Surah An Nahl Tafseer
Tafseer of An-Nahl : 86
Saheeh International
And when those who associated others with Allah see their "partners," they will say," Our Lord, these are our partners [to You] whom we used to invoke besides You." But they will throw at them the statement, "Indeed, you are liars."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৮৪-৮৯ নং আয়াতের তাফসীর:
এখানে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়াতে মানুষের পাপের কারণে আখিরাতে তাদের কিরূপ অবস্থা হবে সে কথা বর্ণনা করছেন।
شَهِيْدًا একজন সাক্ষী বলতে সে জাতির নাবীকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেক নাবী তাঁর জাতির জন্য সাক্ষ্য দেবে যে, তিনি তাদের নিকট আল্লাহ তা‘আলার বাণী পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু তারা তা অগ্রাহ্য করেছিল। ঐ সকল কাফিরদেরকে অজুহাত পেশ করার কোন সুযোগ দেয়া হবে না। কারণ তাদের গ্রহণযোগ্য কোন অজুহাত থাকবে না। আর না তাদেরকে প্রত্যাবর্তন বা অসন্তোষ দূর করার সময় দেয়া হবে। কারণ তার প্রয়োজন তখন হয়, যখন কাউকে সুযোগ দেয়ার উদ্দেশ্য থাকে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(هٰذَا يَوْمُ لَا يَنْطِقُوْنَ - وَلَا يُؤْذَنُ لَهُمْ فَيَعْتَذِرُوْنَ)
“এটা এমন একদিন যেদিন তারা কিছু বলতে পারবে না। এবং না তাদেরকে অনুমতি দেয়া হবে ওযর পেশ করার।” (সূরা মুরসালাত ৭৭:৩৫-৩৬)
(وَلَا هُمْ يُسْتَعْتَبُوْنَ)
এর অন্য আরেকটি অর্থ হল তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি অর্জন করার কোন সুযোগ দেয়া হবে না। কারণ সে সুযোগ তাদেরকে পৃথিবীতে দেয়া হয়েছিল, যা ছিল কর্মস্থল। আখিরাত কর্মস্থল নয়, বরং প্রতিদান দেয়ার দিন। সেখানে মানুষ পৃথিবীতে যা করেছে তার প্রতিদান পাবে। সেখানে কাউকেই কিছু আমল করার সুযোগ দেয়া হবে না।
(وَلَا هُمْ يُنْظَرُوْنَ)
অর্থাৎ শাস্তি হালকা করা হবে না এবং বিরতি দেয়া হবে না। বরং অবিরাম শাস্তি দেয়া হবে।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলছেন যে, কিয়ামতের দিন যখন মুশরিকরা তাদের মা‘বূদদেরকে দেখতে পাবে তখন তারা বলবে: হে আল্লাহ তা‘আলা! এরা হল আমাদের মা‘বূদ, আপনাকে বাদ দিয়ে এদের ইবাদত করেছি। তখন মা‘বূদেরা অস্বীকার করে বলবে: তোমরা মিথ্যা বলছ, তোমরা আমাদের ইবাদত করনি, কারণ আমরা কখনো তোমাদেরকে আমাদের ইবাদত করতে বলিনি।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ يَّدْعُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَنْ لَّا يَسْتَجِيْبُ لَه۫ٓ إِلٰي يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهُمْ عَنْ دُعَا۬ئِهِمْ غٰفِلُوْنَ - وَإِذَا حُشِرَ النَّاسُ كَانُوْا لَهُمْ أَعْدَا۬ءً وَّكَانُوْا بِعِبَادَتِهِمْ كٰفِرِيْنَ)
“সে ব্যক্তির চেয়ে বেশি গোমরাহ আর কে হতে পারে, যে আল্ল¬াহকে বাদ দিয়ে এমন কাউকে ডাকে, যে কিয়ামতের দিন পর্যন্তও সাড়া দেবে না। বরং তারা তাদের আহ্বান সম্পর্কে গাফেল। (হাশরের ময়দানে) যখন সব মানুষকে একত্রিত করা হবে তখন যারা যাদেরকে ডাকত তারা তাদের দুশমন হয়ে যাবে এবং তাদের ইবাদতকে অস্বীকার করবে।” (সূরা আহক্বাফ ৪৬:৫-৬)
আর যদি শরীক আল্লাহ তা‘আলার নেক বান্দা হয়, যেমন বহু নেক বান্দা যাদেরকে কেন্দ্র করে মাযার তৈরি করা হয়েছে কিংবা তাদের নামে মানত করা হয়, নযর মানা হয় বা তাদের কাছে চাওয়া হয় এবং সিজদা করা হয় তাহলে কিয়ামতের দিন হাশরের মাঠে নির্দোষ প্রমাণ করা হবে। আর যারা তাদের ইবাদত করত তাদেরকে জাহান্নামে ঠেলে দেয়া হবে। যেমন ঈসা (عليه السلام)-এর সাথে আল্লার প্রশ্নোত্তর সূরা মায়িদার ১১৬-১১৮ নং আয়াতে উল্লেখ রয়েছে।
আর যারা নিজেরা আল্লাহ তা‘আলার সাথে কুফরী করত এবং মানুষকে আল্লাহ তা‘আলার পথে চলতে বাধা প্রদান করত তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা শাস্তির ওপর শাস্তি বৃদ্ধি করে দেবেন। কারণ যাদেরকে বাধা দিয়েছে তাদের পাপের ভারও বহণ করতে হবে। যদি বাধা না দিত তাহলে হয়তো তারা ঈমান আনত।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(وَلَيَحْمِلُنَّ أَثْقَالَهُمْ وَأَثْقَالًا مَّعَ أَثْقَالِهِمْ)
“তারা অবশ্যই নিজেদের পাপের ভার বহন করবে এবং নিজেদের বোঝার সাথে আরও কিছু বোঝা।” (সূরা আনকাবুত ২৯:১৩)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, তিনি প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নিয়ে আসবেন। আর তখন পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَکَیْفَ اِذَا جِئْنَا مِنْ کُلِّ اُمَّةٍۭ بِشَھِیْدٍ وَّجِئْنَا بِکَ عَلٰی ھٰٓؤُلَا۬ئِ شَھِیْدًاﭸﺛیَوْمَئِذٍ یَّوَدُّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا وَعَصَوُا الرَّسُوْلَ لَوْ تُسَوّٰی بِھِمُ الْاَرْضُﺚ وَلَا یَکْتُمُوْنَ اللہَ حَدِیْثًاﭹﺟ)
“যখন আমি প্রত্যেক উম্মত হতে একজন সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীরূপে উপস্থিত করব তখন কী অবস্থা হবে? যারা কুফরী করেছে এবং রাসূলের অবাধ্য হয়েছে তারা সেদিন কামনা করবে, যদি তারা মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারত! আর তারা আল্লাহ হতে কোন কথাই গোপন করতে পারবে না।” (সূরা নিসা ৪:৪১-৪২) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(فَلَنَسْئَلَنَّ الَّذِيْنَ أُرْسِلَ إِلَيْهِمْ وَلَنَسْئَلَنَّ الْمُرْسَلِيْنَ)
“অতঃপর যাদের নিকট রাসূল প্রেরণ করা হয়েছিল তাদেরকে আমি অবশ্যই জিজ্ঞেস করব এবং রাসূলগণকেও জিজ্ঞেস করব।” (সূরা আ‘রাফ ৭:৬)
অতএব সেদিনের অবস্থা হবে খুবই কঠিন। সেদিন প্রত্যেক অপরাধীকে তার কৃতকর্মের জন্য কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। যে শাস্তি থেকে রেহাই পাবার কোনই পথ থাকবে না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে সাক্ষী উপস্থিত করা হবে।
২. কোন ওযর-আপত্তি পেশ করা যাবে না।
৩. আল্লাহ তা‘আলার রাস্তায় মানুষকে বাধা দেয়া যাবে না।
৪. জাহান্নামে শাস্তির কোন কম-বেশি করা হবে না।
৫. দুনিয়ায় যাদের ইবাদত করা হত তারা তাদের অনুসারীদের কথা অস্বীকার করবে।
৬. কুরআনে সকল বিষয় স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings