Surah Al Isra Tafseer
Tafseer of Al-Isra : 29
Saheeh International
And do not make your hand [as] chained to your neck or extend it completely and [thereby] become blamed and insolvent.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৯-৩০ নং আয়াতের তাফসীর:
পূর্বের আয়াতে গরীব-দুঃখীদেরকে দান করার সামর্থ্য না থাকলে ওজর পেশ করার ও বিদায় দেয়ার আদব শিক্ষা দেয়া হয়েছে। উক্ত আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ব্যয় করার নীতি ও আদব শিক্ষা দিচ্ছেন। ব্যয় করার ক্ষেত্রে এমন কৃপণতা করবে না যে, নিজ ও পরিবারের ভরণ-পোষণ ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করতে ইতস্ততবোধ কর। আবার এমন মুক্ত হস্তে দান ও ব্যয় করো না যে, নিজের সামর্থের দিকে লক্ষ্য থাকে না। বরং মধ্যমপন্থা অবলম্বন করবে। কারণ কৃপণতা করলে তিরষ্কৃত ও নিন্দার পাত্র হবে আর অপব্যয় করলে অনুতপ্ত, ক্ষতিগ্রস্থ ও শয়তানের ভাই বলে গণ্য হবে। তাই ব্যয় করার ক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা মু’মিনের বৈশিষ্ট্য। যেমন
দয়াময় আল্লাহ তা‘আলার বান্দাদের পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন:
(وَالَّذِيْنَ إِذَآ أَنْفَقُوْا لَمْ يُسْرِفُوْا وَلَمْ يَقْتُرُوْا وَكَانَ بَيْنَ ذٰلِكَ قَوَامًا)
“এবং যখন তারা ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না, কার্পণ্যও করে না, বরং তারা আছে এতদুভয়ের মাঝে মধ্যম পন্থায়।” (সূরা ফুরকান ২৫:৬৭)
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন যে, রিযিক দেয়ার মালিক একমাত্র তিনি, তিনি যাকে খুশি রিযিক প্রসারিত করে দেন আবার যাকে খুশি হ্রাস করে দেন। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলাই ক্ষমতাবান।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَاللّٰهُ يَقْبِضُ وَيَبْصُطُ ص وَإِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ)
“আর আল্লাহ (মানুষের রিযিক) কমান ও বাড়ান এবং তাঁর দিকেই তোমরা ফিরে যাবে।” (সূরা বাকারাহ ২:২৪৫)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(اَللّٰهُ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَّشَا۬ءُ وَيَقْدِرُ)
“আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা তার জীবনোপকরণ বর্ধিত করেন এবং সংকুচিত করেন।” (রা‘দ ১৩:২৬) তবে যিনি যতটুকু রিযিকের উপযুক্ত তাকে ততটুকই রিযিক দিয়ে থাকেন। অন্যথায় জমিনে ফাসাদ সৃষ্টি হবে। (সূরা শুরা ৪২:২৭)
অতএব রিযিক দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। তাই তাঁর কাছে রিযিক চাইতে হবে। রিযিক শুধু ধন-সম্পদের ভিতর সীমাবদ্ধ নয়, বরং জীবন থেকে মরণ পর্যন্ত যা কিছু রয়েছে সবই রিযিকের শামিল।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কৃপণতা ও সাধ্যাতীত ব্যয় উভয়টা নিন্দনীয় ও বর্জণীয়।
২. মানুষ নিজের সামর্থ্যানুযায়ী ব্যয় করবে, তবে কৃপণতা করবে না।
৩. রিযিক দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, অন্য কেউ নয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings