Surah Al Isra Tafseer
Tafseer of Al-Isra : 54
Saheeh International
Your Lord is most knowing of you. If He wills, He will have mercy upon you; or if He wills, He will punish you. And We have not sent you, [O Muhammad], over them as a manager.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
৫৪-৫৫ নং আয়াতের তাফসীর
মহামহিমান্বিত আল্লাহ স্বীয় নবী (সঃ) ও মু'মিনদেরকে সম্বোধন করে বলেনঃ তোমাদের মধ্যে কারা হিদায়াত লাভের যোগ্য তা তোমাদের প্রতিপালক ভালভাবেই জানেন। তিনি যার উপর চান দয়া করে থাকেন, নিজের আনুগত্যের তাওফীক দেন এবং নিজের দিকে আকৃষ্ট করেন। পক্ষান্তরে যাকে চান দুষ্কর্যের উপর পাকড়াও করেন এবং শাস্তি দেন। হে নবী (সঃ)! তোমার প্রতিপালক তোমাকে তাদের উপর দায়িত্বশীল করেন নাই। তোমার কাজ হচ্ছে শুধু তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া। যারা তোমাকে মেনে চলবে তারা। জান্নাতে যাবে এবং যারা মানবে না তারা জাহান্নামী হবে। তোমার প্রতিপালক যমীন ও আসমানের সমস্ত দানব, মানব ও ফেরেশতার খবর রাখেন এবং প্রত্যেকের মর্যাদা সম্পর্কেও তিনি পূর্ণ ওয়াকিফহাল। তিনি একজনকে অপরজনের উপর মর্যাদা দান করেছেন। মর্যাদার দিক দিয়ে নবীদের মধ্যে শ্রেণী বিন্যাস রয়েছে। কেউ আল্লাহর সাথে কথা বলেছেন এবং কারো অন্য দিক দিয়ে মর্যাদা রয়েছে। একটি হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমরা আমাকে নবীদের উপর ফযীলত দিয়ো না।” এর উদ্দেশ্য হচ্ছেঃ শুধু গোড়ামীর কারণে ফযীলত কায়েম করা। এর দ্বারা কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত ফযীলত অস্বীকার করা উদ্দেশ্য নয়। যে নবীর যে মর্যাদা দলীলের দ্বারা প্রমাণিত তা মেনে নেয়া ওয়াজিব। সমস্ত নবীর উপর যে রাসূলুল্লাহর (সঃ) মর্যাদা রয়েছে এটা অনস্বীকার্য। আবার রাসূলদের মধ্যে স্থির প্রতিজ্ঞা পাঁচজন রাসূল বেশী মর্যাদাবান। তাঁরা হলেনঃ হযরত মুহাম্মদ (সঃ), হযরত নূহ (আঃ), হযরত ইবরাহীম (আঃ), হযরত মূসা (আঃ) এবং হযরত ঈসা (আঃ)। এই পাঁচজন রাসূলের নাম সূরায়ে আহযাবে বর্ণিত আছে। সুরায়ে শুরা (আরবি) এর এই আয়াতেও এই পাঁচজন রাসূলের নাম বিদ্যমান রয়েছে। এটাও যেমন সমস্ত উম্মত মেনে থাকে, অনুরূপভাবে এটাও সর্বজন স্বীকৃত যে, হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সঃ) সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল। তার পর হলেন হযরত ইবরাহীম (আঃ) এঁর পর হলেন হযরত মূসা (আঃ), যেমন এটা প্রসিদ্ধ হয়ে রয়েছে। আমরা এর দলীল গুলো অন্য জায়গায় বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি। আল্লাহ তাআলাই তাওফীক প্রদানকারী।
এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি দাউদকে (আঃ) যবুর প্রদান করেছিলাম। এটাও তার মর্যাদা ও আভিজাত্যের দলীল। সহীহ বুখারীতে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “হযরত দাউদের (আঃ) উপর কুরআনকে (যনূরকে) এতো সহজ করে দেয়া হয়েছিল যে, জন্তুর উপর জিন কষতে যেটুকু সময় লাগে ঐটুকু সময়ের মধ্যেই তিনি কুরআন (যনূর) পড়ে নিতেন।”
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings