১-৫৩ নং আয়াতের তাফসীর:
প্রথম আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করছেন যে, তিনিই একমাত্র মা‘বূদ। তিনিই সকল ইবাদত পাওয়া হকদার। তিনি তখন থেকেই আছেন যখন কিছুই ছিল না, তিনি তখনও থাকবেন যখন কিছুই থাকবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলছেন: আকাশ-জমিন সৃষ্টি করার সময় শয়তান ও পথভ্রষ্টকারীদেরকে উপস্থিত রাখিনি যে, আমি তাদের থেকে সৃষ্টির কাজে সহযোগিতা নিব বা এ ব্যাপারে সাক্ষী থাকবে, এমনকি তাদেরকে সৃষ্টি করার ক্ষেত্রেও উপস্থিত রাখিনি।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(هٰذَا خَلْقُ اللّٰهِ فَأَرُوْنِيْ مَاذَا خَلَقَ الَّذِيْنَ مِنْ دُوْنِه۪ ط بَلِ الظَّالِمُوْنَ فِيْ ضَلَالٍ مُّبِيْنٍ)
“এগুলো আল্লাহর সৃষ্টি। তোমরা আমাকে দেখাও, তিনি ছাড়া অন্যেরা কী সৃষ্টি করেছে। বরং জালিমরা রয়েছে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায়।” (সূরা লুকমান ৩১:১১)
মুশরিকদেরকে কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন: তোমরা যাদের সহযোগিতা ও সুপারিশ পাওয়ার আশায় আমার সাথে অংশীদার বানিয়েছিলে তাদেরকে আহ্বান কর। তারা আল্লাহ তা‘আলার কথা মত আহ্বান করবে কিন্তু তারা তাদের আহ্বানে সাড়া দেবে না বরং তাদের থেকে উধাও হয়ে যাবে। কারণ সেদিন তাদের কোন ক্ষমতা থাকবে না, বরং সকল ক্ষমতা আল্লাহ তা‘আলার হাতে থাকবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন “এবং সেদিন তিনি তাদেরকে আহ্বান করে বলবেন: ‘তোমরা যাদেরকে আমার শরীক গণ্য করতে, তারা কোথায়?’ যাদের জন্য শাস্তি অবধারিত হয়েছে তারা বলবে: হে আমাদের প্রতিপালক এদেরকেই আমরা বিভ্রান্ত করেছিলাম; এদেরকে বিভ্রান্ত করেছিলাম যেমন আমরাও বিভ্রান্ত হয়েছিলাম; আপনার সমীপে আমরা দায়িত্ব হতে সম্পর্কহীনতা ঘোষণা করছি। এরা আমাদের ‘ইবাদত করত না।’’ (সূরা ক্বাসাস ২৮:৬২-৬৪)
عَضُدًا সাহায্যকারী, কারো দ্বারা সহযোগিতা নেয়া।
مَّوْبِقًا অর্থ ধ্বংস হওয়া, অর্থাৎ মুশরিক ও তাদের বানানো মা‘বূদ আলাদা হয়ে যাবে, মুশরিকরা যে তাদের ইবাদত করত তারা সে ইবাদত অস্বীকার করবে। ফলে সবাই জাহান্নামের আগুনে পতিত হবে। তারা সেই জাহান্নামের আগুন থেকে কোন পরিত্রাণ পাবে না। সুতরাং যারা ভ্রান্ত তারা তথায় কঠিন শাস্তি ভোগ করবে। আর তাদের সেই শাস্তি একটুও কমানো হবে না। কারণ, তারা আল্লাহ তা‘আলার বিধানের নাফরমানী করেছিল এবং তাঁর শরীক স্থাপন করেছিল।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আকাশ ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা একমাত্র আল্লাহ, কেউ আল্লাহর সাথে সহযোগিতা করেনি।
২. আল্লাহ তা‘আলা কোন অন্যায়কারীকে সাহায্য করেন না।
৩. দুনিয়ায় যারা আল্লাহ তা‘আলার পরিবর্তে অন্যদেরকে আহ্বান করত সে সকল নেতারা কিয়ামতের দিন তাদের আহ্বানকারীদের ডাকে সাড়া দেবে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings