Surah Al Isra Tafseer
Tafseer of Al-Isra : 71
Saheeh International
[Mention, O Muhammad], the Day We will call forth every people with their record [of deeds]. Then whoever is given his record in his right hand - those will read their records, and injustice will not be done to them, [even] as much as a thread [inside the date seed].
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৭১-৭২ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাদের নেতাদের সাথে আহ্বান করবেন। এখানে নেতা বলতে কী উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে নিম্নে উল্লেখ করা হল।
কেউ কেউ বলেন, এখানে ইমাম বা নেতা বলতে রাসূলদেরকে উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেক উম্মতকে তাদের নাবীদের সাথে ডাকা হবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلِكُلِّ أُمَّةٍ رَّسُوْلٌ ج فَإِذَا جَا۬ءَ رَسُوْلُهُمْ قُضِيَ بَيْنَهُمْ بِالْقِسْطِ وَهُمْ لَا يُظْلَمُوْنَ)
“প্রত্যেক জাতির জন্য (পাঠানো হয়েছে) একজন রাসূল এবং যখন তাদের রাসূল এসেছে তখন ন্যায়বিচারের সাথে তাদের মীমাংসা হয়েছে এবং তাদের প্রতি জুলুম করা হয়নি।” (সূরা ইউনুস ১২:৪৭)
এ সম্পর্কে সূরা যুমার ৬৯ নং আয়াতে উল্লেখ রয়েছে।
কারো মতে এখানে ইমাম বা নেতা বলতে আসমানী কিতাব বুঝানো হয়েছে। যা তাদের নাবীদের ওপর অবতীর্ণ করা হয়েছে। অর্থাৎ হে তাওরাতধারী! হে ইঞ্জিলধারী! হে কুরআনধারী! ইত্যাদি বলে ডাকা হবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَتَرٰی کُلَّ اُمَّةٍ جَاثِیَةً ﺨ کُلُّ اُمَّةٍ تُدْعٰٓی اِلٰی کِتٰبِھَاﺚ اَلْیَوْمَ تُجْزَوْنَ مَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَﭫ)
“এবং প্রত্যেক সম্পদায়কে দেখবে (ভয়ে) নতজানু, প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তার কিতাবের প্রতি আহ্বান করা হবে, আজ তোমাদেরকে তারই বিনিময় দেয়া হবে যা তোমরা করতে।” (সূরা জাসিয়া ৪৫:২৮)
আবার কারো মতে ‘ইমাম’ দ্বারা এখানে আমলের কিতাব। তাদের দলীল, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَأَمَّا مَنْ أُوْتِيَ كِتٰبَه۫ بِيَمِيْنِه۪ لا فَيَقُوْلُ هَآؤُمُ اقْرَئُوْا كِتٰبِيَهْ)
“অতঃপর যার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে, সে বলবে: নাও, আমার আমলনামা পড়ে দেখো; (সূরা হাক্বাহ ৬৯:১৯)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنٰهُ فِيْٓ إِمَامٍ مُّبِيْنٍ)
আমি প্রত্যেক বস্তু স্পষ্ট কিতাবে হিফাযত করে রেখেছি। (সূরা ইয়াসিন ৩৬:১৩)
তবে এখানে ইমাম বলতে আমলনামাকে বুঝানো হয়েছে, এটাই সঠিক। (আযওয়াউল বায়ান, অত্র আয়াতের তাফসীর)
পরবর্তী আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যে লোক ইহকালে অন্ধ সে আখিরাতেও অন্ধ। এখানে অন্ধ বলতে দুনিয়াতে যে চোখে দেখে না তাকে বুঝানো হয়নি, বরং যে সত্য জিনিস দেখেও দেখে না, বুঝেও বুঝে না তারা আখিরাতে অন্ধ হবে। তারা বলবে, হে আল্লাহ তা‘আলা! আমাদেরকে অন্ধ করে হাশর করলেন কেন?
আল্লাহ তা‘আলা বলবেন:
(قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرْتَنِيْٓ أَعْمٰي وَقَدْ كُنْتُ بَصِيْرًا - قَالَ كَذٰلِكَ أَتَتْكَ اٰيٰتُنَا فَنَسِيْتَهَا ج وَكَذٰلِكَ الْيَوْمَ تُنْسٰي)
“সে বলবে: ‘হে আমার প্রতিপালক! কেন আমাকে অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করলে? আমি তো ছিলাম চক্ষুষ্মান।’
আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ‘এরূপই আমার নিদর্শনাবলী তোমার নিকট এসেছিল, কিন্তু তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে এবং সেভাবে আজ তোমাকেও ভুলে যাওয়া হচ্ছে।’’ (সূরা ত্বা-হা- ২০:১২৫)
সুতরাং যারা দুনিয়াতে সত্য বিমুখ হবে আখিরাতে তাদের এ শাস্তি দেয়া হবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষকে মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করা হবে।
২. প্রত্যেক জাতিকে তাদের নেতাদের সাথে ডাকা হবে।
৩. কিয়ামতের দিন কারো প্রতি কোন জুলুম, অত্যাচার করা হবে না, প্রত্যেককে উপযুক্ত প্রতিদান দেয়া হবে।
৪. যারা দুনিয়াতে সত্য বিমুখ তারা আখিরাতেও সত্য থেকে বিমুখ হবে এবং অন্ধ অবস্থায় উঠবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings