Surah Al Kahf Tafseer
Tafseer of Al-Kahf : 24
Saheeh International
Except [when adding], "If Allah wills." And remember your Lord when you forget [it] and say, "Perhaps my Lord will guide me to what is nearer than this to right conduct."
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
২৩-২৪ নং আয়াতের তাফসীর:
মহামহিমান্বিত আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে (সঃ) নির্দেশ দিচ্ছেনঃ যে কাজ তুমি কাল করতে চাও ঐ ব্যাপারে তুমি বলো না? আমি কাল এটা করবো। বরং এর সাথে ইনশা আল্লাহ বলো। কেননা, কাল কি হবে, তার জ্ঞান শুধু আল্লাহ তাআলারই রয়েছে। একমাত্র তিনিই ভবিষ্যতের খবর রাখেন এবং সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান একমাত্র তিনিই। সুতরাং তারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করো।
বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “হযরত সুলাইমান ইবনু দাউদের (আঃ) নব্বইটি স্ত্রী ছিল। একটি রিওয়াইয়াতে একশ' টি এবং অন্য একটি রিওয়াইয়াতে বাহাত্তরটির কথা রয়েছে। তিনি একদা বলেনঃ “আজ রাত্রে আমি আমার সমস্ত স্ত্রীর কাছে যাবো (তাদের সাথে সহবাস করবো) প্রত্যেক স্ত্রীর সন্তান হবে এবং তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে।” ঐ সময় ফেরেশতা তাঁকে বলেছিলেনঃ “ইনশা আল্লাহ বলুন।” কিন্তু তিনি তা না বলে নিজের ইচ্ছানুযায়ী ঐ সব স্ত্রীর নিকট গমন করেন। কিন্তু একটি স্ত্রী ছাড়া আর কারো সন্তান হয় নাই। যার সন্তান হয় সেই সন্তানটিও আবার অর্ধ দেহ বিশিষ্ট ছিল। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “যে আল্লাহর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে তাঁর শপথ! যদি হযরত সুলাইমান (আঃ) ঐ সময় “ইনশা আল্লাহ' বলতেন, তবে তাঁর মনোবাসনাপূর্ণ হতো এবং তার প্রয়োজনও পুরো হয়ে যেতো। তাঁর ঐ সব সন্তান যুবক হয়ে আল্লাহর পথের মুজাহিদ হয়ে যেতো।" (এ হাদীসটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে)
এই সূরার তাফসীরের শুরুতেই এই আয়াতের শানে নুযুল বর্ণিত হয়েছে যে, যখন রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) আসহাবে কাহফের ঘটনা জিজ্ঞেস করা হয়, তখন তিনি তাদেরকে বলেছিলেনঃ “আগামীকাল আমি তোমাদেরকে এর উত্তর দেবো।” কিন্তু তিনি ইনশা আল্লাহ বলেন নাই। এরপর পনেরো দিন পর্যন্ত তার উপর কোন ওয়াহী অবতীর্ণ হয় নাই। এই হাদীসটিকে আমরা এই সূরার তাফসীরের শুরুতে পূর্ণভাবে বর্ণনা করেছি। সুতরাং এখানে পুনরাবৃত্তির কোন প্রয়োজন নেই।
এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ “যখন তুমি ভুলে যাবে তখন আল্লাহকে স্মরণ করবে। অর্থাৎ যদি যথাস্থানে ইনশা আল্লাহ বলতে ভুলে যাও তবে যখনই স্মরণ হবে তখনই ইনশা আল্লাহ বলবে।”
হযরত ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, কেউ যদি কোন বিষয়ে শপথ। করার সময় ইনশা আল্লাহ বলতে ভুলে যায়, তবে পরেও তার ইনশা আল্লাহ বলে নেয়ার অধিকার রয়েছে। যদিও এক বছর অতিবাহিত হয়ে যায়। ভাবার্থ এই যে, কেউ যদি তার কথায় বা কসমে ইনশা আল্লাহ বলতে ভুলে যায়, তবে যখনই স্মরণ হবে তখনই ইনশা আল্লাহ বলে নেবে; যদিও বহু দিন অতীত হয়ে যায় বা এর বিপরীতও ঘটে যায়। এর ভাবার্থ এটা নয় যে, তখন তার কসমের কাফফারা থাকবে না এবং তার ঐ কসম ভেঙ্গে দেয়ার অধিকার থাকবে। ইমাম ইবনু জারীর (রঃ) এই উক্তির ভাবার্থ এটাই বর্ণনা করেছেন এবং এটা সঠিকও বটে। এরই উপর হযরত ইবনু আব্বাসের (রাঃ) উক্তি স্থাপন করা যেতে পারে। তার থেকে এবং মুজাহিদ (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, এর দ্বারা ইনশা আল্লাহ বলতে ভুলে যাওয়াই বুঝানো হয়েছে। অন্য রিওয়াইয়াতে এরপরে এও রয়েছে যে, এটা রাসুলুল্লাহর (সঃ) সাথেই। খস। অন্য কেউ যদি তার কসমের সাথে ইনশা আল্লাহ বলে তবেই সেটা ধর্তব্য হবে। এর এটাও একটা ভাবার্থঃ যদি কোন কথা ভুলে যাও তবে আল্লাহকে স্মরণ করো। কেননা, ভুলে যাওয়া শয়তানী ক্রিয়া, আর আল্লাহর যির স্মরণে আসার মাধ্যম।
তারপর মহান আল্লাহ বলেনঃ তোমাকে যদি এমন কোন প্রশ্ন করা হয়, যা তোমার জানা নেই, তবে তুমি তা আল্লাহকেই জিজ্ঞেস করো এবং তাঁর দিকেই মনোনিবেশ কর, যাতে তিনি তোমাকে সঠিক কথা বলে দেন এবং হিদায়াত লাভের পথ বাতলিয়ে দেন। এ ব্যাপারে আরো বহু উক্তি রয়েছে। এ সব ব্যাপারে একমাত্র আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings