Surah Al Kahf Tafseer
Tafseer of Al-Kahf : 31
Saheeh International
Those will have gardens of perpetual residence; beneath them rivers will flow. They will be adorned therein with bracelets of gold and will wear green garments of fine silk and brocade, reclining therein on adorned couches. Excellent is the reward, and good is the resting place.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৭-৩১ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা গুহাবাসীর ঘটনা বর্ণনা করার পর তাঁর রাসূলকে নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি যেন তাঁর প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা তেলাওয়াত করেন। এখানে তেলাওয়াতের অর্থ হল ওয়াহী অনুসরণ করা, আদেশ-নিষেধগুলো পালন করা। আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(اِتَّبِعْ مَآ أُوْحِيَ إِلَيْكَ مِنْ رَّبِّكَ ج لَآ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ ج وَأَعْرِضْ عَنِ الْمُشْرِكِيْنَ)
“তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে তোমার প্রতি যা ওয়াহী হয় তুমি তারই অনুসরণ কর, তিনি ব্যতীত অন্য কোন সত্যিকার ইলাহ নেই এবং মুশরিকদের হতে মুখ ফিরিয়ে নাও।” (সূরা আনয়াম ৬:১০৬)
আল্লাহ তা‘আলার বাণীর পরিবর্তন করার মত কেউ নেই। কেননা আল্লাহ তা‘আলার এই বাণী বা নির্দেশ সত্য ও ন্যায়সঙ্গত। এতে কোন প্রকার মিথ্যা বা বাতিল কোন কিছুর নির্দেশ প্রদান করা হয়নি। যার ফলে এ বাণী সুপ্রতিষ্ঠিত ও অপরিবর্তনীয়। সুতরাং যদি কেউ তা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে তাহলে আল্লাহ তা‘আলার পাকড়াও থেকে কেউ তাকে রক্ষা করতে পারবে না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা ই হলেন একমাত্র আশ্রয় দাতা, তিনি ছাড়া আর কোন আশ্রয়দাতা নেই।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্বোধন করে সকলকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। তাদের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখ যারা সকাল-সন্ধ্যা নিজেকে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতে মগ্ন রাখে। তারা আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করে। আর তাদের সঙ্গ বর্জন করে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে দুনিয়ার সৌন্দর্যের প্রতি দৃষ্টিপাত কর না।
যেমন আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(وَلَا تَطْرُدِ الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَدٰوةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيْدُوْنَ وَجْهَه۫ ط مَا عَلَيْكَ مِنْ حِسَابِهِمْ مِّنْ شَيْءٍ وَّمَا مِنْ حِسَابِكَ عَلَيْهِمْ مِّنْ شَيْءٍ فَتَطْرُدَهُمْ فَتَكُوْنَ مِنَ الظّٰلِمِيْنَ)
“যারা তাদের প্রতিপালককে সকালে ও সন্ধ্যায় তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ডাকে তাদেরকে তুমি বিতাড়িত কর না। তাদের কর্মের জবাবদিহির দায়িত্ব তোমার নয় এবং তোমার কোন কর্মের জবাবদিহির দায়িত্ব তাদের নয় যে, তুমি তাদেরকে বিতাড়িত করবে; করলে তুমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা আন‘আম ৬:৫২)
তাই সর্বদা সৎ লোকদের সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করতে হবে, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে।
কেননা যারা কুফরী করবে তারা আখিরাতে নাজাত লাভ করবে না। তারা তথায় আগুনের মধ্যে কঠিন শাস্তি ভোগ করবে। আর তথায় পানীয় হিসেবে তাদেরকে দেয়া হবে গলিত ধাতুর ন্যায় পানীয়। যেমনটি সূরা ইউনুসে আলোচনা করা হয়েছে।
আর যারা ভাল কাজ করবে ও ঈমান আনবে তারা নহরসমূহ প্রবাহিত চিরস্থায়ী জান্নাতে বসবাস করবে। তারা তথায় স্বর্ণের কংকন দ্বারা অলংকৃত হবে এবং তারা পরিধান করবে সূক্ষ্ম ও স্থ’ুল রেশমের সবুজ বস্ত্র ও সমাসীন হবে সুসজ্জিত আসনে। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আলোচনা আসবে সূরা গাশিয়ায় ইনশা-আল্লাহ তা‘আলা।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষের মাঝে দীনি তাবলীগ করতে হবে তবে বৈধ পন্থায়, অবৈধ পন্থায় নয়।
২. নিজেকে সৎ লোকদের সংস্পর্শে রাখতে হবে।
৩. যারা অসৎ লোক তাদের অনুসরণ করা যাবে না।
৪. যারা কুফরী করবে তারা জাহান্নামে যাবে আর যারা ভাল কাজ করবে তারা জান্নাতে যাবে এবং সেখানে অফুরন্ত নেয়ামত লাভ করে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings