Surah Al Isra Tafseer
Tafseer of Al-Isra : 65
Saheeh International
Indeed, over My [believing] servants there is for you no authority. And sufficient is your Lord as Disposer of affairs.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
৬৩-৬৫ নং আয়াতের তাফসীর
ইবলীস আল্লাহ তাআলার কাছে অবকাশ চায়, তিনি তা মঞ্জুর করে নেন। ইরশাদ হয়ঃ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তোকে অবকাশ দেয়া হলো। তোর ও তোর অনুসারীদের দুষ্কর্যের প্রতিফল হচ্ছে জাহান্নাম, যা পূর্ণ শাস্তি। তোর আহবান দ্বারা তুই যাকে পারিস বিভ্রান্ত কর অর্থাৎ গান, তামাশা দ্বারা তাদেরকে বিপথগামী করতে থাক। যে কোন শব্দ আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতার দিকে আহ্বান করে সেটাই শয়তানী শব্দ। অনুরূপভাবে তুই তোর পদাতিক ও অশ্বারোহী বাহিনী দ্বারা যার উপর পারিস আক্রমণ চালা। শব্দটি শব্দের বহুবচন। যেমন শব্দের বহুবচন এবং শব্দের বহু বচন এসে থাকে। ভাবার্থ হচ্ছেঃ হে শয়তান! তোর সাধ্যমত তুই তাদের উপর তোর আধিপত্য ও ক্ষমতা প্রয়োগ কর। এটা হলো আমরে কী, নিদের্শ সূচক আমর নয়। শয়তানদের অভ্যাস এটাই যে, তারা আল্লাহর বান্দাদেরকে উত্তেজিত ও বিভ্রান্ত করতে থাকে। তাদেরকে পাপকার্যে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতার কাজে যে ব্যক্তি সওয়ারীর উপর চলে বা পদব্রজে চলে সে শয়তানের সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত। এইরূপ মানবও রয়েছে এবং দানবও রয়েছে; যারা শয়তানের অনুগত। যখন কারো উপর শব্দ উঠানো হয় বা কাউকে আহবান করা হয় তখন আরববাসী বলেঃ (আরবি) অর্থাৎ অমুক ব্যক্তি অমুক ব্যক্তিকে সশব্দে আহবান করেছে। আল্লাহ তাআলার এই নিদের্শ এখানে এই অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। এটা ঘোড়া দৌড়ের ‘জালব’ নয়। ওটাও এর থেকেই নির্গত হয়েছে (আরবি) শব্দটিও এর থেকেই বের হয়েছে। অর্থাৎ শব্দ উচ্চ হওয়া।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ হে ইবলীস! তুই তাদের ধন-মালে ও সন্তানসন্ততিতেও শরীক থাক। অর্থাৎ তুই তাদেরকে তাদের মাল আল্লাহর অবাধ্যতার কাজে খরচ করাতে থাক। যেমন তারা সূদ খাবে, হারাম উপায়ে মাল জমা করবে এবং হারাম কাজে তা ব্যয় করবে। হালাল জন্তুগুলিকে তারা হারাম করে নেবে ইত্যাদি। আর সন্তান সন্ততিতে তার শরীক হওয়ার অর্থ হলোঃ যেমন ব্যভিচারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম হওয়া, বাল্যকালে অজ্ঞতা বশতঃ পিতা-মাতারা তাদের সন্তানকে জীবন্ত প্রোথিত করা, তাদের ইয়াহূদী, খৃস্টান, মাজুসী ইত্যাদি বানিয়ে দেয় সন্তানদের নাম আবদুল হারিস, আবদুশশামস, আবদে ফুলান (অমুকের দাস) ইত্যাদি রাখা। মোট কথা, যে কোন ভাবে শয়তানকে তাতে সঙ্গী করে নিলো। এটাই হচ্ছে সন্তান-সন্ততিতে শয়তানের শরীক হওয়া।
সহীহ মুসিলমে বর্ণিত আছে যে, মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “আমি আমার বন্দাদেরকে একনিষ্ঠ একত্ববাদী করে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর শয়তান এসে তাদেরকে বিভ্রান্ত করে দেয় এবং হালাল জিনিসগুলিকে তারা হারাম বানিয়ে নেয়।
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের কেউ যখন তার স্ত্রীর কাছে যাওয়ার ইচ্ছা করবে তখন যেন সে পাঠ করেঃ (আরবি) অর্থাৎ “হে আল্লাহ! আমাদেরকে আপনি শয়তান হতে রক্ষা করুন এবং তাকেও শয়তান হতে রক্ষা করুন যা আপনি আমাদেরকে দান করবেন।” এর ফলে যদি কোন সন্তান আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে টিকে যায়, তবে শয়তান কখনো তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।”
এরপর আল্লাহ তাআলা বলেনঃ হে শয়তান! যা, তুই তাদেরকে মিথ্যা ওয়াদা-অঙ্গীকার দিতে থাক। কিয়ামতের দিন এই শয়তান তার অনুসারীদেরকে বলবেঃ “আল্লাহ তাআলার ওয়াদা ছিল সব সত্য, আর আমার ওয়াদা ছিল সব মিথ্যা।” তারপর মহান আল্লাহ বলেনঃ “আমীর মু'মিন বান্দারা আমার রক্ষণাবেক্ষণে রয়েছে। আমি তাদেরকে বিতাড়িত শয়তান হতে রক্ষা করতে। থাকবো। আল্লাহর কর্মবিধান, তাঁর হিফাযত, তাঁর সাহায্য এবং তার পৃষ্ঠপোষকতা তাঁর মুমিন বান্দাদের জন্যে যথেষ্ট।
মুসনাদে আহমাদে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ ‘মু'মিন শয়তানকে এমনভাবে আয়ত্তাধীন করে ফেলে যেমন কেউ কোন জন্তুকে লাগাম লাগিয়ে দিয়ে আয়ত্তাধীন করে থাকে।”
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings