Surah Al Isra Tafseer
Tafseer of Al-Isra : 2
Saheeh International
And We gave Moses the Scripture and made it a guidance for the Children of Israel that you not take other than Me as Disposer of affairs,
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২-৩ নং আয়াতের তাফসীর:
(وَاٰتَيْنَا مُوْسَي الْكِتٰبَ....)
উক্ত আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মূসা (عليه السلام)-এর মর্যাদার বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যেমন ইসরা ও মি‘রাজ এর মাধ্যমে সম্মানিত করেছেন তেমনি মূসা (عليه السلام)-কে ‘তাওরাত’ দ্বারা সম্মানিত করেছেন যা ছিল বানী-ইসরাইলের জন্য পথ-প্রদর্শক ও হিদায়াতস্বরূপ ছিল।
এ সম্পর্কে কুরআনে অনেক আয়াত রয়েছে, তন্মধ্যে অন্যতম হল:
(وَلَقَدْ اٰتَیْنَا مُوْسَی الْکِتٰبَ فَلَا تَکُنْ فِیْ مِرْیَةٍ مِّنْ لِّقَا۬ئِھ۪ وَجَعَلْنٰھُ ھُدًی لِّبَنِیْٓ اِسْرَا۬ءِیْلَﭦﺆوَجَعَلْنَا مِنْھُمْ اَئِمَّةً یَّھْدُوْنَ بِاَمْرِنَا لَمَّا صَبَرُوْاﺨ وَکَانُوْا بِاٰیٰتِنَا یُوْقِنُوْنَﭧ)
“আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছি। অতএব তুমি তাঁর সাক্ষাত সম্পর্কে কোন সন্দেহ করবে না। আর আমি তাকে বাণী ইসরাঈলের জন্য পথপ্রদর্শনকারী করেছিলাম। আর আমি তাদের মধ্য থেকে নেতা নির্বাচন করেছিলাম, যারা আমার আদেশ অনুযায়ী পথনির্দেশ করত, যতদিন তারা ধৈর্যধারণ করেছিল। আর তারা আমার আয়াতসমূহে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করত।” (সূরা সাজদাহ ৩২:২৩-২৪)
(أَلَّا تَتَّخِذُوْا مِنْ دُوْنِيْ وَكِيْلًا)
অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করবে, তাঁর অভিমুখী হবে এবং সকল কাজে তাঁকে কর্মবিধায়ক হিসেবে গ্রহণ করবে, তাঁর উপরেই নির্ভর করবে। ইমাম কুরতুবী (عليه السلام) বলেন: وَكِيْلًا অর্থ শরীক, অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলাকে ছেড়ে অন্য কাউকে তাঁর শরীক হিসেবে গ্রহণ করো না।
আল্লাহ তা‘আলা কুরআনের অধিকাংশ স্থানে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াত ও মূসা (عليه السلام)-এর নবুওয়াত, কিতাব ও শরীয়তকে পাশাপাশি উল্লেখ করেছেন। কারণ এ দুটি (কুরআন ও তাওরাত) কিতাব উত্তম, এ দু’নাবীর শরীয়ত পরিপূর্ণ, তাদের নবুওয়াত অন্যান্য নাবীদের নবুওয়াতের চেয়ে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন এবং এদের অনুসারীর সংখ্যাও অধিক।
(ذُرِّيَّةَ مَنْ حَمَلْنَا مَعَ نُوْحٍ)
অর্থাৎ নূহ (عليه السلام)-এর প্লাবনের পর মানব বংশের উৎপত্তি নূহ (عليه السلام)-এর সে বংশধরদের থেকে হয়েছে যারা নূহ (عليه السلام)-এর সাথে কিশতীতে সওয়ার হয়েছিল এবং মহা প্লাবন থেকে রক্ষা পেয়েছিল। এ জন্য বানী ইসরাঈলকে সম্বোধন করে বলা হয়েছে; তোমাদের পিতা নূহ (عليه السلام) আল্লাহ তা‘আলার একজন কৃতজ্ঞ বান্দা ছিলেন। অতএব তোমরাও তোমাদের পিতার ন্যায় কৃতজ্ঞতার পথ অবলম্বন কর এবং আমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছি তাকে অস্বীকার করে সে নেয়ামতের কুফরী করো না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মূসা (عليه السلام)-এর মর্যাদা জানতে পারলাম।
২. সকল নাবীকে এ মর্মে ওয়াহী করা হয়েছে যে, তারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না।
৩. মানুষের উচিত আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া আদায় করা।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings